Sunday, June 1, 2025
eduguideline.com
">
ADVERTISEMENT
  • শিক্ষাবৃত্তি
    • ব্যাংক স্কলারশিপ
    • আন্তর্জাতিক শিক্ষাবৃত্তি
    • জেলাপরিষদ শিক্ষাবৃত্তি
    • অন্যান্য শিক্ষাবৃত্তি
  • ভর্তি যুদ্ধ
    • বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধ
    • ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তিযুদ্ধ
    • এমবিবিএস এডমিশন
  • এইচএসসি
    • এইচএসসি এসাইনমেন্ট
  • এসএসসি
    • এসএসসি এসাইনমেন্ট
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
  • চাকরির খবর
  • শিক্ষা
    • বিসিএস
    • ফলাফল
  • প্রযুক্তি
  • অন্যান্য খবর
No Result
View All Result
  • শিক্ষাবৃত্তি
    • ব্যাংক স্কলারশিপ
    • আন্তর্জাতিক শিক্ষাবৃত্তি
    • জেলাপরিষদ শিক্ষাবৃত্তি
    • অন্যান্য শিক্ষাবৃত্তি
  • ভর্তি যুদ্ধ
    • বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধ
    • ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তিযুদ্ধ
    • এমবিবিএস এডমিশন
  • এইচএসসি
    • এইচএসসি এসাইনমেন্ট
  • এসএসসি
    • এসএসসি এসাইনমেন্ট
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
  • চাকরির খবর
  • শিক্ষা
    • বিসিএস
    • ফলাফল
  • প্রযুক্তি
  • অন্যান্য খবর
No Result
View All Result
eduguideline.com
No Result
View All Result
Home এইচএসসি

ইতিহাস ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর এইচএসসি ২০২১

admin1 by admin1
September 11, 2021
in এইচএসসি, এইচএসসি এসাইনমেন্ট
0
ইতিহাস ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
104
SHARES
10.4k
VIEWS
Sponsored by
ScholarshipBD24
Sponsored by

এইচএসসি ইতিহাস ১ম পত্র ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট  চতুর্থ অধ্যায়ঃ পাকিস্তানে আমলে বাংলা, ভাষা আন্দোলন ও এর গতি প্রকৃতি থেকে নেওয়া হয়েছে।

ইতিহাস ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

ইতিহাস  ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট

অ্যাসাইনমেন্ট: ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও প্রকৃতি এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব।

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি)

  • ভাষা আন্দোলনের পটভূমি বর্ণনা।
  • ভাষা শহীদদের অবদান মূল্যায়ন।
  • বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিশ্লেষণ।
  • ভাষা আন্দোলনে নারী সমাজের ভূমিকা।
  • বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিকায়ন।

ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও প্রকৃতি এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। ভাষা, নৃতত্ত্ব, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভৌগোলিক পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাসসহ সকল ক্ষেত্রে বিস্তর ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও কেবল ধর্মের ভিত্তিতে এক হাজার মাইলের ব্যবধানে অবস্থিত পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত করে এই অসম রাষ্ট্র গড়ে তোলা হয়। এই রাষ্ট্রের কর্ণধাররা প্রথমই শোষণ ও বৈষম্যের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয় বাঙালির প্রাণের ভাষা বাংলাকে।

অথচ ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় পাকিস্তানের ভাষাগত জনসংখ্যার একটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে, মোট জনসংখ্যার ৫৪.৬০% বাংলা, ২৮.০৪% পাঞ্জাবি, ৫.৮% সিন্ধি, ৭.১% পশতু, ৭.২% উর্দু এবং বাকি অন্যান্য ভাষাভাষী নাগরিক। এর থেকে দেখা যায় উর্দু ছিল পাকিস্তানি ভাষাভাষির দিক থেকে ৩য় স্থানে। অন্যদিকে তদানীন্তন পূর্ববঙ্গের জনসংখ্যার ৪.৪০ কোটির মধ্যে ৪.১৩ কোটি ছিল বাংলা ভাষাভাষী। এখানে ৯৮% বাংলা এবং মাত্র ১.১% ছিল উর্দু ভাষী।

অথচ বাংলা ভাষাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বেশ কিছু পরিকল্পনা নেয়। কিন্তু সংগ্রামের ঐতিহ্যে লালিত বাঙালি জাতি মাতৃভাষার ওপর এ আঘাতের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। পাকিস্তান সৃষ্টির ছমাস পেরুতে না পেরুতে তারা বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য রাজপথে নামে যা ১৯৫২ সালে দ্বিতীয় পর্বের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে সাফল্য লাভ করে।

ইতিহাস  ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

ক. উর্দু বনাম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে উদ্দেশ্য ও যুক্তি

পাকিস্তানের মতো বহু ভাষাভাষী রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে ঐক্য বন্ধন সৃষ্টির জন্য একটি ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রয়োজনীয়তা প্রথম থেকেই শাসকগোষ্ঠী অনুভব করেন। পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আমলা থেকে শুরু করে প্রভাবশালীদের বড় অংশ ছিলেন উত্তর ভারত থেকে আগত উর্দুভাষী। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, লিয়াকত আলী খান থেকে শুরু করে পাকিস্তানের উচ্চ পদবীধারীরা ছিলেন উর্দুভাষী মোহাজের। জিন্নাহ ও তাঁর উত্তরসূরি লিয়াকত আলীর মন্ত্রিসভাকে তাই ‘মোহাজের মন্ত্রিসভা’ বলা হতো।

এক হিসেবে দেখা যায় ১৯৪৭-৫৮ পর্যন্ত পাকিস্তানের মোট ২৭ জন গভর্নর জেনারেল/প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, প্রাদেশিক গভর্নর ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ১৮ জন ছিলেন মোহাজের। এদের আবার অধিকাংশের ভাষা ছিল উর্দু। যে কারণে প্রথমে থেকেই শ্রেণী স্বার্থে তাঁরা উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে ছিলেন। এমন কি নাজিমুদ্দিন যিনি পূর্ববাংলার উচ্চপদে আসীন হয়েছিলেন তিনি ছিলেন উর্দুভাষী। স্বভাবতই তারা ও পশ্চিম পাকিস্তানি জনগোষ্ঠী রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সর্বত্র নিজেদের প্রাধান্য বজায় রাখার জন্য এ ভাষাকে বেছে নেয়। পশ্চিম পাকিস্তানিরা বহুদিন থেকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে উর্দুকে চর্চা করায় তারা উর্দুর বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করেনি। মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রভাবশালী অংশ পশ্চিম পাকিস্তানি হওয়ায় তারা সকলে এ ভাষার পক্ষে ছিলেন।

তবে পূর্ববাংলায় এর প্রতিবাদ ওঠে। কারণ পূর্ববাংলায় কখনোই উর্দু চর্চা হয়নি। বাঙালিরা গণতন্ত্র, জনসংখ্যাধিক্য ইত্যাদি কারণে ৫৬% বাংলাভাষীদের ভাষা বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা দাবি করেছে। এর সাথে জড়িত ছিল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ। সব যুক্তি উপেক্ষা করে প্রশাসন, অর্থনীতির কেন্দ্রসহ পশ্চিম পাকিস্তান ও কেন্দ্রের রাজধানী স্থাপিত হয় করাচিতে মুসলিম লীগের প্রভাবশালী অংশের সেখানে অবস্থানের ফলে স্বাভাবিকভাবে পশ্চিম পাকিস্তান সমৃদ্ধ এলাকা এবং পূর্ববঙ্গ অবহেলিত এলাকায় পরিণত হয়।

বৈদেশিক ঋণের সিংহভাগের ব্যবহার, উন্নয়ন কর্মকান্ডের বড় অংশ পশ্চিমে সম্পাদনের ফলে বঞ্চিত পূর্ববঙ্গবাসীদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে পাকিস্তান সৃষ্টির ফলে শুধু শাসকের বদল হয়েছে। ব্রিটিশ শোষণের বদলে পাকিস্তানি শোষকের আবির্ভাব হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় রাজনীতি, প্রশাসনসহ চাকরি ও পদের ক্ষেত্রে বাঙালিদের বঞ্চিত করার নীতি।

এইচএসসি ইতিহাস  ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

উর্দুকে সরকারি ভাষা ঘোষণা, গণমাধ্যমে ব্যাপক উর্দুর ব্যবহার, সরকারি কর্মকান্ডে যেমন মানি অর্ডার ফর্ম, টেলিগ্রাম ফর্ম, ডাকটিকেট, মুদ্রায় উর্দু ব্যবহার শুরু এবং সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উর্দু ভাষা ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হলে শিক্ষিত বাঙালিরা এর প্রতিবাদ জানায়। প্রথম থেকেই তাই বাঙালি ছাত্র ও নেতৃবৃন্দের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা, দাবি দাওয়াতে বাংলা ভাষাকেও সরকারি মর্যাদা দানের দাবি তোলা হয়। এভাবে বাংলা ভাষার দাবি পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ নেয়।

খ. ভাষা বিতর্কের উৎপত্তি ও বিকাশ

পাকিস্তান সৃষ্টির আগেই উর্দু বনাম বাংলা নিয়ে ভাষা বিতর্ক দেখা দেয়। ১৯০৬ সালে যখন নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মুসলিম লীগের এ অধিবেশনেও এ প্রশ্ন ওঠে। তবে তখন পর্যন্ত এ সমস্যাটি তত প্রকট হয়নি। ১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকে দলের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রবর্তনের একটি উদ্যোগ নিলে ফজলুল হকের বিরোধিতায় তা সফল হয়নি। তৎকালীন বাংলা সরকারের সময়ও ভাষা নিয়ে তেমন সমস্যা হয়নি। ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবের প্রাক্কালে এই বিতর্ক মৃদুভাবে দেখা দেয়।

কংগ্রেস নেতারা হিন্দিকে ভারতের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব দিলে পাল্টা ভারতের মুসলিম নেতৃবৃন্দ উর্দু ভাষাকে সমগ্র ভারতের রাষ্ট্রভাষা দাবি করেন। এ প্রসঙ্গে খুব ক্ষুদ্র হলেও বাংলার পক্ষে দাবি ওঠে। তবে ১৯৪৭ সালে যখন পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় তখন ভাষা বিতর্ক নতুন রূপ নেয়। ১৯৪৭ সালের ১৭ মে মুসলিম লীগের প্রভাবশালী নেতা চৌধুরী খালিকুজ্জামান এবং জুলাই মাসে আলিগড় বিশ্ববদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে বক্তব্য দেন।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছাড়াও বেশ কয়েকজন বাঙালি লেখক, বুদ্ধিজীবী এর প্রতিবাদ করেন এবং বাংলার পক্ষে বক্তব্য দেন। পূর্ববঙ্গের ছাত্র ও শিক্ষিত সমাজ রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে পত্র-পত্রিকায় মতামত প্রকাশ করতে শুরু করেন। এসময় পূর্ববঙ্গে গঠিত বিভিন্ন সংগঠনও এ বিষয়ে ভূমিকা রাখে।

 ইতিহাস  ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট / এসাইনমেন্ট

জুলাই মাসেই কামরুদ্দীন আহমদকে আহ্বায়ক করে গঠিত হয় ‘গণআজাদী লীগ’ নামে একটি আদর্শভিত্তিক সংগঠন। এই সংগঠন স্পষ্টভাবে বাংলাকে পূর্ববঙ্গের রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করে। পরের মাসে পাকিস্তান সৃষ্টির পর ভাষা বিতর্ক আরো প্রকাশ্য রূপ লাভ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে গঠিত ‘তমদ্দুন মজলিস’ সভাসমিতি ও লেখনীর মাধ্যমে বাংলা ভাষার পক্ষে জনমত গড়ে তোলে। এই সংগঠনের উদ্যোগে ডিসেম্বর মাসে গঠিত হয় ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ যার আহ্বায়ক মনোনীত হন নূরুল হক ভূঁইয়া।

পরবর্তীকালে এ উদ্দেশ্যে কয়েকটি কমিটি গঠিত হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে তমদ্দুন মজলিসের গঠিত প্রথম সংগ্রাম পরিষদটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই পাকিস্তান গণতান্ত্রিক যুবলীগ, পূর্ববঙ্গের বুদ্ধিজীবী সমাজ, সাংবাদিক সংঘ বিভিন্ন সভা ও স্মারকলিপির মাধ্যমে বাংলাকে পূর্ববঙ্গের রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান।

তবে পূর্ববঙ্গের জনগণের দাবি ও আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে করাচিতে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। সরকারি কোন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। ঢাকার বাইরেও এ আন্দোলন প্রসার ঘটে। ঢাকায় ৬ ডিসেম্বর প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী নাজিমুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের দাবি-দাওয়া পেশ করেন। যদিও এ পর্যায়ে সরকার যড়যন্ত্রের পাশাপশি উর্দুভাষী মোহাজেরদের বাংলা ভাষার পক্ষে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়

১২ ডিসেম্বর এমনি একটি বাঙালি-অবাঙালি সংঘর্ষে বেশ কযেকজন বাঙালি ছাত্র আহত হন। ভাষা সৈনিক নূরুল হক ভূঁইয়া এ ঘটনার গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন, “বাঙালিদের উপর অবাঙালিদের এটা যে অন্যায় হামলা ছিল তা সবার কাছে বেশ পরিষ্কার হয়। বাঙালির মাঝে নিজেদের অস্তিত্ব, জাতীয় সত্তা ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়। এর ফলে ভাষা আন্দোলন দ্রুত জনসমর্থন লাভ করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ১৩ ডিসেম্বর সচিবালয়ের কর্মচারীরা ধর্মঘট পালন করে। সরকার ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে এবং ১৫ দিনের জন্যে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

 ইতিহাস ১ম পত্র ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট

গ. ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের বিস্তার

১৯৪৮ সালের প্রথম থেকেই ভাষা প্রশ্নে বাঙালি জনগোষ্ঠীর শিক্ষিত অংশ বাংলা ভাষার পক্ষে সোচ্চার হয়। ১৯৪৮ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ এক অধিবেশনে নিম্নপর্যায় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলাকে গ্রহণের প্রস্তাব গ্রহণ করে। ২৩ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদের অধিবেশনে কংগ্রেস দলীয় সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত উর্দু ও ইংরেজির সঙ্গে বাংলাকেও গণপরিষদের অন্যতম ভাষা হিসেবে ব্যবহারের দাবি উত্থাপন করেন। কিন্তু মুসলিম লীগের সকল সদস্যের ভোটে তা অগ্রাহ্য হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ববঙ্গে ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। এর প্রতিবাদ করে প্রথমে ছাত্র সমাজ।

২৬ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়। ২ মার্চ ছাত্রসমাজ দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে। এ পরিষদের আহ্বায়ক মনোনীত হন শামসুল আলম। নব গঠিত পরিষদ ১১ মার্চ হরতাল আহ্বান করে। ঐদিন হরতালকালে পুলিশের লাঠি চার্জে অনেকে আহত হন। শেখ মুজিব, শামসুল আলম সহ ৬৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ১৩-১৫ মার্চ ঢাকার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়। শুধু ঢাকা নয় ঢাকার বাইরে সর্বত্র ১১ মার্চ হরতাল ও অন্যান্য দিনের কর্মসূচি পালিত হয়। আন্দোলনের তীব্রতার প্রেক্ষিতে ১৫ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী নাজিমুদ্দিন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে ৮ দফা চুক্তিতে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, তদন্ত কমিটি গঠন, শিক্ষার মাধ্যম বাংলা ও ব্যবস্থাপক সভায় রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত বিষয় উত্থাপনে রাজি হন।

তড়িঘড়ি করে তাঁর চুক্তি সম্পাদনের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল জিন্নাহর আসন্ন ঢাকা সফর যেন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়। ১৯ মার্চ জিন্নাহও ঢাকা সফরে এসে ২১ মার্চ রেসকোর্সে নাগরিক সংবর্ধনা, ২৪ মার্চ রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে বৈঠক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সরকারি ভাষা হিসেবে উর্দুর পক্ষে মতামত দেন।

ইতিহাস ১ম পত্র ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর 

জিন্নাহর ২৪ মার্চ বক্তৃতার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে উপস্থিত ছাত্ররা ‘না’ ‘না’ ধ্বনি উচ্চারণ করেন। কিন্তু ১৯৪৮ সালের ৬ এপ্রিল পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক পরিষদের অধিবেশনে নাজিমুদ্দিন সংগ্রাম পরিষদের সাথে ১৫ মার্চের চুক্তি ভঙ্গ করে উর্দুকে পূর্ববঙ্গের সরকারি ভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম করার প্রস্তাব করেন। পরিষদে বিরোধী দল এর প্রতিবাদ করলেও নাজিমুদ্দিন তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাহার করেন নি। যদিও শেষপর্যন্ত পরিষদে উত্থাপিত এই প্রস্তাবটিও বাস্তবায়ন হয়নি।

১৯৪৮ সাল জিন্নাহর মৃত্যুর পর বিশেষত মার্চ মাসের পর হতে ভাষা আন্দোলন কিছু দিনের জন্য স্তিমিত থাকলেও বাংলার অর্থনীতি, রাজনীতি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন সংগঠিত হয়। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষে ৮ এপ্রিল থেকে ১৮ দিন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের ধর্মঘট, মেডিকেল ছাত্রদের ধর্মঘট, জুন মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন চলে।

১৪ জুলাই পুলিশ ধর্মঘট হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশের মধ্যে গুলি চলাকালে ২ জন পুলিশ নিহত হয়। এই অবস্থায় ১৯৪৮ সালের ১৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত খান আলী ঢাকা এলে ছাত্র সমাজ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানায়। লিয়াকত আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়া বক্তৃতায় সুকৌশলে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দিলে ছাত্রদের মধ্য হতে আবারও ‘না’ ‘না’ ধ্বনি সম্বলিত প্রতিবাদ ওঠে।

ঘ. ১৯৪৯-১৯৫২ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের বিস্তার

১৯৪৮ সালের পর প্রতি বছর ১১ মার্চ প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালন করা হতো। ১৯৪৯ সালে আরবি হরফে বাংলা লেখার সরকারি ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এ উদ্দেশে ১৯৪৯ সালের মার্চে আকরাম খাঁকে সভাপতি করে ‘পূর্ববাংলা ভাষা কমিটি গঠিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রতিবাদ জানায়। যদিও শেষপর্যন্ত এর বাস্তবায়ন হয়নি। ১৯৫২ সালে নাজিমুদ্দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হয়ে ২৭ জানুয়ারি উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে ছাত্র সমাজ ৩০ জানুয়ারি ধর্মঘট পালন করে।

ইতিহাস ১ম পত্র ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট

৩১ জানুয়ারি সর্বদলীয় সভায়ও সরকারি নীতির সমালোচনা করা হয়। এ সময় আব্দুল মতিনকে আহবায়ক করে নতুন রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। এই পরিষদ গঠনের পর আন্দোলনের গতি সঞ্চার করে। নাজিমুদ্দিনের এই উক্তির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ৩০ জানুয়ারি মাওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে এক সভায় ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। এ পরিষদই ২১ ফেব্রুয়ারি পূর্ববঙ্গে হরতাল আহ্বান করে। কিন্তু সরকার বিক্ষোভ দমনে ১৪৪ ধারা জারি করলে শুরু হয় ভাষা আন্দোলনের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্ব।

ভাষা শহীদদের অবদান মূল্যায়ন

শহীদ মিনার সংগ্রামের প্রতীক। শহীদ মিনার সৃষ্টির প্রতীক। শহীদ মিনার মানুষের আর্থসামাজিক সাম্যের প্রতীক। শহীদ মিনার মাতৃভাষার প্রতীক। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলার দামাল সন্তানেরা।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর, এঁদের একযোগে ‘ভাষা শহীদ’ হিসাবে মনোনীত করেছিলেন অসংখ্য শ্রোতা। বাহান্ন সালের একুশে ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে নিহত ভাষা শহীদদের অবদান কতটুকু সেটা হয়ত আজ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম দেখলেই বোঝা যায়।

একটি স্ফুলিঙ্গ যেমন একটি দাবানল সৃষ্টি করতে পারে, তেমনি পূর্ব পাকিস্তানের গণআন্দোলনের ওপর পুলিশের গুলির্ষণ থেকে ১৯৫২ সালে সৃষ্টি হয়েছিল একটি দাবানল। উনিশশ সাতচল্লিশ সালে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হবার পর ৪৮য়ে পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করেছিল যে, ঊর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এ ঘোষণার প্রেক্ষাপটে পূর্ব বাংলায় অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয়। দানা বেঁধে ওঠে বাংলাভাষার সম-মর্যাদার দাবিতে আন্দোলন।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসে এক জনসভায় ঊর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করার পর সেই আন্দোলন আরও গতি পায়। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি ক’রে ঢাকা শহরে মিছিল, সমাবেশ বেআইনি ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

ইতিহাস ১ম পত্র ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট

বাহান্ন সালের একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা ছাত্রসভায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দশজন দশজন করে স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট পেরিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মিছিল এগোতে থাকে অ্যাসেম্বলি ভবনের দিকে। শুরু হয় লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস। কিন্তু পুলিশ পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। ফলে গুলি চলে।

ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের শেষ পর্বের ছাত্র বরকত ১৯৫১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স পাশ করেন। রফিকউদ্দিন ছিলেন মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজের আই.কমের ছাত্র। আরেকটি নাম ছিল জব্বার। ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার পাঁচুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জব্বার। শফিউর রহমান ঢাকার হাইকোর্টে হিসাব-রক্ষণ শাখায় চাকরি করতেন। ২২শে ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকার নবাবপুর রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে সন্ধ্যে সাতটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

আব্দুস সালাম ছিলেন নোয়াখালি জেলার ফেনী মহকুমার লক্ষ্মণপুর গ্রামের সালাম ঢাকায় এসেছিলেন চাকরির সূত্রে। সরকারি অফিসে পিওন ছিলেন তিনি। থাকতেন নীলক্ষেত ব্যারাকে। একুশে ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটেয় মেডিকেল কলেজের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৭ই এপ্রিল মারা যান।

ছাব্বিশ বছরের এক সুঠাম যুবক আব্দুল আওয়াল ২২শে ফেব্রুয়ারি শহীদ হন। রিক্সাচালক আব্দুল আওয়াল বাবা, মা, স্ত্রী এবং ছয় বছরের কন্যার সাথে বাস করতেন ঢাকার হাফিজুল্লাহ রোডে।ওহিউল্লাহর বয়স ছিল মাত্র আট কিংবা নয়। সম্ভবত কনিষ্ঠতম ভাষা শহীদ। ২২ তারিখে নবাবপুর রোডের খোশমহল রেস্টুরেন্টের সামনে পাকিস্তানি শাসকচক্রের বুলেট রাজমিস্ত্রি হাবিবুর রহমানের শিশুপুত্র ওহিউল্লার মাথার খুলি উড়িয়ে দিয়েছিল। তার লাশটাও গুম করে ফেলা হয়েছিল।

ভাষা শহীদদের আত্মদানের স্ফুলিঙ্গ থেকে যে দাবানল জ্বলে উঠছিল, তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে গণআন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল, তার কাছে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হলে সেখানে বাংলা ও ঊর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।

পরবর্তীতে এই দাবানলই একে একে দেশটির স্বায়ত্তশাসন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল।ওই ভাষা আন্দোলনে যাঁরা জীবন দিয়েছিলেন, তারা এই আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

এইচএসসি ইতিহাস ১ম পত্র ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

১৯৪৭ সালে ভারত শাসন আইন অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানের দায়িত্বভার গ্রহণ করে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ আর ভারতের দায়িত্বভার অর্পিত হয় জওহরলাল নেহেরুর উপর। পাকিস্তান সৃষ্টির শুরুতেই ভাষাগত বিষয় নিয়ে গােলযােগ দেখা দেয় এর ফলে শুরু হয় ভাষা আন্দোলন। নিম্নে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হলো-

প্রথমত: ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবিতে সংগঠিত গণ আন্দোলন। এটি শুধু ভাষার মর্যাদার জন্যই গড়ে ওঠেনি। ভাষা আন্দোলনের ফলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটে। অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম পর্যায় হিসেবে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠাকে বাঙালিরা বেছে নেয়। এই বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাই ষাটের দশকে স্বৈরশাসন বিরোধী ও স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে আন্দোলনে প্রেরণা জোগায়।

দ্বিতীয়ত: ভাষা আন্দোলনের ফলে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিকাশ ঘটে। এই আন্দোলন দ্বিজাতি তত্ত্বের ধর্মীয় চেতনার মূলে আঘাত হানে। পাকিস্তান সৃষ্টির সাম্প্রদায়িক ভিত্তি ভেঙ্গে বাঙালিরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার আন্দোলন শুরু করে। এর ফলে ধীরে ধীরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে ওঠে।

তৃতীয়ত: ভাষা আন্দোলনে মুসলিম লীগ জনগণের মানসিকতা ও স্বার্থ উপেক্ষা করে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর ফলে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে দলটির শোচনীয়ভাবে পরাজয় ঘটে। এর পর আর নির্বাচনে মুসলিম লীগ জয়ী হয়নি।

চতুর্থত: ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২১ ফেব্রুয়ারি শোক দিবস হিসেবে ছুটি ও শহিদ দিবস ঘোষণা করে। ১৯৫৬ সালের সংবিধানে বাংলা ভাষা সাংবিধানিক স্বীকৃতি পায়। ১৯৬২ সালে সংবিধানে তা বহাল থাকে।

পঞ্চমত: যুক্তফ্রন্ট পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্য তুলে ধরে, যা ষাটের দশকে আওয়ামী লীগের ছয় দফায় পরিস্ফুটিত হয়। স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয় যার প্রেরণা ছিল ভাষা আন্দোলন

ষষ্ঠত: ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর স্বীকৃতি দান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।

ইতিহাস ১ম পত্র ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট

ভাষা আন্দোলন বাঙালির জাতীয়তাবাদ বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভাষা আন্দোলন সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে। পাকিস্তানের প্রতি মানুষের মনে যে মোহ ছিল তা ধীরে ধীরে কেটে যায়। বাঙালি হিসেবে নিজেদের আত্মপরিচয়ের জন্য রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি গড়ে তোলার গুরুত্ব উপলব্দি করে। ভাষা কেন্দ্রীক এই ঐক্য বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি রচনা করে। এটিই পরবর্তীকালে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভাষা আন্দোলনে নারী সমাজের ভূমিকা

বাংলাদেশের নারীদের সামাজিক মর্যাদা বহুবছর ধরে সংগ্রাম আর পুরুষের পাশাপাশি লড়াইয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’দাবির আন্দোলনে সহযোদ্ধা হয়ে ছাত্রদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন ছাত্রীরা। পাকিস্তান আর্মি ও পুলিশের তাক করা বন্দুকের নলকে উপেক্ষা করে ভাষার দাবির মিছিলগুলোতে ছিলেন তারা সামনের কাতারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা রাতে লুকিয়ে ভাষার দাবির বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত পোস্টার এঁকেছেন।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে নারীরাই পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙে। আহতদের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা রাখে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রীরা। আহতদের চিকিৎসা সাহায্যের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে মেয়েরা চাঁদা তুলে আনে। পুলিশের তাড়া খাওয়া ছাত্রদের নিজেদের কাছে লুকিয়ে রাখে। আন্দোলনের খরচ চালানোর জন্য অনেক গৃহিণী অলঙ্কার খুলে দেন। শুধু তাই নয়, ভাষা আন্দোলনে জড়িত হওয়ায় অনেক নারীকে জেলও খাটতে হয়েছে। কেউ হারিয়েছেন সংসার। কেউ আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে হয়েছেন বহিষ্কৃত। সে সময়য়র ঘটনা নিয়ে আজাদ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ, ভাষাসৈনিকদের স্মৃতিচারণা এবং দলিল ও বইতে এর প্রমাণ রয়েছে।

তমুদ্দন মজলিসে নারী

ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নারীদের অনবদ্য ভূমিকা ছিল। ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে বাংলাভাষার দাবিকে চাঙ্গা করতে গঠিত হয় তমদ্দুন মজলিস। নারী ভাষা সৈনিকদের মধ্যে আবুল কাশেমের স্ত্রী রাহেলা, বোন রহিমা এবং রাহেলার ভাইয়ের স্ত্রী রোকেয়া আন্দেলনকারী ছাত্রদের আজিমপুরের বাসায় দীর্ঘদিন রান্না-বান্না করে খাইয়েছেন। ১৯৫২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাত ৪টার দিকে আবুল কাশেমের বাসা ঘিরে ফেলে পাকিস্তান পুলিশ।

ইতিহাস ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট

ভিতরে আবুল কাশেম ও আব্দুল গফুরসহ অন্যরা ভাষা আন্দোলনের মুখপাত্র ‘সৈনিক’ পত্রিকা প্রকাশের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পুলিশ দরজায় বারবার আঘাত করলে মিসেস রাহেলা কাশেম গভীর রাতে পারিবারিক বাসায় পুলিশ প্রবেশের চেষ্টার বিরুদ্ধে পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘ তর্কবিতর্ক জড়িয়ে পড়েন। এ সুযোগে আবুল কাশেমসহ অন্যরা পেছনের দেয়াল টপকে পালাতে সক্ষম হন। এরপর পুলিশ ভিতরে ঢুকে কাউকে দেখতে না পেয়ে চলে যায়। ভাষা আন্দোলন শুরুর দিকে অন্দরমহলে নারীর এই অবদান আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচিগুলো এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

১৪৪ ধারা ভঙ্গসম্পাদনা

২১ ফেব্রুয়ারি নারী ভাষা সৈনিকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে দেয়ার মাধ্যমে আন্দোলনকারী দমাতে পুলিশের জারি করা ১৪৪ ধারা প্রথমেই ভেঙ্গে দিতে সক্ষম হন। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার মূল কাজটা রওশন আরা বাচ্চুসহ আরো কয়েকজন ছাত্রীরা দ্বারাই হয়। কারণ ১০ জন করে বের হওয়া প্রথম দুটি দলের অনেকেই গ্রেপ্তার হন। ছাত্ররা ব্যারিকেডের ওপর ও নিচ দিয়ে লাফিয়ে চলে যায়। পরে তৃতীয় দলে বেরিয়ে ব্যারিকেড ধরে টানাটানির কাজ শুরু করেন ছাত্রীরাই। সেদিন পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেলে অনেক ছাত্রী আহত হন। এরমধ্যে রওশন আরা বাচ্চু, সারা তৈফুর, বোরখা শামসুন, সুফিয়া ইব্রাহীম, সুরাইয়া ডলি ও সুরাইয়া হাকিম ছিলেন।

বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিকায়ন

পৃথিবীর ইতিহাসে ভাষার অধিকারের জন্য জীবন উৎসর্গ করা বাঙালির মতো অন্য কোনো জাতি পাওয়া যাবে না। নিজের ভাষা প্রতিষ্ঠায় একমাত্র বাঙালিই রক্ত দিয়েছিল। বাঙালি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপশক্তি দ্বারা শোষণ, বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার হয়েছে। তা থেকে মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শতাব্দীর পর শতাব্দী বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে সংগ্রাম করেছে। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধে এ দেশীয় কিছু বিশ্বাসঘাতকের ষড়যন্ত্রে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন হয়। সিরাজউদ্দৌলার পতনের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশরা উপমহাদেশে ১৯০ বছর শাসন করে।

ইতিহাস ১ম পত্র ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট / এসাইনমেন্ট

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা মাত্রই বাঙালিরা প্রথমেই ভাষার প্রশ্নে বৈষম্যের শিকার হয়। সে সময় ৫৬ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলত। আর পাকিস্তানের অভিজাত শ্রেণির মাত্র ৬ শতাংশ উর্দু ভাষা ব্যবহার করত। বাংলা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু ভাষা হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান সরকার উর্দুকে বাঙালিদের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাঙালিরা শুরু থেকেই তীব্র প্রতিবাদ ও প্রত্যাখ্যান করে। ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠায় ‘তমদ্দুন মজলিশ’ প্রতিষ্ঠা করেন। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলন করা প্রথম সংগঠনই হলো ‘তমদ্দুন মজলিশ।

ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। সেদিন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। হরতালে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দেন এবং পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। নিজের ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা আরও অনেকে শহীদ হন। বাঙালির আন্দোলনের ফল হিসেবে পরে ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সরকার সংবিধানে ২১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় ভাষণ দেন। প্রথম কোনো রাষ্ট্রনেতা হিসেবে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক পরিম-লে তিনিই উপস্থাপন করেন। তার ভাষণের মধ্য দিয়ে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদার আসনে আসীন করেছিল। মাতৃভাষার প্রতি আবেগ, অনুভূতি ও মমত্ববোধের জায়গা থেকেই তিনি বাংলায় বক্তৃতা করেছিলেন।

অবশ্য এর আগে তিনি ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে বাংলায় বক্তৃতা করেন। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘আমি বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা। বাংলার কৃষ্টি, বাংলার সভ্যতা, বাংলার ইতিহাস, বাংলার মাটি, বাংলার আকাশ, বাংলার আবহাওয়া, তাই নিয়ে বাংলার জাতীয়তাবাদ।’ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আমলে ১৯৫২ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নয়া চীনের আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সম্মেলনে ৩৭টি দেশ থেকে ৩৭৮ জন প্রতিনিধি যোগদান করেছে।

ইতিহাস ১ম পত্র ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট

বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কোর প্রস্তাবে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের জন্য ১৮৮টি দেশ সমর্থন করে এবং ২০০০ সাল থেকে ২১ ফেব্রুয়ারিকে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশ দিবসটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছে।

বৈশ্বিক পরিসরে কোনো দেশ হিসেবে আফ্রিকার সিয়েরা লিওন বাংলাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাকে তারা মর্যাদা দেয়। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষার প্রসার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলা ভাষায় সংগীত, বইমেলা, কবিতা আবৃত্তি, বাংলা পত্রিকা, অনলাইন বাংলা পত্রিকা, টিভি চ্যানেল, সাপ্তাহিক পত্রিকা, বাংলা রেডিও স্টেশন, বাংলাভাষী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলা ভাষা আরও বিস্তৃতভাবে বৈশ্বিক রূপ লাভ করেছে।

উনিশ শতক থেকেই যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের প্রাচ্যবিদ্যা ও ভাষাচর্চা বিভাগ বাংলা নিয়ে গবেষণার কাজ করছে। এখানে বাঙালি গবেষকদের সঙ্গে জেডি অ্যান্ডারসন, টি ডব্লিউ ক্লার্ক, জন বোল্টন, উইলিয়াম রাদিচে, হানা রুথ টমসনের মতো গবেষকরা গ্রুপভিত্তিক গবেষণা করছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অদিতি লাহিড়ী দীর্ঘ সময় ধরে বাংলা রূপতত্ত্ব ও ধ্বনিতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় দশটি বিশ্ববিদ্যালয় ও এশীয় গবেষণা কেন্দ্রে বাংলা ভাষার চর্চাকেন্দ্রিক কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

এ ক্ষেত্রে নিউইয়র্ক, শিকাগো, মিনেসোটা, ফ্লোরিডা, মেরিল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়া, ভার্জিনিয়া, উইসকনসিন ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জাস্টিন আলফান্সো চাকোন বাংলা ভাষার অর্থপ্রকাশে মনস্তত্ত্বের প্রভাব; নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মারিয়া হেলেন বেরো নজরুল সাহিত্য; ক্লিনটন, বি সিলি জীবনানন্দ দাশ ও তার কবিতা, যুক্তরাজ্যের কবি ও গবেষক উইলিয়াম রাদিচের রবীন্দ্রনাথের অনুবাদ নিয়ে গভীরভাবে গবেষণার কাজ করছেন এবং এ বিষয়গুলোতে সফলতা লাভ করেছেন।

ইতিহাস ১ম পত্র ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট 

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা ভাষার চর্চা ও গবেষণার মাধ্যমে এর প্রসার ঘটাচ্ছেন সে দেশেরই গবেষকরা। শেখানোর বাইরেও গবেষণা হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ ও লালন সাঁইকে নিয়েও। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে যেসব গবেষক কাজ করছেন তাদের মধ্যে ক্লিনটন, বি সিলি, র‌্যালফ নিকোলাস, ক্যারল সলোমন, ক্যারোলিন রাইট, হেনরি গ্লাসি উল্লেখযোগ্য। মধ্যযুগের মঙ্গলকাব্য, লালন সাঁই এবং মাইকেল মধুসূদন দত্তকে নিয়ে প্রচুর গবেষণার কাজ অব্যাহত আছে।

কানাডার জোসেফ ও’কনেল, রাজেন্দ্র সিংহ এবং ভ্যাংকুভারে ব্যারি মরিসনসহ বেশ কয়েকজন বাংলায় শিক্ষাদান ও গবেষণার কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের বিভিন্ন গবেষণাপত্র বাংলা ভাষার বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রাচুর্য তুলে ধরায় সে দেশের মানুষসহ অনেক দেশে এ ভাষার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

বলা হয়ে থাকে, আগামী ১০০ বছরে প্রায় ৩ হাজার ভাষা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বর্তমানে পৃথিবীতে আট হাজারেরও অধিক ভাষা প্রচলিত আছে। তবে হাজারো ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষা পৃথিবীতে অত্যন্ত মর্যাদার আসনেই আছে। ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলা ভাষার অবস্থান পৃথিবীতে এখন সপ্তম। প্রায় ৩০ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। সারা পৃথিবীতেই বাংলা ভাষার ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এইচএসসি ইতিহাস ১ম পত্র ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১

এইচএসসি ২০২১ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান লিস্ট

পরীক্ষার বছরসপ্তাহের নামঅ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
এইচএসসি ২০২১১ম সপ্তাহঅ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
এইচএসসি ২০২১২য় সপ্তাহঅ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
এইচএসসি ২০২১৩য় সপ্তাহঅ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
এইচএসসি ২০২১৪র্থ সপ্তাহঅ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
এইচএসসি ২০২১৫ম সপ্তাহঅ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
এইচএসসি ২০২১৬ষ্ঠ সপ্তাহঅ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

পরীক্ষার প্রশ্ন সলভ, এসাইনমেন্ট সলভ, বৃত্তি, শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহ সকল খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Facebook

YouTube

Join Our Official Facebook

ইতিহাস এসাইনমেন্ট ৭ম সপ্তাহ, পৌরনীতি ও সুশাসন ৭ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট, ইতিহাস এসাইনমেন্ট ৭ম সপ্তাহ উত্তর, এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২১ ৭ম সপ্তাহ, এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২১ ৭ম সপ্তাহ প্রশ্ন, ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার এসাইনমেন্ট ৭ম সপ্তাহ উত্তর, ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার এসাইনমেন্ট ৩য় সপ্তাহ সমাধান, ইতিহাস এসাইনমেন্ট ৭ম সপ্তাহ,

Sponsored by
ScholarshipBD24
Sponsored by

ScholarshipBD24

𝑺𝒄𝒉𝒐𝒍𝒂𝒓𝒔𝒉𝒊𝒑𝑩𝑫𝟐𝟒 𝒊𝒔 𝒂𝒏 𝒖𝒑𝒅𝒂𝒕𝒆𝒅 𝒍𝒊𝒔𝒕𝒊𝒏𝒈 𝒐𝒇 𝒔𝒄𝒉𝒐𝒍𝒂𝒓𝒔𝒉𝒊𝒑𝒔 𝒇𝒐𝒓 𝑩𝒂𝒏𝒈𝒍𝒂𝒅𝒆𝒔𝒉𝒊 𝒔𝒕𝒖𝒅𝒆𝒏𝒕𝒔 𝒘𝒉𝒐 𝒍𝒐𝒐𝒌𝒊𝒏𝒈 𝒕𝒐 𝒎𝒆𝒆𝒕 𝒕𝒉𝒆𝒊𝒓 𝒇𝒊𝒏𝒂𝒏𝒄𝒊𝒂𝒍 𝒏𝒆𝒆𝒅𝒔. 𝑾𝒆 𝒉𝒆𝒍𝒑𝒆𝒅 𝒔𝒕𝒖𝒅𝒆𝒏𝒕𝒔 𝒇𝒊𝒏𝒅 𝒎𝒐𝒏𝒆𝒚 𝒇𝒐𝒓 𝒔𝒕𝒖𝒅𝒚 𝒂𝒔 𝒘𝒆𝒍𝒍 𝒂𝒔 𝒍𝒆𝒂𝒓𝒏 𝒂𝒃𝒐𝒖𝒕 𝒕𝒉𝒆 𝒆𝒏𝒕𝒊𝒓𝒆 𝒇𝒊𝒏𝒂𝒏𝒄𝒊𝒂𝒍 𝒂𝒊𝒅 𝒑𝒓𝒐𝒄𝒆𝒔𝒔.

Previous Post

ডেন্টাল ভর্তি প্রশ্ন সমাধান ২০২১ (Dental Admission Question Solution 2021)

Next Post

ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ৭ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান | এইচএসসি ২০২১

admin1

admin1

Related Posts

ইমদাদ সিতারা খান ফাউন্ডেশন বৃত্তি

ইমদাদ-সিতারা খান বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি-২০২৪ | Imdad Sitara Khan Scholarship Circular

August 6, 2024
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি  ২০২৩ ফলাফল প্রকাশিত

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২৩ ফলাফল প্রকাশিত

May 12, 2024

সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি রেজাল্ট ২০২৩ | Sonali Bank Scholarship Result 2023

February 9, 2024
সোনালী ব্যাংক বৃত্তি | প্রাথমিক সিলেকশন রেজাল্ট পরবর্তী করণীয়

সোনালী ব্যাংক বৃত্তি | প্রাথমিক সিলেকশন রেজাল্ট পরবর্তী করণীয়

February 9, 2024
CZM জিনিয়াস শিক্ষাবৃত্তির অনলাইন আবেদন প্রসেস

CZM জিনিয়াস শিক্ষাবৃত্তির অনলাইন আবেদন প্রসেস

January 24, 2024
সিজেডএম (CZM) জিনিয়াস শিক্ষাবৃত্তি সার্কুলার ২০২৪

সিজেডএম (CZM) জিনিয়াস শিক্ষাবৃত্তি সার্কুলার ২০২৪

January 29, 2024
Next Post
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ৭ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ৭ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান | এইচএসসি ২০২১

এইচএসসি ৭ম সপ্তাহ হিসাববিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট

এইচএসসি ২০২১ ৭ম সপ্তাহ হিসাববিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

">
  • Trending
  • Comments
  • Latest
শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদানের আবেদন

শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদানের আবেদন পদ্ধতি-২০২৪

January 29, 2024
সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২৩ | Sonali Bank Scholarship 2023 for SSC and HSC Batch

সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২৩ | Sonali Bank Scholarship 2023 for SSC and HSC Batch

December 19, 2023
সিজেডএম (CZM) জিনিয়াস শিক্ষাবৃত্তি সার্কুলার ২০২৪

সিজেডএম (CZM) জিনিয়াস শিক্ষাবৃত্তি সার্কুলার ২০২৪

January 29, 2024
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি সার্কুলার ২০২৩ (Shahjalal Islami Bank Scholarship)

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি সার্কুলার ২০২৩ (Shahjalal Islami Bank Scholarship)

August 16, 2023
Medha Britti

আর্থিক অস্বচ্ছল ও মেধাবীদের জন্য মাসিক বৃত্তি

45
মেডিকেল ভর্তি ফল প্রকাশ

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত

30
ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি  বিস্তারিত।Dutch Bangla Bank Scholarship Details

ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি বিস্তারিত।Dutch Bangla Bank Scholarship Details

25
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি সার্কুলার ২০২৩ (Shahjalal Islami Bank Scholarship)

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি সার্কুলার ২০২৩ (Shahjalal Islami Bank Scholarship)

21
ইমদাদ সিতারা খান ফাউন্ডেশন বৃত্তি

ইমদাদ-সিতারা খান বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি-২০২৪ | Imdad Sitara Khan Scholarship Circular

August 6, 2024
প্রাইমারি সিলেকশন লেটার প্রিন্ট ও পরবর্তী করনীয় DBBL Primary Section Letter

প্রাইমারি সিলেকশন লেটার প্রিন্ট ও পরবর্তী করনীয় DBBL Primary Section Letter

June 12, 2024
স্নাতক ও ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের উপবৃত্তি, মিলবে ১০,০০০

স্নাতক ও ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের উপবৃত্তি, মিলবে ১০,০০০

May 18, 2024
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তির অনলাইন আবেদন প্রসেস ২০২৪ (DBBL Scholarship Application)

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তির অনলাইন আবেদন প্রসেস ২০২৪ (DBBL Scholarship Application)

May 14, 2024

Browse by category

  • সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২৩ | Sonali Bank Scholarship 2023 for SSC and HSC Batch

    সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২৩ | Sonali Bank Scholarship 2023 for SSC and HSC Batch

    1605 shares
    Share 642 Tweet 401
  • শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদানের আবেদন পদ্ধতি-২০২৪

    1692 shares
    Share 677 Tweet 423
  • শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি সার্কুলার ২০২৩ (Shahjalal Islami Bank Scholarship)

    859 shares
    Share 344 Tweet 215
  • আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২৩ ফলাফল প্রকাশিত

    839 shares
    Share 336 Tweet 210
  • সিজেডএম (CZM) জিনিয়াস শিক্ষাবৃত্তি সার্কুলার ২০২৪

    971 shares
    Share 388 Tweet 243
  • প্রাইম ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২৩ | Prime Bank Scholarship Circular 2023

    618 shares
    Share 247 Tweet 155
  • ডাচ্-বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২৪ সার্কুলার | DBBL SSC Scholarship 2024

    513 shares
    Share 205 Tweet 128
  • জেলা পরিষদ শিক্ষাবৃত্তি সার্কুলার – ২০২৩ প্রকাশিত | District Council Scholarship Circular

    620 shares
    Share 248 Tweet 155
  • ডাচ্-বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২৩ | DBBL Scholarship HSC 2022

    592 shares
    Share 237 Tweet 148
  • পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র সমাধান (এইচএসসি-২০২১)

    660 shares
    Share 264 Tweet 165
">
eduguideline.com

Eduguideline এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দেশের সকল বিদ্যার্থীদের কাছে প্রতিটি শিক্ষা বিষয়ক প্রয়োজনীয় খবর (শিক্ষা, বৃত্তি, ভর্তিযুদ্ধ, চাকরী, প্রযুক্তি) সবার আগে পৌঁছে দেওয়া। দ্রুততার সাথে সকল তথ্য পেতে ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

Follow Us

Facebook Youtube

Browse by Category

  • English Grammar
  • English Grammar
  • Hot Update
  • অন্যান্য খবর
  • অন্যান্য শিক্ষাবৃত্তি
  • আন্তর্জাতিক শিক্ষাবৃত্তি
  • ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তিযুদ্ধ
  • এইচএসসি
  • এইচএসসি এসাইনমেন্ট
  • এমবিবিএস এডমিশন
  • এসএসসি
  • এসএসসি এসাইনমেন্ট
  • চাকরির খবর
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
  • জেলাপরিষদ শিক্ষাবৃত্তি
  • প্রযুক্তি
  • ফলাফল
  • বিডি অর্থনীতি
  • বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধ
  • বিসিএস
  • ব্যাংক স্কলারশিপ
  • ভর্তি যুদ্ধ
  • শিক্ষা
  • শিক্ষাবৃত্তি
  • সম্পাদকীয়
  • সম্পাদকীয়
  • সাবজেক্ট রিভিউ

Founder and CEO

eduguideline.com

Md Ashiquzzaman Ashik

Web Developer and Designer(ashikerudite.com))

Also Founder and CEO at https://scholarshipbd24.com

  • এই ওয়েবসাইটে লিখতে চান
  • বিজ্ঞাপন দিন
  • Contact us
  • About us
  • Privacy Policy
  • Sitemap
  • Terms and Conditions

© Copyright 2024 all right reserved

No Result
View All Result
  • শিক্ষাবৃত্তি
    • ব্যাংক স্কলারশিপ
    • আন্তর্জাতিক শিক্ষাবৃত্তি
    • জেলাপরিষদ শিক্ষাবৃত্তি
    • অন্যান্য শিক্ষাবৃত্তি
  • ভর্তি যুদ্ধ
    • বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধ
    • ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তিযুদ্ধ
    • এমবিবিএস এডমিশন
  • এইচএসসি
    • এইচএসসি এসাইনমেন্ট
  • এসএসসি
    • এসএসসি এসাইনমেন্ট
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
  • চাকরির খবর
  • শিক্ষা
    • বিসিএস
    • ফলাফল
  • প্রযুক্তি
  • অন্যান্য খবর

© Copyright 2024 all right reserved

close