এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান ; এই পোস্টে আপনারা পূর্নাঙ্গ সমাধান পাবেন। আমরা চেষ্টা করেছি নির্ভূলভাবে সমাধান দেওয়ার। আপনারা ভালো করে পোস্ট পড়ে এসাইনমেন্ট লিখার চেষ্টা করুন।
অ্যাসাইনমেন্টঃ তােমার পরিবারে বসবাসরত ষাটোর্ধ তােমার দাদা বা নানার কাছে তুমি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারলাে যে যুদ্ধ শুরু হলে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গঠিত মুজিবনগর সরকার যুদ্ধ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রতিবেদনের বিষয়ঃ মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক দলসহ সকলের ভূমিকা মূল্যায়ন
তারিখঃ ২২ জুন,২০২১
ভূমিকাঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শুরু হয়ে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্ত ও অসংখ্য মা-বােনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এর সমাপ্তি ঘটে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে। বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম যুগ-যুগ ধরে চলে এসেছিল। এ দিন পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একদিকে যেমন করুণ, শােকাবহ, লােমহর্ষক অন্যদিকে ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত ও বীরত্বপূর্ণ।
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটঃ ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতীয় উপমহাদেশ পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি দেশে বিভক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। কৃষ্টি ও সংস্কৃতিতে ব্যাপক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও কেবল ধর্মীয় সাদৃশ্যের অজুহাতে পাকিস্তানের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করতে থাকে। প্রথমেই তারা বাংলা ভাষার ওপর আঘাত হানে। পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের মানুষ ১৯৫২ সালে রক্তের বিনিময়ে তা প্রতিহত করে। এরপর ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্ফুরণ ঘটায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে এবং ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে স্বাধীনতার পক্ষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে তােলে। যার চূড়ান্ত প্রতিফলন ঘটে ১৯৭০ সালের সাধারণ নিবার্চনে।
উক্ত নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু দখলদার শাসকগােষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করতে থাকে। আলােচনার নামে কালক্ষেপণ করে তারা পশ্চিম পাকিস্তান থেকে গােলা-বারুদ এনে মজুত করতে থাকে। এক পর্যায়ে ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। গভীর রাতে ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর চালায় ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। প্রতিবাদে এদেশের মানুষ জলে-স্থলে-অন্তরিক্ষে দুবার প্রতিরােধ গড়ে তােলে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান
মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারঃ পাকবাহিনীর হত্যাজজ্ঞের মুখে জ্বলে ওঠে সারা বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল তাজউদ্দীন আহমদ-এর নেতৃত্বে। আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের একটি প্রবাসী সরকার মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি করা হয়। তার অবর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাজউদ্দীন আহমদ পালন করেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হন কর্নেল (অব.) আতাউল গণি ওসমানী। এ সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তিসংগ্রাম।
মুক্তিযুদ্ধে গণমানুষের গুরুত্ব
১. মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রদের অবদানঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নেয়ার ক্ষেত্রে ছাত্রসমাজের রয়েছে অসামান্য অবদান। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তারা বিভিন্নভাবে সংগঠিত হয়েছে। এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিরাট অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যােগ দেয়। অনেকে প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিরােধ করে। মুক্তিবাহিনীতে একক গােষ্ঠী হিসেবে ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। মুক্তিবাহিনীর অনিয়মিত শাখার এক বিরাট অংশ ছিল ছাত্র। মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায়।
সংগঠিত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও আহত মানুষের ঔষুধ সরবরাহ করা,খাবার সরবরাহ,পত্র-পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রচার করেও ছাত্ররা অবদান রাখেন ও যুদ্ধকে গণযুদ্ধে রূপদান করে। মােটকথা, মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র সমাজের মহান আত্মত্যাগ ব্যতিত স্বাধীনতা অর্জন করা কঠিন হতাে।
২. মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের অবদানঃ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সফল হত না, যদি সে যুদ্ধে সাধারণ মানুষের সমথর্ন না থাকত। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে সকলকে আহ্বান জানান, ‘ঘরে
ঘরে দুর্গ গড়ে তােল, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মােকাবিলা করতে হবে। এ ভাষণ শােনার পর অধিকাংশ মানুষ যুদ্ধের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়। বাংলার কৃষক লাঙ্গল ফেলে মুক্তিযুদ্ধে গেছে, শ্রমিক কারখানার কাজ ফেলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। এছাড়া জেলে, তাঁতি,কামার, কুমার, সকলেই সর্বশক্তি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সকল মানুষের অংশগ্রহণের ফলে এই যুদ্ধ এক পর্যায়ে জনযুদ্ধে রূপলাভ করে। বলা চলে অল্পকিছু পাকিস্তানি দালাল, রাজাকার আলবদর ও আল শামস বাহিনীর লােক ব্যতিত অধিকাংশ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জনে অবদান রেখেছিল।
এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান
৩. মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদানঃ মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল গৌরবােজ্জ্বল । ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়, তাতে নারীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফুর্ত। মুক্তিযােদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। অপরদিকে সহযােদ্ধা হিসেবে আহত মুক্তিযােদ্ধাদের সেবা শুশ্রুষা, মুক্তিযােদ্ধাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করা,মুক্তিযােদ্ধাদের । অনুপ্রেরণা প্রদানের মাধ্যমে নারীরা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মুক্তিযুদ্ধে এদেশের অগণিত নারী পাক সেনা দ্বারা ধর্ষিত হয়েছে, স্বামী সন্তান হারিয়েছে, জীবন দান করেছে এসব নারীও মুক্তিযােদ্ধাদের সহযাত্রী। এসব নারীর মধ্যে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, তারামন বিবি, বীরঙ্গনা ভানুনেছাসহ অগণিত নারীর অবদান ও ত্যাগের কথা কোনদিন ভুলবার নয়। একবাক্যে বলা যায়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
৪. পেশাজীবীদের অবদান: সাধারণ অর্থে যারা বিভিন্ন পেশায় নিয়ােজিত তারাই হলেন পেশাজীবী। যেমন| শিক্ষক,চিকিৎসক, প্রকৌশলী,সাহিত্যিক,প্রযুক্তিবিদ,সাংবাদিক, আমলা বিজ্ঞানীস বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এদের ভূমিকা অনন্য ও গৌরবদীপ্ত । পেশাজীবীদের বড় অংশ প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। পেশাজীবীরা মুজিবনগর সরকারের অধীনে পরিকল্পনা সেল গঠন করে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সরবরাহ, সাহায্যের আবেদন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্য প্রদান, শরণার্থীদের উৎসাহ প্রদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পেশাজীবীদের মধ্যে অনেকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। মােটকথা মুক্তিযুদ্ধে | পেশাজীবীদের অবদান ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
৫. রাজনৈতিক দলের অবদানঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একটি রাজনৈতিক যুদ্ধ। রাজনৈতিক নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধের
গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি হলাে | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ প্রথমে পূর্ববাংলার জনগণকে স্বাধিকার আন্দোলনে সংগঠিত করে, এরপর ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়। লাভের পর জনগণকে স্বাধীনতা আনয়নে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা। যুদ্ধের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে রাজনৈতিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘােষণাকে ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে, আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়। একে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট,উপযােগিতা এবং এর ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণীত হয়।
২৫ মার্চের পর রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংগঠিত হয়ে সরকার গঠন, মুক্তিবাহিনী | গঠন, বিদেশে জনমত সৃষ্টি ও সমর্থন আদায়, যুদ্ধের অস্ত্র সরবরাহ এবং জনগণের মনােবল অটুট রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব মুক্তিযুদ্ধকে সফল করার জন্য সকল শক্তি, মেধা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদান, ভারতে ১ কোটি শরণার্থীর আশ্রয়ের ব্যবস্থা,মুক্তিযােদ্ধা ও গেরিলা যােদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা,স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্ৰপরিচালনা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্ব জনমত | গড়ে তােলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ ছাড়াও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলাে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হচ্ছে ন্যাপ (ভাসানী), ন্যাপ (মােজাফফর) কমিউনিস্ট পার্টি জাতীয় কংগ্রেস ইত্যাদি। এসব দলের নেতা ও কর্মীরা অনেকেই সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান
৬. গণমাধ্যমের ভূমিকাঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর নারকীয় তাণ্ডবকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকষর্ণ করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। সংবাদপত্র ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন। পরে এটি মুজিবনগর সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সংবাদ, দেশাত্মবােধক গান, মুক্তিযােদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথা, রণাঙ্গণের নানা ঘটনা ইত্যাদি দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করে। মুক্তিযােদ্ধাদের সাহস যুগিয়ে বিজয়ের পথ সুগম করে। এছাড়া মুজিবনগর সরকারের প্রচার সেলের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত পত্রিকা। মুক্তিযুদ্ধে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করে । )
উপসংহার:
“স্বাধীনতা তুমি রবি ঠাকুরের অজর কবিতা অবিনাশী গান
স্বাধীনতা তুমি কাজী নজরুলের ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানাে
মহান পুরুষ, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা –
স্বাধীনতা তুমি
এলে শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা।”
একদিন যারা ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, যারা শােষণ মুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং বাঙালি জাতির চোখে স্বপ্নে আবেশ ছড়িয়ে মুক্তি সংগ্রামের কণ্টকাকীর্ণ পথ চলায় অনুপ্রাণিত করেছিলেন, তারা আজ আর নেই। তাঁদের সেই স্বপ্ন ও আদর্শ আজ স্বার্থ ও লােভের চোরাবালিতে বিলীন হয়ে গেছে। স্বাধীনতার চার দশক পরও আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেনি। তারপরও সকল ব্যথর্তা ও গ্লানি মুছে ফেলে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে- এটাই সকলের কামনা। আজও বাংলার মানুষ স্বপ্ন দেখছে নতুন প্রভাতের, নতুন জাগরণের, নতুন সূর্যের।
বৃত্তি, শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহ সকল খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Join Our Official Facebook Group