এইচএসসি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলোঃ
৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান
স্তর: এইচএসসি পরিক্ষা ২০২১, বিভাগ: ব্যবসায় শিক্ষা, বিষয়: উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন, বিষয় কোড: ২৮৭, মোট নম্বর: ২০, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০৪
অ্যাসাইনমেন্ট ও অধ্যায়ের শিরােনাম: অধ্যায়-তৃতীয়; বিপণন কার্যাবলি।
অ্যাসাইনমেন্ট: বিপণন কার্যাবলি বিশ্লেষণ;
শিখনফল/বিষয়বস্তু:
১. বিপণন কার্যাবলির ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
২. ক্রয় ও বিক্রয়ের ধারণা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।
৩, পরিবহন ও গুদামজাতকরণের ধারণা ও সুবিধা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
৪. প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণের ধারণা ও সুবিধা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
৫. মােড়কিকরণের ধারণা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।
নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):
ক. বিপণন কার্যাবলির। ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।
খ. ক্রয় ও বিক্রয়ের ধারণা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে।
গ. পরিবহন ও গুদামজাতকরণের ধারণা ও সুবিধা ব্যাখ্যা করতে হবে।
ঘ. প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণের ধারণা ও সুবিধা ব্যাখ্যা করতে হবে।
ঙ. মােড়কিকরণের ধারণা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে।
উত্তর শুরু
(ক)উত্তরঃ
বিপণন কার্যাবলীর ধারণা স্বাভাবিকভাবে আমরা বলতে পারি, বিপণন কার্য হল শুধুমাত্র ক্রয় ও বিক্রয়কেই বুঝে থাকে। যেকোনাে ধরনের পণ্যের কেনাবেচা বিপণন কার্যক্রমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে।
প্রকৃতপক্ষে বিপণন বলতে শুধুমাত্র পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের কার্যক্রমকে বাঝাই না। বিপণন কার্যক্রম বলতে আমরা ঐ সমস্ত কাজের সমষ্টিকে বুঝায় যেখানে দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদকের নিকট থেকে ভােক্তার নিকট পৌঁছে দেওয়ার যাবতীয় কার্যাবলী।
আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্ত দ্রব্য বা পণ্য ব্যবহার করি তা সরাসরি উৎপাদন নিকট থেকে পাইনা। এখানে উৎপাদক থেকে শুরু করে খুচরা ব্যবসায়ী পর্যন্ত বিভিন্ন বিভিন্ন ধাপে হাতবদল হয়ে প্রকৃত ভােক্তার নিকট পৌঁছে যায়।
সাধারণত বিপণনে ক্রয়, বিক্রয়, পরিবহন, গুদামজাতকরণ, প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণ, অর্থসংস্থান, মােড়কীকরণ, ঝুঁকি-বহন, বাজার তথ্য সংগ্রহ, মূল্য নির্ধারণ, পণ্যের প্রসার ইত্যাদি কাজ সম্পাদিত হয়।
এসব কাজের সমন্বয় বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন হয়। পরিশেষে বলা যায়, পণ্য বা সেবার ধারণার সৃষ্টি থেকে শুরু করে,
ক্রেতাদের মাঝে তা পরিচিতিকরণ, ক্রয়ে উৎসাহ প্রদান, পণ্য বণ্টন, মূল্য নির্ধারণ, ক্রয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা প্রদান এবং বিক্রয়ােত্তর সেবাসহ বিভিন্ন কাজের সাথে বিপণন কার্যাবলীর সাথে জড়িত।
(খ)উত্তরঃ
ক্রয়ের ধারণা ও গুরুত্ব
সাধারণ অর্থে, একটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘ক্রয় হলাে ভােক্তার চাহিদা পূরণ করার
জন্য সরবরাহকারীর নিকট থেকে প্রয়ােজনীয় পণ্য সংগ্রহ। ক্রয়ের মাধ্যমে পণ্যের
ওপর ক্রেতার মালিকানা বা স্বত্বগত উপযােগ সৃষ্টি করা যায়। তাই বলা যায়, ক্রয়
হলাে বিপণনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা বিনিময়ের সাথে সম্পৃক্ত।
বিপণনের
ক্ষেত্রে ক্রয়কার্য কয়েকটি বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকে।
সেগুলাে হলােঃ
১) পণ্যের প্রয়ােজন নির্ধারণের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নও বাস্তবায়ন
২) সঠিক সরবরাহের উৎস নির্বাচন;
৩)পণ্যের উপযুক্ততা যাচাইকরণ
৪) পণ্যের মূল্য ডেলিডারী ইত্যাদি সংক্রান্ত শর্ত নিরূপণ
স্বত্ব হস্তান্তর।
৫)ক্রয়ের গুরুত্ব
সহজে বিক্রয়ঃ
ক্রয় কৃত কঁচামালের গুণগত মানের উপর উৎপাদন ও বিক্রয়ের পরিমাণ নির্ভর
করে। ওই জন্য উৎপাদনের কাচামাল ক্রয় করার ক্ষেত্রে গুণগত মানসম্পন্ন কাঁচামাল
ক্রয় করা প্রয়ােজন। এতে সর্বোচ্চ পরিমাণে বিক্রয় নিশ্চিত হয়।
ভােক্তার সন্তষ্টি অর্জনঃ
কোন একটি দ্রব্য যখন ভােক্তা ক্রয় করে এবং এই দ্রব্য থেকে যদি সর্বোচ্চ উপযােগ
গ্রহণ করতে পারে তাহলে ভােক্তার সন্ভুষ্টি অর্জন হয়। এই পণ্য উৎপাদন করার ক্ষেত্রে
এমন কাঁচামাল ব্যবহার করা উচিত যেটা কিনে গ্রাহক সর্বোচ্চ পরিমাণ সন্ত্রষ্টি অর্জন
করতে পারে।
প্রতিযােগিতা মােকাবেলাঃ
প্রতিযােগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে উৎকৃষ্ট মানের পণ্য বিক্রি করতে হবে। তাই
উৎপাদন ভালাে হওয়ার জন্য অবশ্যই সর্বোচ্চ মানের কাঁচা মাল নির্বাচন করতে হবে।
স্বল্প খরচে উৎকৃষ্ট মানের কাঁচামাল দিয়ে উৎপাদিত পণ্য বাজার দখল ও
প্রতিযােগিতার বাজারে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে।
মুনাফা বৃদ্ধিঃ
ন্যায্য মুল্যের মান-সম্মত পণ্য ডােক্তাদের অধিক পরিমাণে আকৃষ্ট করে। ন্যায্য মূল্য
নিশ্চিত করতে হলে কঁচামাল ক্রয় করার সময় ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ফলে
উৎকৃষ্টমানের দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদনের পাশাপাশি সর্বোচ্চ মুনাফা নিশ্চিত করা সম্ভব।
বিক্রয়ের ধারণা ও গুরুত্ব
বিক্রয় বলতে কোন দ্রব্য বা পন্যের মালিকানা অন্য ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা।
বিক্রয় কার্য শুধু পণ্যের স্বদ্ব হস্তান্তরের সাথেই জড়িত নয় চাহিদা সৃষ্টি, ক্রেতা
অনুসন্ধান, ক্রেতার প্রয়ােজনের সাথে বিক্রেতার পণ্যের সামঞ্জস্য বিধান এবং বিক্রয়
সংক্রান্ত শর্তাদনি নিরূপণ এর অন্তর্ভূক্ত। বিক্রেতা ক্রেতার অবচেতন মনে পণ্যের সুপ্ত
প্রয়ােজনীয়তাউদ্দীপ্ত করে তােলে ও সক্রিয় চাহিদার সৃষ্টি করে। চাহিদা সৃষ্টির জন্য
সে বিভিন্ন প্রসার মাধ্যম ব্যবহার করে (যেমন বিজ্ঞাপন বিক্রয় প্রসার, ব্যক্তিক
বিক্রয় ও জনসংযােগ)। চুড়ান্ত বিক্রয়কার্য সম্পাদনের জন্য চাহিদা সৃষ্টিই যথেষ্ট নয়,
পণ্য ক্রয়ের জন্য কাজ্খিত ক্রেতাও খুঁজে বের করতে হয়।
পরিশেষে বলা যায়, পণ্য উৎপাদনের পর চুড়ান্ত পণ্যটিকে অর্থের বিনিময়ে অন্য
কোনাে পক্ষের নিকট মালিকানা হস্তান্তর করার প্রক্রিয়ায় হচ্ছে বিক্রয়।
বিক্রয় এর গুরুত্বঃ
সর্বোচ্চ মুনাফা নিশ্চিতকরনঃ
উৎপাদিত পণ্য যত বেশি বিক্রি হবে ব্যবসায়ীর তত বেশি মুনাফা নিশ্চিত হবে।
এক্ষেত্রে যদি মানসম্পন্ন পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বিক্রি করা যায়, তাহলে ব্যবসায়ে
সর্বোচ্চ মুনাফা সৃষ্টি করা সম্ভব। বিক্রয় ব্যতীত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয় না। বিক্রয় না করলে ব্যবসায়ে মুনাফা নিশ্চিত করা অসম্ভব।
উৎপাদন ব্যয় হ্রাসঃ
প্রাথমিক অবস্থায় উৎপাদন খরচ বেশি থাকে। যখন দিন দিন বিক্রয়ের পরিমাণ বেড়ে
যাবে এক প্রতি উৎপাদন খরচ কমে যাবে। এজন্য উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করার ক্ষেত্রে
পণ্য বিক্রি করা আবশ্যক। তাই চলমান ব্যবসার ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে উৎপাদনের মাত্রা
বাড়াতে হবে।
নগদ প্রবাহ সৃষ্টিঃ
ব্যবসায় এবং উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে মূলধন
প্রয়ােজন। উৎপাদনের প্রথমদিকে কঁচামাল সংগ্রহ এবং যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে
বেশিরভাগ মূলধন ব্যয় হয়ে যায়। এক্ষেত্রে যদি বিক্রয়ের পরিমাণ আস্তে আস্তে
বাড়ানাে যায় তাহলে ব্যবসায়ী নগদ আন্তঃপ্রবাহ সৃষ্টি হবে। এতে করে ব্যবসায়ী
বাড়তি কোন মূলধন সংগ্রহের প্রয়ােজন পড়ে না।
বাজার সম্প্রসারণঃ
সর্বোচ্চ পরিমাণ বিক্রয় নিশ্চিত না হলে ব্যবসা সম্প্রসারণ করাও সম্ভব না। ধীরে
ধীরে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়লে উপার্জনের পথও সম্প্রসারিত হবে। প্রতিযােগিতার
বাজারে টিকে থাকতে হলে মান সম্পন্ন, ন্যায্য মূল্যের পণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে
হবে। এর ফলে ধীরে ধীরে ব্যবসা সম্প্রসারিত হবে।
(গ) উত্তরঃ
পরিবহনের ধারণা ও গুরুত্ব
যেখানে পণ্য উৎপাদিত হয় সেখান থেকে যে স্থানে পণ্য ভােগ হয় সে স্থানে পণ্য
স্থানান্তর করে পরিবহন স্থানগত উপযােগ সৃষ্টি করে। পরিবহন বিপণনের একটি
গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিপণনের যে বিশেষ কার্যক্রমের মাধ্যমে পণ্য সামগ্রী উৎপাদন
নিকট থেকে ক্রেতাদের নিকট পৌঁছানাে হয় এবং স্থানগত উপযােগ সৃষ্টি করা হয়
তাকে পরিবহন বলে। উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী তার নিকট পৌঁছানাের ক্ষেত্রে পরিবহন
ও যােগাযােগ ব্যবস্থা সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দেশের সর্বত্র সুষ্ঠু বন্টন
নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আধুনিক পরিবহনব্যবস্থা অতীব জরুরী।
পরিবহনের ধারণা থেকে আমরা বলতে পারি-
- পরিবহন সুষ্ঠু বন্টন নিশ্চিত করে।
- স্থানগত উপযােগ সৃষ্টি করে।
- উৎপাদক এবং ভােক্তাদের সাথে সমন্বয় সৃষ্টি করে।
- উৎপাদনের চাকা সচল করে।
পরিবহনের সুবিধাঃ
স্থানগত উপযােগ সৃষ্টিঃ
পরিবহনের মাধ্যমে স্থানগত উপযােগ সৃষ্টি হয়। কারণ যেকোন স্থানে পরিবহনের
মাধ্যমে দ্রব্যসামগ্রী পাঠানাে সম্ভব। পরিবহনে ব্যবস্থার ফলে আমাদের দেশে উৎপাদিত
পণ্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা সম্ভব হয় বলে, ওই দেশের মানুষ খুব সহজে
আমাদের পণ্য গুলাে পেয়ে উপকৃত হয়।
চূড়ান্ত ভােক্তার নিকট পৌঁছানােঃ
উৎপাদিত পণ্য চূড়ান্ত গ্রাহকের নিকট পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবহনব্যবস্থা
সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। াই পন্যের বন্টন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে উন্নত
পরিবহন ব্যবস্থা অধিক জরুরি।
আমদানি রপ্তানির সুযােগ সৃষ্টিঃ
পৃথিবীর সব দেশ সকল ধরনের পণ্য উৎপাদনে পারদর্শী বা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। স্থানীয়
উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি অন্যান্য দ্রব্যের চাহিদা থাকে। যেমনঃ বাংলাদেশের
উৎপাদিত চা, বস্ত্ৰ ও পােশাক, চিংড়ি পরিবহনের মাধ্যমে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে
সহজে রপ্তানি করা যায়।
বাজার সম্প্রসারণঃ
দেশের যেকোনাে একটি স্থানে উৎপােদিত দ্রব্য গুলাে পরিবহনের মাধ্যমে অন্যান্য
অঞ্চল গুলােতে পৌঁছে দেওয়া হয়। যেসব অঞ্চলে অধিক পরিমাণে চাহিদা সৃষ্টি হয়
সেসব স্থানে সহজে পরিবহনের মাধ্যমে অন্য বন্টন করা সহজ। তাই চাহিদা বাড়ার
সাথে সাথে ব্যবসা সম্প্রসারণ করা সম্ভব এবং কাঙ্খিত গ্রাহকের নিকট পণ্য সামগ্রী
পৌঁছে দেওয়া যায়।
গুদামজাতকরনের ধারণা ও গুরুত্ব
বিপণনের প্রায় প্রত্যেক পর্যায়েই পণ্য সংরক্ষণের প্রয়ােজন হয়। পণ্যের উৎপাদন ও
চূড়ান্ত বিক্রয়ের মধ্যবর্তী সময়ে সঠিক অবস্থায় পণ্য নিরাপদে রাখাকেই
গুদামজাতকরন বলা যায়। সংরক্ষণ কার্য বন্টন প্রণালির প্রায় সর্বস্তরেই সম্পাদিত
হয়ে থাকে। উৎপাদক যেমন তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত নিজের কাছে
রেখে দেয়, ঠিক অনুরূপভাবে পরিবহন এজেন্সী, পণ্যাগার কর্তৃপক্ষ এবং পাইকার ও
খুচরা ব্যবসায়ীদের মতাে অন্যান্য মধ্যস্থব্যবসায়ীগণও পণ্য সংরক্ষণ করে থাকে।
গুদামজাতকরন এর মাধ্যমে পণ্যের সময়গত উপযােগ সৃষ্টি হয়। এর ফলে একটা
নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উৎপাদিত পণ্য গুলাে জমা করে রাখা যায়। তাহলে পরিশেষে
বলতে পারি পণ্য দ্রব্য উৎপাদনের সময় থেকে বিক্রয় বা ভােগের সময় পর্যন্ত
সংরক্ষণ করে রাখার প্রক্রিয়া ই হচ্ছে গুদামজাতকরন।
গুদামজাতকরন ধারণা থেকেই আমরা বলতে পারি-
- পণ্যের সময়গত উপযােগ সৃষ্টি হয়।
- মৌসুম ছাড়াও পণ্যদ্রব্য ভােগ করা সম্ভব।
- দীর্ঘদিন ধরে পণ্যের সংরক্ষণ নিশ্চিত করা যায়।
- বিক্রয় ও ভােগের সামঞ্জস্য বিধান করে।
গুদামজাতকরনের সুবিধাঃ
পন্যের গুণগত মান নিশ্চিতঃ
গুদামজাতকরন এর মাধযমে পণ্য সামগ্রী কে দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
এর ফলে ওইসব পণ্যসামগ্রীর গুণগত মান ঠিক থাকে। তাছাড়াও পণ্য নষ্ট হওয়ার
তেমন ঝুঁকি থাকে না।
সময়গত উপযােগ সৃষ্টিঃ
গুদামজাতকরন এর মাধ্যমে পণ্যের সময়গত উপযােগ সৃষ্টি করা সম্ভব। কারণ
উৎপাদনের পর পণ্য সামগ্রী দীর্ঘদিন পর্যন্ত গুদামে ধরে রাখা যায়। পণ্য বিক্রি না হলে
ও ব্যবসায়ীরা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হন না। যখন পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হয় তখন সংরক্ষিত
পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
উচ্চ মূল্য নিশ্চিতকরণঃ
পণ্য উৎপাদনের সময় বা সিজনে পনে্যের তেমন মূল্য পাওয়া যায় না। তাই যে সমস্ত
পণ্যের সারা বছর ব্যাপী চাহিদা থাকে ঐ সমস্ত পণ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায়। মৌসুম
ব্যতীত অন্যান্য সময়ে পণ্যের চাহিদা থাকে বলে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করা যায়।
এতে করে সর্বোচ্চ মুনাফা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
অপচয় হ্রাসঃ
অনেক সময় উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় না হলে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে
ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হন। গুদামজাত করণ এর ফলে পণ্য সামগ্রী সংগ্রহ করা
যায়। এতে নষ্ট হওয়ার কোনাে সম্ভাবনা থাকেনা। ফলে উৎপাদিত পণ্যের অপচয়
রােধ করা সম্ভব হয়।
(ঘ) উত্তর
এইচএসসি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১
(ঙ)উত্তরঃ
মােড়কীকরণের ধারণা ও গুরুত্ব
সাধারণ অর্থে, মােড়কিকরণ হলাে পণ্যকে বিপণনযােগ্য করার জন্য প্যাকিং বা
মােড়ক-বাঁধাই করার কাজ।
শিল্পজাত পণ্যের ক্ষেত্রে মােড়ক-বাঁধাই অধিক প্রয়ােজনীয়। কৃষিজাত পণ্যের মধ্যে
পাস্তুরিত দুধ, মাছ-মাংস ইত্যাদি প্যাকিং করে (প্রক্রিয়াজাতের পর) বিক্রয় করা হয়।
কেবলমাত্র বিনষ্টের হাত থেকে রক্ষার জন্য পণ্য প্যাকিং করা হয় না, পণ্যকে ডােক্তা
বা ব্যবহারকারীর নিকট আকর্ষণীয় করে তােলাও মােড়কিকরণের অন্যতম উদ্দেশ্য।
সুতরাং, মােড়কিকরণ হলাে পণ্যের নির্দিষ্টমান সংরক্ষণ, পরিবহন ও ক্ষতির হাত
থেকে রক্ষা করার জন্য পণ্যের মােড়ক নির্ধারণ, নক্সাকরণ, উন্নয়ন ও পণ্যের গায়ে
লাগানাের সাথে জড়িত সকল কাজের সমষ্টি।
মােড়কীকরণ ধারণা থেকে বলা যায়,
- পণ্যদ্রব্যের বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে
- ক্ষতির হাত থেকে পণ্য সামগ্রীকে রক্ষা করে
- গ্রাহকের কাছে পন্যকে আকর্ষণীয় করে তােলে
- দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়
এইচএসসি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান এইচএসসি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান এইচএসসি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান এইচএসসি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান এইচএসসি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান এইচএসসি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান এইচএসসি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান এইচএসসি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান এইচএসসি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
মােড়কীকরণের গুরুত্বঃ
গুণগত মান রক্ষাঃ
মােড়কীকরণ এর মাধ্যমে পণ্যের গুণগত মান রক্ষা করা সম্ভব। এমন কতগুলাে পণ্য
রয়েছে যেগুলাের গুণগত মান অনেক ক্ষেত্রে মােড়কিকরণের ওপর নির্ভর করে।
যেমন: চানাচুর, বিস্কুট, চিপস্ ইত্যাদি সংরক্ষণ করতে বায়ুরােধী মােড়ক ব্যবহার করা
হয়। এতে পণ্যের গুণগত মান অক্ষুল্ন থাকে।
সহজ সংরক্ষণঃ
সংরক্ষণের অভাবে অনেকগুলাে পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই কিছু কিছু পণ্য রয়েছে
যেগুলাে পরবর্তীতে বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে হয় যেমন: শুটকি মাছ,
ঔষধ, টমেটো ইত্যাদি। মােড়কিকরণের মােধ্যমে এ জাতীয় বিভিন্ন পণ্য গুদামঘর বা
হিমাগারে নিশ্চিন্তে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এতে দীর্ঘদিন ধরে পণ্য সামগ্রী কে
সতেজ রাখা যায়।
বিক্রয়ের সুবিধাঃ
পণ্যের দাম সহ গুণগতমান মুখের উপর লেখা থাকে। তাছাড়াও মােড়কিকরণ এমন
একটি আবরণ যেখানে পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ থাকে।
এর ফলে বিক্রেতাকে
পণ্য বিক্রয়ে তেমন ঝামেলা পােহাতে হয় না। অর্থাৎ ক্রেতারা বিক্রয়কর্মীর সহায়তা
ছাড়াই পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে। ফলে সহজে পণ্য ক্রয় করা সম্ভব হয়
সহজ পরিবহনঃ
পণ্য পরিবহনের সময় যাতে করে পণ্যের কোনাে ক্ষতি না হয় সে জন্য
কোম্পানিগুলাে মােড়কিকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
বর্তমান সময়ে অন্যান্য
পণ্যের পাশাপাশি হাতিল, আখতার, অটবি-এর আসবাবপত্রগুলােও মােড়কিকরণ
করে বিক্রয় করা হয়, যাতে করে পরিবহনের সময় পণ্যের কোনাে ক্ষতি না হয়।
চাহিদা বৃদ্ধিঃ
মােড়কীকরন যেকোনাে পণ্যকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তােলে। ওই দ্রব্যর
মধ্যে গুনাগুন থাকুক বা না থাকুক দেখতে আকর্ষনীয় হলেও বেশিরভাগ ক্ষত্রে
ক্রেতারা পণ্যটি কিনে ফেলেন। যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা অবশ্যই এই বিষয়গুলাে
মাথায় রাখেন।
এইচএসসি ২০২১ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান লিস্ট
পরীক্ষার বছর | সপ্তাহের নাম | অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর |
এইচএসসি ২০২১ | ১ম সপ্তাহ | অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর |
এইচএসসি ২০২১ | ২য় সপ্তাহ | অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর |
এইচএসসি ২০২১ | ৩য় সপ্তাহ | অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর |
এইচএসসি ২০২১ | ৪র্থ সপ্তাহ | অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর |
এএইচএসসি ২০২১ | ৫ম সপ্তাহ | অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর |
পরীক্ষার প্রশ্ন সলভ, এসাইনমেন্ট সলভ, বৃত্তি, শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহ সকল খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Join Our Official Facebook Group