এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং উচ্চ শিক্ষায় অধ্যয়নরত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং পরবর্তী প্রজন্মদের বঙ্গবন্ধু ছাত্রবৃত্তি দেওয়া হবে।
এ জন্য অনলাইনে আবেদন আহ্বান করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। এই বছর ৮ম পর্যায়ে বৃত্তি দেওয়া শিক্ষার্থীদের।
অনলাইনে আবেদন করার তারিখঃ আজ থেকেই
অনলাইনে আবেদন করার শেষ তারিখঃ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ইংরেজি।
আবেদন করার আগে বিস্তারিত এখান থেকে পড়ে নিন। এখানে আবেদন লিংক সংযুক্ত করা আছে।
বঙ্গবন্ধু ছাত্রবৃত্তি প্রদানের উদ্দেশ্য:
1)মুক্তিযোদ্ধাদের মেধাবী সন্তান, পরবর্তী প্রজন্মদেরকে লেখা-পড়ায় সহায়তা ও উৎসাহ প্রদান।
2)মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রবাহ নতুন প্রজন্মের মধ্যে জাগ্রত এবং শক্তিশালীকরণ।
আবেদনের শর্তাবলীঃ
1)উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণসহ উচ্চতর শিক্ষায় অধ্যয়নরত ছাত্র/ছাত্রী বৃত্তির জন্য দরখাস্ত করতে পারবে। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার ২ বৎসর অতিক্রান্তের পূর্বেই এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে।
2)উচ্চ শিক্ষার মোট সময়কাল অর্থাত দরখাস্তকারি অধ্যয়নরত সর্বোচ্চ মাষ্টার্স/সমপর্যায় সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত এ বৃত্তি চালু থাকবে, এবং তা সর্বোচ্চ ৫ বছর বলবত থাকবে। তবে, সেশনজটের কারণে অনার্স/ মাষ্টার্স/সমপর্যায় শেষ করতে যে সময় অতিরিক্ত লাগবে সে সময়েও বৃত্তি প্রদান অব্যাহত থাকবে।
3)মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে পিএইচডি প্রত্যাশী আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে আগ্রহী ও মেধা সম্পন্ন ১/২ জনকে প্রতি বত্সর নীতিমালা অনুসারে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
যোগ্যতাঃ
1)উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চতর শিক্ষায় অধ্যয়নরত ছাত্র/ছাত্রী বৃত্তির জন্য দরখাস্ত করতে পারবে। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার দুই বৎসর অতিক্রান্তের পূর্বেই এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে।
2. মুক্তিযোদ্ধার মেধাবী পুত্র কন্যা, পুত্র কন্যার পুত্র কন্যা ও পরবর্তী প্রজন্ম ।
3. যে সকল ছাত্র/ছাত্রীর পিতা/মাতা/অভিভাবকের মাসিক আয় ত্রিশহাজার টাকার নিম্নে বা ১০ বিঘার নিম্নে কৃষি জমির মালিক বা বিভাগীয় শহরে যার নিজস্ব বাড়ী/ফ্ল্যাট নাই।
আবেদনের অযোগ্যতাঃ
1.উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার দুই বত্সর অতিক্রান্ত হলে এ বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে না।
2.বৃত্তির জন্য দুইবার অকৃতকার্য আবেদনকারী আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
3.কোন ছাত্র/ছাত্রীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোন কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার প্রমান পাওয়া গেলে বা নৈতিকভাবে অধ:পতন হলে বা ফৌজদারী অপরাধে দন্ডিত হলে (দেশে/দেশের বাইরে) আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
4.যে সকল ছাত্র/ছাত্রীর পিতা-মাতা/অভিভাবকের মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকার উর্দ্ধে বা ১০ বিঘা বা তদুর্দ্ধ কৃষি জমির মালিক বা বিভাগীয় শহরে যার নিজস্ব বাড়ী/ফ্ল্যাট রয়েছে।
5.সরকারের অন্য কোনো উৎস হতে আবেদনকারি বৃত্তি প্রাপ্ত হলে।
6.মুক্তিযোদ্ধার পুত্র কন্যা, পুত্র কন্যার পুত্র কন্যা ও পরবর্তি প্রজন্ম না হলে।
7.নির্ধারিত আবেদন ফরমে আবেদন করা না হলে।
বঙ্গবন্ধু ছাত্রবৃত্তি প্রদান পদ্ধতিঃ
১)বৃত্তি পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃত্তি প্রদানের প্রতি বত্সর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে মেধা তালিকা প্রস্তুত করণের জন্য জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি (বাংলা ১টা ও ইংরেজী ১টা) দিয়ে দরখাস্ত আহবান করা হবে।
২)সকল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সঠিক সময়ে বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে অবগত করানোর জন্য বিজ্ঞাপন ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা কমান্ডকে কাউন্সিলকে অবহিত করা হবে ।
৩)বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এর বঙ্গবন্ধু ছাত্র বৃত্তির নির্ধারিত ফরম এ আবেদন করতে হবে।
৪)বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট হতে এ বৃত্তি ফরম বিতরণ/প্রদান করা হবে এছাড়া ওয়েবসাইট হতে ডাউনলোড করে আবেদন করা যাবে।
৫)এসএসসি (বা সমমান) ও এইচএসসি (বা সমমান) পরীক্ষার সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্টের সত্যায়িত কপি ও ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা রঙ্গিন ছবিসহ নির্ধারিত আবেদন পত্রে উল্লেখিত অন্যান্য সকল কাগজপত্র আবেদন পত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
৬)মুক্তিযোদ্ধা সনদের এবং গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদন পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
৭)বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীকে নিকটতম অগ্রণী ব্যাংকের যে কোন শাখায় একটি হিসাব খুলে হিসাব নম্বর ট্রাস্টকে অবহিত করতে হবে।
৮)ট্রাস্ট থেকে বৃত্তির টাকা বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীর ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি প্রেরণ করা হবে। অন্য কোনো নামের একাউন্টে বৃত্তির টাকা দেওয়া হবে না।
বৃত্তি তদারকি পদ্ধতিঃ
1.বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীগণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এর পক্ষে পরিচালক(কল্যাণ) সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপন করবে এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরী করে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবে।
2.প্রত্যেক বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীর জন্য একটি স্বতন্ত্র ফাইল কল্যাণ বিভাগ রক্ষনাবেক্ষন করবে, শিক্ষার্থীর বৃত্তি সংক্রান্ত প্রাথমিক দরখাস্ত হতে শুরু করে সকল তথ্য সংরক্ষণ করা হবে।
3.কল্যাণ বিভাগ বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি ছয় মাস অন্তর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে অধ্যয়ন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে।
4.প্রতি বৎসর কল্যাণ বিভাগ বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষার ফল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে সংগ্রহ করবে এবং ফলাফল মূল্যায়ন করবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণীর গড় ফল সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর ফল পর্যালোচনা করবে।
বৃত্তি বহাল থাকার শর্তাবলীঃ
1)বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীকে অবশ্যই নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে।
2)শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীকে বৎসর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে Progress Report এবং শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে এ মর্মে প্রতিষ্ঠান প্রধান/বিভাগীয় প্রধানের প্রত্যয়নপত্র ট্রাস্টের কল্যাণ বিভাগে জমা দিতে হবে।
3)পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে বা স্ব স্ব শিক্ষাবর্ষ হতে পরবর্তি শিক্ষা বর্ষে উত্তীর্ণ না হলে বৃত্তিপ্রদান সরাসরি বন্ধ হয়ে যাবে।
4)বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রী যে প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ণ করবেন সে প্রতিষ্ঠানের স্ব স্ব শ্রেণীর মোট ছাত্রের যে গড় ফলাফল তার থেকে শিক্ষার্থী ফল খারাপ হলে বৃত্তি বন্ধ হয়ে যাবে।
বঙ্গবন্ধু ছাত্রবৃত্তি বৃত্তির পরিমানঃ
১)ছাত্র/ছাত্রী এবং শ্রেণী (বর্ষ) নির্বিশেষে বৃত্তির পরিমান মাসিক ১,০০০/-(এক হাজার) টাকা। মাসিক/ত্রৈমাসিক (Monthly/Quarterly) ভিত্তিতে বৃত্তির টাকা ছাত্র/ছাত্রীদের এ্যাকাউন্টে প্রেরণ করা হবে।
২)বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রী মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যয়নরত হলে মাসিক বৃত্তির হার অন্যান্যদের তুলনায় কিছুটা বেশী নির্ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে নির্বাহী কমিটি কর্তৃক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। দুইজন পিএইচডি’র ছাত্র/ছাত্রীর মাসিক বৃত্তির হার গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় খরচের ভিত্তিতে নির্বাহী কমিটি নির্ধারণ করবে।
বৃত্তির পর্যায় বিভক্তিঃ
বৃত্তি শুরুর বৎসর ৬০০ জন ছাত্র/ছাত্রী (১ম বর্ষ) = মোট ৬০০ জন = ৬০০ x ১০০০ = মাসিক খরচ ৬ (ছয়) লাখ।
শিক্ষাবৃত্তি শুরুর দ্বিতীয় বৎসর (১ম বর্ষ ৬০০ জন+২য় বর্ষ ৬০০জন) = মোট ১২০০জন =১২০০ x ১০০০ = মাসিক খরচ ১২ (বার) লাখ।
বৃত্তি শুরুর তৃতীয় বৎসর ( ১ম +২য়+৩য় বর্ষ) = মোট ১৮০০ জন = ১৮০০ x ১০০০ = মাসিক খরচ ১৮ (আঠার) লাখ।
বৃত্তি শুরুর চতুর্থ বত্সর (১ম+২য়+৩য়+৪র্থ বর্ষ) = মোট ২৪০০ জন = ২৪০০ x ১০০০ = মাসিক খরচ ২৪ (চব্বিশ) লাখ।
শিক্ষাবৃত্তি শুরুর পঞ্চম বৎসর (১ম +২য়+৩য়+৪র্থ+৫ম বর্ষ) = মোট ৩০০০ জন ছাত্র/ছাত্রী বৃত্তির আওতায় আসবে। সর্বমোট মাসিক খরচ ৩০ (ত্রিশ) লাখ। বৃত্তি শুরুর পঞ্চম বত্সর থেকে অব্যাহতভাবে প্রতি বত্সর ৩০০০ জন ছাত্র/ ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
প্রতি বৎসর ১/২ জন, যারা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে দেশের অভ্যন্তরে পিএইচডি করবে তাদেরকে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
কোটা পদ্ধতিঃ প্রতি ব্যাচে ৬০০ জন ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশের প্রতি উপজেলায় অন্তত এক জনের কোটা নির্ধারিত থাকবে। এ একজন বাছাই হবে উপজেলা ভিত্তিক মেধা অনুসারে। প্রতি উপজেলায় একজন করে বৃত্তি দেওয়ার পর যত সংখ্যক বৃত্তি বাকি থাকবে তা দেশব্যাপি মেধা তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
বৃত্তির আওতা বৃদ্ধিঃ পর্যায়ক্রমে ট্রাস্টের আর্থিক উন্নতি হলে বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা এবং মাসিক বৃত্তির পরিমান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করা হবে।
ছাত্রবৃত্তির আবেদন করার লিংকঃ http://tmis.bffwt.gov.bd/chatro_britti/application_form
সার্কুলার লিংক ১ঃ https://eduguideline.com/bangabandhu-scholarship/
সার্কুলার লিংক ২ঃ www.bffwt.gov.bd
সকল প্রকার বৃত্তির খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Follow us on
Join our Official Facebook Group