এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগ: দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬৬ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক পদ এখন শূন্য আছে। বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাথমিকভাবে এসব শূন্যপদের তথ্য পেয়েছে এনটিআরসিএ। এর আগে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের গত ১৪ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে এনটিআরসিএকে শূন্যপদের তথ্য পাঠানোর সুযোগ দেয়া হয়েছিলো।
এনটিআরসিএর শীর্ষ কর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ১৯ আগস্ট থেকে শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের।
টেলিটকের কারিগরি সহায়তায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে অনলাইনে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. এনামুল কাদের খান বলেন, টেলিটক থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে ৬৬ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত শূন্যপদের তথ্য পেয়েছে এনটিআরসিএ। তবে, সে সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত নয়।
এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগ
শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। সংশোধনে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ পাবেন। এরপর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা শূন্যপদের তথ্য যাচাই করে তা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাবমিট করবেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা তা যাচাই করে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় এডিট করে এনটিআরসিএতে পাঠাবেন। পরে আমরা তা অধিদপ্তরগুলোতে পাঠাবো।
NTRCA Teacher Job
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর তথ্য ভ্যারিফাই করে দিলে তবেই শূন্যপদের তথ্য সংখ্যা সঠিক বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি আর বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সচেতনার সঙ্গে শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের অনুরোধ থাকবে। শূন্যপদের তথ্য ভুল থাকলে প্রার্থী, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও এনটিআরসিএ সবাইকেই বিপাকে পড়তে হয়। তাই এ তথ্য ঠিকভাবে দিতে পারলে অনেক জাটিলতা আর থাকবে না।
এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগ
শূন্যপদের তথ্য সংশোধন শুরু ১৯ আগস্ট:
আগামী ১৯ আগস্ট থেকে শূন্যপদের তথ্য সংশোধন শুরু হচ্ছে। ২৪ আগস্ট পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য সংশোধন করার সুযোগ পাবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
আর ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য মাঠ পর্যায়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা যাচাইয়ের সুযোগ পাবেন। এরপর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ পাবেন।
NTRCA Job Circular
তথ্য সংশোধন যেভাবে:
শূন্যপদে তথ্য সংশোধনের সুযোগ দিয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসা) প্রধানদের দাখিলকৃত ই-রিকুইজেশনে ভুল ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন-সংযোজন বা বিয়োজন করার জন্য আগামী ১৯ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে ই-রিকুইজেশন প্লাটফর্মের ‘এডিট অপশন’ চালু হবে।
২৪ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত এ অপশন খোলা থাকবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ই-রিকুইজেশন প্লাটফর্মের দেয়া চাহিদা (অধিযাচন) সংশোধন বা সংযোজন বা বিয়োজন করা যাবে।
এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগ
এনটিআরসিএ আরও বলছে, এডিট করার সময় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের চাহিদা সংক্রান্ত অধিযাচন (ই-রিকুইজেশন) দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পালনীয় নির্দেশিকার ‘খ’ নং ক্রমিকে বর্ণিত ১১, ১২ এবং ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
নির্দেশিকাটি এনটিআরসিএ ওয়েবসাইটের ই-রিকুইজিশন প্লাটফর্ম নামক সেবা বক্সে আপলোড করা আছে। এডিট করার পর পুনরায় ‘সেভ অ্যান্ড সাবমিট’ এ ক্লিক করে সংশোধিত ই-রিকুজিশনের প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করার অনুরোধ করা হলো।
শিক্ষা কর্মকতাদের যাচাই:
প্রতিষ্ঠান প্রধান ই-রিকুইজিশন চূড়ান্তভাবে সাবমিট করার পর সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ইউএসইও) ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে তার আওতাধীন সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ই-রিকুইজিশন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই বাছাই করে আগামী ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত জেলা শিক্ষা অফিসারের (ডিইও) কাছে সাবমিট করবেন। যাচাইকালে অধিযাচনে (ই-রিকুইজিশনে) কোন ভুলত্রুটি চিহ্নিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দিয়ে এডিট করে সাবমিট করবেন।
এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগ
জেলা শিক্ষা অফিসাররা (ডিইও) স্ব স্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে তাদের আওতাধীন সব উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ই-রিকুইজিশন ভালভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে সাবমিট করবেন। ই-রিকুইজিশন যাচাইকালে কোন ভুলত্রুটি দৃষ্টিগোচর হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দিয়ে তা এডিট করে সাবমিট করবেন।
বৃত্তি, শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহ সকল খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Join Our Official Facebook Group