শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে ল্যাপটপের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ফ্রি ল্যাপটপ দিচ্ছে প্রিয়.কম । যাদের সত্যিকার অর্থে ল্যাপটপ প্রয়োজন তারা বিস্তারিত উল্লেখ করে আবেদন করতে পারেন। বিস্তারিত বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো।
বাংলাদেশের যেকোনো শিক্ষার্থী তাঁর শিক্ষাজীবনে ল্যাপটপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে হবে ২৬শে মার্চের মধ্যে।
ল্যাপটপ বিতরণ
ল্যাপটপের জন্য ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে।
‘আপনার আবেদনের পক্ষে যুক্তি’ নামের ঘরটি অবশ্যই পূরণ করতে হবে, যেখানে আপনার কেন একটি ল্যাপটপ প্রয়োজন কিংবা ল্যাপটপ কীভাবে আপনার পড়ালেখার কাজে আসবে, তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে।
পাশাপাশি যদি স্বল্পমূল্যে ল্যাপটপ কেনার সামর্থ্য থাকে, তা হলে কত টাকায় আপনি ল্যাপটপ কিনতে পারবেন, তা উল্লেখ করতে হবে। আর যদি কোনো অর্থ খরচ করার সামর্থ্য না থাকে, সেটিও উল্লেখ করুন।
আগামী ২৬শে মার্চের মধ্যে এই আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
আগ্রহীদের আবেদনের পর একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এগুলো যাচাই করা হবে।
বর্তমান যুগে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ল্যাপটপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিক্ষার্থীদের একটি ল্যাপটপ হলে তার শিক্ষা কার্যক্রম আরও উন্নত হতে পারে। এই চিন্তা থেকেই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।
উদ্দেশ্য
সারা বিশ্বে শিক্ষাব্যবস্থা যেভাবে পাল্টে গেছে, তাতে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল পদ্ধতি ছাড়া আর উপায় নেই। বর্তমান সময়ে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার অবস্থার দিকে তাকালে একটি বিষয় স্পষ্ট হবে যে,
বেশিভাগই বই কেনে না, বই হয়তো বাজারে পাওয়া যায় না, কিংবা কেনার সামর্থ্য থাকে। বর্তমান সময়ে বই না লাগলেও একটা ডিভাইস যে লাগবে, সেটা নিশ্চিত।
শিক্ষার অসংখ্য উপকরণ এখন শিক্ষার্থীরা চাইলেই ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারে। তাই বর্তমান সময়ের ছাত্রছাত্রীদের একটি ডিভাইস হলে তার শিক্ষা কার্যক্রম আরও উন্নত হতে পারে।
বাংলাদেশ এখনও ধনী দেশ হয়ে ওঠেনি। এ দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী ডিজিটাল ডিভাইস পেয়ে যাবে, সেটা সম্ভব নয়। এটা সরকারের পক্ষে দেওয়া যেমন সম্ভব নয়, তেমনি ছাত্রছাত্রীদের পক্ষেও কেনা সম্ভব নয়।
বেশিরভাগ পরিবার তাদের সন্তানদের ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ কিনে দিতে পারবে না–এটাই বাস্তবতা। এমন লাখ লাখ পরিবার পাওয়া যাবে, যাদের পরিবার একটা ল্যাপটপ কিনে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে না।
ফ্রি ল্যাপটপ দিচ্ছে প্রিয়.কম
তাহলে উপায়! এই বিশাল জনসংখ্যা তাহলে ডিজিটাল ডিভাইস পাবে না বলে শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়বে? আসলেই কিন্তু পিছিয়ে পড়ছে। এই গ্রহের অন্য দেশের ছেলেমেয়েরা যা শিখছে, বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা সেটা পাচ্ছে না।
যারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে পারছে, তারা কিছুটা পাচ্ছে। কিন্তু সবাই তো আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবে না। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারলেই তার যে একটা ল্যাপটপ থাকবে, সেটা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আমাদের পরিবারগুলোর তো সেই সক্ষমতা এখনও তৈরি হয়নি।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে ল্যাপটপের চাহিদা জানতে www.priyo.org ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ প্রয়োজন, তারা এই ঠিকানায় গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
এতে ল্যাপটপের চাহিদা ও সক্ষমতা জানা যাবে। আবেদন করলেই যে ল্যাপটপ পাওয়া যাবে, তা কিন্তু নয়। একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করেই ল্যাপটপগুলো দেওয়া হবে।
এই প্রক্রিয়ায় কতগুলো ল্যাপটপ কোথা থেকে পাওয়া গেছে এবং কাকে কাকে দেওয়া হয়েছে, সব তথ্যই ওই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটটি এখনও নির্মাণাধীন, আপাতত শুধু আবেদন করা যাবে। তবে শিগগিরই অন্যান্য তথ্য যুক্ত করা হবে।
ল্যাপটপ বিতরণের এই প্রক্রিয়ায় নতুন ল্যাপটপের পাশাপাশি পুরাতন বা ব্যবহৃত ল্যাপটপও দেওয়া হবে। তবে পুরাতন ল্যাপটপগুলো ব্যবহারযোগ্য হলেই আমরা সেগুলো বিতরণ করব।
যাদের ল্যাপটপ প্রয়োজন, তাদেরকে আগামী ২৬শে মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
অর্থাৎ আবেদনের লাস্ট ডেটঃ ২৬শে মার্চ, ২০২১
যাদের একাধিক বা অব্যবহৃত ল্যাপটপ আছে, তাঁরা business@priyo.com–এ ইমেইল করে আমাদের ল্যাপটপ ব্যাংকে ল্যাপটপ দেওয়ার কথা জানাতে পারেন।
ল্যাপটপ বিতরণের এই প্রক্রিয়ায় নতুন ল্যাপটপের পাশাপাশি পুরাতন বা ব্যবহৃত ল্যাপটপও দেওয়া হবে। তবে পুরাতন ল্যাপটপগুলো ব্যবহারযোগ্য করেই আমরা সেগুলো বিতরণ করব।
ফ্রি ল্যাপটপ দিচ্ছে প্রিয়.কম , আবেদন করুন
ল্যাপটপ সংগ্রহ
আমরা একটা ফাউন্ডেশন (নন-প্রফিট) করতে যাচ্ছি, যার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদেরকে ল্যাপটপ দেওয়া হবে। কারা এই ল্যাপগুলো পাবে, তা ধীরে ধীরে ঠিক করা হবে। তবে যেভাবে ল্যাপটপগুলো সংগ্রহ করা হবে-
আমাদের চারপাশে প্রচুর মানুষ আছে, যাদের একাধিক ল্যাপটপ কিংবা কিছুটা পুরাতন বা অকেজো ল্যাপটপ রয়েছে। সেগুলোকে একটু ঠিক করে নিলেই অন্য একজন ব্যবহার করতে পারে। আমরা সেই ল্যাপটপগুলো সংগ্রহ করে, ঠিক করে তারপর ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করব। এর ফলে রিসাইক্লিন হবে।
এই ল্যাপটপগুলো যে কেউ কুরিয়ার করে আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন কিংবা আমাদের জানালে নিজেরা গিয়েও সংগ্রহ করতে পারি। সেক্ষেত্রে business@priyo.com–এ ঠিকানায় ইমেইল করতে পারেন।
আপনার কাছ থেকে সংগৃহীত ল্যাপটপটি ব্যবহারযোগ্য কিনা, সেটি আমরা পরীক্ষা করব এবং ব্যবহারযোগ্য করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিনিয়োগ করব।
আরো পড়ুনঃ
- ইমদাদ-সিতারা খান বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি-২০২৪ | Imdad Sitara Khan Scholarship Circular
- প্রাইমারি সিলেকশন লেটার প্রিন্ট ও পরবর্তী করনীয় DBBL Primary Section Letter
- স্নাতক ও ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের উপবৃত্তি, মিলবে ১০,০০০
- ডাচ্-বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তির অনলাইন আবেদন প্রসেস ২০২৪ (DBBL Scholarship Application)
- SSC Result 2024 | এসএসসি রেজাল্ট ( ফুল মার্কশীট সহ)
বিদেশে অনেক ফ্যাক্টরি রিফারবিশড ল্যাপটপ পাওয়া যায়, যেগুলোর মূল্য খুবই কম; কিন্তু গুণগত মান যথেষ্ঠ ভালো। সেই ল্যাপটপগুলো আমরা বিদেশ থেকে নিয়ে আসতে পারি। সেগুলো পরীক্ষা করে, তারপর ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে।
যারা কিছু টাকা দিয়ে ল্যাপটপ কেনার সামর্থ্য রাখেন, তাদের জন্য একসঙ্গে বাল্ক ল্যাপটপ অর্ডার করলে খরচ অনেক কম হবে। আমরা কিছু কিছু ল্যাপটপ কম মূল্যে তাদেরকে দেবো। সেই জন্য পুরো প্রোগ্রামটি বিনামূল্যে ল্যাপটপ নয়, স্বল্পমূল্যেও ল্যাপটপ পাওয়া যাবে।
এভাবে ল্যাপটপ সংগ্রহ করা হবে, যেগুলো ছাত্রছাত্রীদের কাজে লাগতে পারে।
বৃত্তি, শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহ সকল খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Join Our Official Facebook Group
Amr laptop kenar moto samorto nei. Amke akta laptop dile Amr khub opokrito hoto. Amr ma Baba keu jibito nei. Ami tution kore porasuna chalai
Need a laptop.
I need a laptop,I’m a admission candidate,help me
I need a laptop. Because I am a poor student. It is not possible for me to buy a laptop. If you could give me a laptop, I would be very much benefited
বর্তমান যুগে ল্যাপটপ শিক্ষার একটি অপরিহার্য এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ। সংকীর্ণ জ্ঞ্যানের দিন শেষ করে সারা বিশ্বের জ্ঞ্যানকে একত্রিত করে যুগোপযোগী জ্ঞ্যান অর্জনের সুযোগ হয়ে উঠে একমাত্র ল্যাপটপ কিংবা ইন্টারনেট মাধ্যমের দ্বারাই। অনেকগুলা টাকা খরচ করচ অনেকগুলা বই পড়ে সঠিক ও বর্তমান যুগোপযোগী জ্ঞ্যান অর্জন করে দেশের মেধাসম্পদে কাজে লাগার সামর্থ্য নেই বলেই সরকার সহায়তায় আমার একটি ল্যাপটপ পাইয়া খুবই জরুরী..।
good,i need a laptob
i need a labtop
আমি একজন শিক্ষার্থী।আমার বাবা একজন সরকারি চাকুরিজীবী কিন্তু তাঁর একার আয়ে আমাদের সংসার চলে। আমাদের পরিবারে ৭ জন সদস্য এবং তার মধ্যে ৩ জন অধ্যায়নরত। আমি বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চাই। আমার পড়াশোনার জন্য একটা ল্যাপটপ খুবই জরুরি।এজন্য আমি একটা ল্যাপটপের আবেদন করছি।দয়াকরে আমাকে একটু সাহায্য করার চেষ্টা করবেন।