চলতি বছরের বাতিল হওয়া উচ্চ মাধ্যমিকের (এইচএসসি) ফলাফল ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। আগেই বলা হয়েছিল, এবারের HSC-20 RESULT প্রকাশ করা হবে জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে।ডিসেম্বরের মধ্যেই ২০২০ সালের এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের HSC-20 RESULT ও সমমানের পরীক্ষার ফল তৈরিতে পরীক্ষার্থীদের এসএসসির ফল প্রাধান্য পাবে। এ ক্ষেত্রে এসএসসি পরীক্ষার ফলের ৭৫ শতাংশ ও জেএসসি পরীক্ষার ফলের ২৫ শতাংশ গণনা করে HSC-20 RESULT প্রকাশ করা হবে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ফল পাবেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা কিছুটা গুরুত্বের সাথে অংশ নেন। এটি এইচএসসিরও কাছে। তাই এসএসসির ফলের ওপর আমরা জোর দেবো। পরীক্ষার্থীদের এসএসসির ফলের ৭৫ শতাংশ ও জেএসসির ফলের ২৫ শতাংশ গণনা করে এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হবে। ডিসেম্বর মাসেই ফল প্রকাশ করা হবে।তিনি আরও জানান, যখন ফল প্রকাশ করা হবে তখন কিভাবে ফল তৈরি করা হয়েছে তা জানিয়ে দেয়া হবে।
রেজাল্ট প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই ফলাফল পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইটেঃ https://eboardresults.com/v2/home
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরির শিক্ষার্থীদের জেএসসি পরীক্ষা হয়না। তাই শুধু এসএসসির ফলেই এসব শিক্ষার্থীদের ফল দেয়া হবে।
তিনি বলেন, কবে থেকে আবার ক্লাস শুরু হবে তা নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। তবে যখনই ক্লাস শুরু হবে শুরুর দিকে বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে সবাইকে। সেক্ষেত্রে হয়তো সবার সব দিন ক্লাস নাও হতে পারে। তবে এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে জোর দেওয়া হবে বেশি। তাদের হয়তো একদিন বাদে বাকি সব দিনই ক্লাস নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তি হতে কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না। প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করে ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।এ সময় দীপু মনি বলেন, বর্তমানে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারি এবং অন্য ক্লাসগুলোর জন্য ভর্তি পরীক্ষা হয়। তবে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে লটারি অনুষ্ঠানের সময় আগের মতো অভিভাবকরা শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
দীপু মনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ক্যাচমেন্ট এরিয়ার কোটা বিদ্যমান ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এবার ৫০ শতাংশ করা হবে। ক্লাস্টার ভিত্তিক লটারিতে বিদ্যমান একটি স্কুল পছন্দের পরিবর্তে পাঁচটি স্কুল পছন্দের সুযোগ দেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, লটারিতে পূর্ণ স্বচ্ছতার মাধ্যমেই ভর্তি করানো হবে। ভর্তির সময় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি নিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভর্তি কার্যক্রম ১০ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করা হবে। আসন্ন বই উৎসবকে কেন্দ্র করে দীপু মনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারো পহেলা জানুয়ারিতেই বই উৎসব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ বছর সমাবেশ করে বই বিতরণ করা হবে না। কোন পদ্ধতিতে বই দেওয়া হবে তার নির্দেশনা স্কুলগুলোকে দিয়ে দেওয়া হবে।
বিগত কয়েক মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে কোভিট-১৯ এর কারনে। এরকম পরিস্থিতিতে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে আছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। কবে নাগাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে তা এখনো ঠিক হয় নি। এখন শীতকাল পড়েছে কোভিট-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেই শুরু হয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এখন খোলা হবে না বলে eduguideline.com কে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আরেক দফায় বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আছে। এমন অবস্থায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জিজ্ঞাসা ছুটি কি আরও বাড়বে, নাকি খুলে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে eduguideline.com এর পক্ষ থেকে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আকরাম-আল-হোসেন eduguideline.com কে বলেন, তাঁরা মনে করেন এখনো স্কুল খুলে দেওয়ার মতো পরিবেশ হয়নি। তবে ছুটির বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। হাতে এখনো সময় আছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ছুটির বিষয়ে কি হবে সেটি অনুমেয়।
করোনার বাস্তবতায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা অত্যন্ত ঝুঁকিতে পড়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, দেশের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে পড়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি ছেলেমেয়ে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সোয়া কোটির কিছু বেশি। বাকিরা শিক্ষার অন্যান্য স্তরে পড়ে।
ইতিমধ্যেই তাদের শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা ও সর্বশেষ এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। এখন নিজ নিজ স্কুলে মূল্যায়নের ভিত্তিতে ওপরের শ্রেণিতে ওঠানোর কথা ভাবছে সরকার। অবশ্য সেটি নির্ভর করছে কবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে তার ওপর।
আরো পড়ুন,
- ইমদাদ-সিতারা খান বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি-২০২৪ | Imdad Sitara Khan Scholarship Circular
- প্রাইমারি সিলেকশন লেটার প্রিন্ট ও পরবর্তী করনীয় DBBL Primary Section Letter
- স্নাতক ও ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের উপবৃত্তি, মিলবে ১০,০০০
- ডাচ্-বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তির অনলাইন আবেদন প্রসেস ২০২৪ (DBBL Scholarship Application)
- SSC Result 2024 | এসএসসি রেজাল্ট ( ফুল মার্কশীট সহ)
সকল প্রকার বৃত্তির খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Follow us on
Join our Official Facebook Group