বিকেকেবি প্রতি বছর বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড শিক্ষাবৃত্তি নামে শিক্ষাসহায়তা প্রদান করে থাকে। তারই প্রেক্ষিতে সালে বৃত্তির জন্য অনলাইনে দরখাস্তের আবেদন করা হয়েছে। আবেদন এর বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।
আবেদন শুরুঃ ০১/০১/২০২৪
আবেদন শেষঃ ২৯/০২/২০২৪
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য (১) সরকারের অসামরিক খাতের ১১ হতে ২০ গ্রেডে কর্মরত সরকারি এবং তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় কর্মরত কর্মচারীর সন্তানদের ‘শিক্ষাবৃত্তি’/ ‘শিক্ষাসহায়তা’, (২) সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত কর্মচারীর সন্তানদের ‘শিক্ষাবৃত্তি’র দরখাস্ত অনলাইনে দাখিল করার নিয়মাবলী।
১. ১১-২০ গ্রেডে কর্মরত সরকারি ও বোর্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মচারীর ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধ্যয়নরত অনধিক ২ (দুই) সন্তানের জন্য ‘শিক্ষাবৃত্তি/ ‘শিক্ষাসহায়তা’ এবং সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত কর্মচারীর ৯ম শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধ্যয়নরত অনধিক ২(দুই) সন্তানের জন্য ‘শিক্ষাবৃত্তি’র আবেদন করতে পারবেন।
২. ঢাকা মহানগরীতে কর্মরত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর ও বিভাগের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে নিজ নিজ বিভাগীয় কার্যালয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
৩. বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ওয়েব সাইট (www.bkkb.gov.bd) এর “শিক্ষাবৃত্তির অনলাইন আবেদন” লিংকটিতে ক্লিক করে অথবা ব্রাউজারের এড্রেস বারে eservice.bkkb.gov.bd টাইপ করে Enter চাপুন।
৪. হোম পেজ থেকে “রেজিস্ট্রেশন” বাটনে ক্লিক করলে একটি পাতা আসবে। ১১-২০ গ্রেডে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির আবেদন করার জন্য কর্মচারীর ধরণ “কর্মরত” এবং কর্মচারীর কর্মক্ষেত্রের ধরণ পছন্দ করতে হবে।
উল্লেখ্য কর্মচারীর ধরণ “কর্মরত” এবং কর্মচারীর কর্মক্ষেত্রের ধরণ “রাজস্বখাতভুক্ত” বাছাই করলে পে-ফিক্সেশন নম্বর ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিতে হবে।
৫. সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম/ অবসরপ্রাপ্ত/ মৃত কর্মচারীদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে “অক্ষম/ মৃত/ অবসরপ্রাপ্ত” পছন্দ করতে হবে। উল্লেখ্য কর্মচারীর ধরণ “অক্ষম/ মৃত/ অবসরপ্রাপ্ত” বাছাই করলে কোন পে-ফিক্সেশন নম্বর লাগবে না, শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিতে হবে।
৬. কর্মচারীগণ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি (অর্থ বিভাগের পে-ফিক্সেশন এর ভেরিফিকেশন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (১৭ ডিজিটের) এবং মোবাইল নম্বর) দিয়ে “রেজিস্ট্রেশন করুন” বাটনে ক্লিক করার পর তাঁর মোবাইল নম্বরে ৬ ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে।
এই কোড নম্বরটি দিয়ে “যাচাই করুন” বাটনে ক্লিক করলে “অভিনন্দন, আপনার নিবন্ধন সফলভাবে সম্পূর্ন হয়েছে” এই ম্যাসেজ টি দেখাবে। কোড প্রদানের সময়সীমা ১৫ মিনিট। অনলাইনে আবেদন করার জন্য বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডে একবারই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড শিক্ষাবৃত্তি
৭. সফটওয়্যারে লগইন করার জন্য হোম পেজ থেকে “লগইন” বাটনে ক্লিক করে মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।
৮. লগইন করার পর ড্যাসবোর্ড এর “আবেদনকারীর ছবি আপলোড করুন” বাটনে ক্লিক করে ছবি আপলোড করতে হবে।
৯. শিক্ষাবৃত্তির আবেদন করার জন্য “শিক্ষাবৃত্তির আবেদন করতে এইখানে ক্লিক করুন” এই লিংকটিতে ক্লিক করে নির্দেশাবলী অনুযায়ী পরবর্তী ধাপে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
১০. আবেদন ফরমের প্রতিটি কলাম যথাযথভাবে পূরণ করে ছাত্র/ ছাত্রী বিগত বাৎসরিক/ বোর্ড/ সেমিস্টার/ টার্ম ফাইনাল যে পরীক্ষায় পাস করেছে তার মূল মার্কশীট এর ফটোকপি ১ম শ্রেণির গেজেটেড অফিসার কর্তৃক/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্তৃক সত্যায়িত করে স্ক্যান কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
১১. কর্মচারী অবসরপ্রাপ্ত হলে অবসর গ্রহণের আদেশের অথবা মৃত হলে মৃত্যুসনদের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করতে হবে।
১২. ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে “আবেদন সংরক্ষণ ও প্রিন্ট করুন” বাটনে ক্লিক করে আবেদন সংরক্ষণ করে প্রিন্ট করা যাবে।
১৩. আবেদন ফরম প্রিন্ট করার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর ও সীল, কর্মচারীর স্বাক্ষর, কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ও সীল এবং স্মারক নং ও তারিখ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ পূরণকৃত ফরমের স্ক্যান কপি “সংযুক্তি” ধাপে গিয়ে সংযুক্ত করে আবেদন “চূড়ান্তভাবে দাখিল করুন” বাটনে ক্লিক করে দাখিল করতে হবে।
আবেদনটি সফলভাবে দাখিল হলে আবেদনকারী তাঁর মোবাইল ফোনে আবেদন গ্রহণের ডায়েরি নম্বর ও তারিখ সম্বলিত একটি ক্ষুদেবার্তা পাবেন এবং পরবর্তীতে অনলাইনে লগইন করে তার আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
১৪. স্বামী/স্ত্রী উভয়ই সরকারি চাকরিতে কর্মরত হলে কেবল একজনই সন্তানদের ‘শিক্ষাবৃত্তি’ / ‘শিক্ষাসহায়তা’ লাভের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১৫. চাকরিরত, অনিয়মিত এবং বিবাহিত এরুপ ছাত্র/ ছাত্রীগণ এ ‘শিক্ষাবৃত্তি’ / ‘শিক্ষাসহায়তা’ লাভের যোগ্য নন।
১৬. প্রত্যেক আবেদনকারী তিনি যে বিভাগ বা মহানগরে কর্মরত আছেন সে অধিক্ষেত্রের বিভাগ বা মহানগরে আবেদন করা বাধ্যতামূলক।
১৭. ১১-২০ গ্রেডে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদের ‘শিক্ষাবৃত্তি’/ ‘শিক্ষাসহায়তা’ পাওয়ার জন্য বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র/ ছাত্রীকে পূর্ববর্তী বাৎসরিক / বোর্ড/ সেমিস্টার/ টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় প্রত্যেক বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়ে নিম্নবর্ণিত জিপিএ/ সিজিপিএ অর্জন করতে হবে।
১৭ (ক) সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার অক্ষম/ অবসরপ্রাপ্ত/ মৃত কর্মচারীদের সন্তানদের ‘শিক্ষাবৃত্তি’ পাওয়ার জন্য বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র/ ছাত্রীকে পূর্ববর্তী বাৎসরিক/ বোর্ড/ সেমিস্টার/ টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় প্রত্যেক বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়ে নিম্নবর্ণিত জিপিএ / সিজিপিএ অর্জন করতে হবে:
বৃত্তি, শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহ সকল খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Join Our Official Facebook Group