ইমদাদ সিতারা খান বৃত্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে। বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো। আবেদন ফর্ম ডাউনলোড লিংক পাওয়া যাবে এই লেখার মাঝখানে।
ইমদাদ সিতারা খান বৃত্তি
সিতারা খান ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।
ইমদাদ-সিতারা খান ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান স্পন্দনবি ২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করে
অনার্স প্রথম বর্ষ সেশন ২০২৩-২০২৪ এ অধ্যয়নরত নিম্ন লিখিত বিষয়/অনুষদের শিক্ষার্থীগণ আবেদন করতে পারবেন:
১. বিএসসি অনার্স সকল অনুষদ/বিষয়সমূহ,
২. বিএসসি কৃষি,পশুপালন,ভেটেরিনারিসহ সকল অনুষদ/বিষয় সমূহ,/ইনস্টিটিউট
৩. বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সকল অনুষদ/বিষয়/ইনস্টিটিউট,
৪. বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারি সকল অনুষদ/বিষষ,
৫. এমবিবিএস
৬. বিডিএস
৭. বিএ সকল অনুষদ/বিষয়/ইনস্টিটিউট
৮. বিএসএস সকল অনুষদ/বিসয়/ইনস্টিটিউট
৯. বিবিএস সকল অনুষদ/বিষয়/ইনস্টিটিউট
১০. বিশেষভাবে সক্ষম/দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী। যেকোন বিভাগ/অনুষদের।
A4 সাইজ সাদা কাগজে আবেদন পত্র/নিদিষ্ট ছকে (আবেদন পত্র পিডিএফ ডাউনলোড লিংক) পূরণ করে তা
চেয়ারম্যান, ইমদাদ-সিতারা খান বৃত্তি নির্বাচন কমিটি, বাসা # ০৭/২, শ্যামলছায়া#১, ফ্ল্যাট# বি/২, গার্ডেন স্ট্রিট, রিং রোড, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ এই ঠিকানায় (কুরিয়ার/ডাকযোগে/সরাসরি অফিসে) ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং তারিখের মধ্যে পৌঁছাতে হবে।
আবেদন ফর্ম এর পিডিএফ ডাউনলোড
আবেদনের যোগ্যতা (স্নাতক পর্যায়):
এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় ৪র্থ বিষয় ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ন্যূনতম মোট জিপিএ ৯.৬০ এবং অন্যান্য বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৯.৫০ থাকতে হবে। দৃষ্টি/শারীরিক প্রতিবন্ধী (Physically Challenged/ স্বাভাবিক জীবন যাপনে সক্ষম নয়) এর ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় ৪র্থ বিষয় ছাড়া সকল বিভাগে মোট জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে।
যে সব তথ্য আবেদন পত্রের সাথে অবশ্যই যুক্ত করতে হবেঃ
১. বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের প্রমাণপত্র/প্রত্যয়ন পত্রের ফটোকপি (প্রতিষ্ঠানের প্রধান/বিভাগীয় প্রধান/হল সুপার/প্রভোষ্ট কর্তৃক সত্যায়িত)।
২. পরীক্ষা পাশের (সকল) মার্কশিট/ট্রান্সক্রিপ্ট এর ফটোকপি (অধ্যয়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্তৃক সত্যায়িত)।
৩. সাম্প্রতিক তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (অধ্যয়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্তৃক সত্যায়িত)।
৪. আবেদনকারী কেন নিজেকে এই বৃত্তির যোগ্য মনে করেন ২৫০-৩৫০ শব্দে তার বর্ণনা (স্বহস্তে বাংলায় লিখিত)।
৫. পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে প্রমাণপত্র/প্রত্যয়নপত্র এর ফটোকপি (অধ্যয়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্তৃক সত্যায়িত)।
৬. প্রার্থীর প্রদানকৃত তথ্যে কোন রকম অসঙ্গতি অথবা করো সাথে মিল/নকল পাওয়া গেলে আবেদনটি বাতিল করা হবে।
৭. শুধুমাত্র এমবিবিএস এবং বিডিএস এর ক্ষেত্রে ২০২২ সালে পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীরাও আবেদন করতে পারবে।
৮. শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তর/ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সনদ বা পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
ইমদাদ সিতারা খান বৃত্তি
আবেদন পত্র পূরনের নির্দেশাবলী :
ক. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা অর্থাৎ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান কোন উপজেলা বা জেলায় তা আবেদনকারী স্পষ্ট করে উল্লেখ করবে।
খ. উল্লেখিত জায়গা ছাড়া অন্য কোথাও ইংরেজিতে লেখা গ্রহনযোগ্য হবে না।
গ. আবেদন পত্রে আবেদনকারীর ছবি সংযুক্ত না থাকলে বাতিল হবে।
ঘ. সহশিক্ষা কার্যক্রম যেমন নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, অভিনয়, বিতর্ক, গণিত অলিম্পিয়াড, বিএনসিসি, বাঁধন বা অন্যান্য সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকলে আবেদন পত্রের সাথে তার প্রমাণপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
ঙ. বাবা-মা’র পেশা এবং মোবাইল নাম্বার আবেদনকারীকে সঠিক ও স্পষ্টভাবে লিখতে হবে। তৃতীয় ব্যক্তি হলে সেটা স্পষ্ট উল্লেখ করতে হবে।
চ. আবেদনকারীকে পরিবারের মোট বাৎসরিক আয় এবং ব্যয় দুটোই উল্লেখ করতে হবে। অনেকে শুধু আয়ের হিসাব লিখলেও ব্যয় উল্লেখ করে না যা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। উল্লেখ্য অনেকেই বাৎসরিক আয়-ব্যয় এর জায়গায় মাসিক আয়-ব্যয় উল্লেখ করে থাকে যা নির্দেশনার পরিপন্থি।
Imdad Sitara Khan Scholarship ইমদাদ সিতারা খান বৃত্তি
ছ. আবেদনকারী কেন নিজেকে বৃত্তির যোগ্য মনে করে তা ২৫০ থেকে ৩৫০ শব্দের মধ্যে লিখতে হবে। কোনভাবেই উল্লেখিত শব্দের কম বা বেশি লিখতে পারবে না, লিখলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। তাছাড়া আবেদনকারী মূল লেখা শুরু করার আগে ‘আমি কেন নিজেকে এই বৃত্তির জন্য যোগ্য মনে করি’ তা শুধু উপরে লিখবে। যদিও অনেকে গতানুগতিকভাবে যেমন বরাবর, বিষয় এবং জনাব ইত্যাদি দিয়ে মূল লেখা শুরু করে, তার প্রয়োজন নাই। জ. আবেদনকারীকে অবশ্যই তার “বিশদ রচনামূলক বর্ননায় (২৫০-৩৫০ শব্দ)” নিজের আয় এবং ব্যয়ের খাত স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে এবং এর যৌক্তিকতা দেখাতে হবে।
ঝ. আবেদনকারীকে তার জন্য নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করতে হবে অর্থাৎ এইচ.এস.সি’র জন্য নির্ধারিত ফর্মে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী আবেদন করবে এবং স্নাতক পর্যায়ের আবেদনকারী তার জন্য নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করবে। অন্যথায় তা শুরুতেই বাতিল বলে গণ্য হবে।
ঞ. কোন আবেদনকারী যদি ইমদাদ সিতারা খান বৃত্তির জন্য নির্ধারিত ফর্ম ব্যতিরেকে বৃত্তি সংশ্লিষ্ট অন্য কোন ফর্ম পূরণ করে পাঠায় তাহলেও আবেদন ফর্মটি বাতিল হবে।
ট. সর্বোপরি আবেদনকারী যখন তার “বিশদ রচনামূলক বর্ননায় (২৫০-৩৫০ শব্দ)” লিখবেন তখন তার লেখাটি যাতে সহজপাঠ্য হয় সে বিষয় সর্তক হবেন। যেমন বাঁকা, খুব ছোট বা বড় লেখা কোনভাবেই কাম্য নয়।
ঠ. প্রতিষ্ঠান প্রধান আবেদনকারীরর আবেদনপত্রটির তথ্যাবলী যাচাই করার পর যেন স্বাক্ষর করেন।
কোন ইনস্টিটিউট/অনুষদ/বিষয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া যেমন, পরীক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রম শেষ না হলে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের আবেদন বিশেষ ব্যবস্থায় নেয়ার বিষয়ে পরে জানানো হবে।
কিছু গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে বলে রাখা ভালঃ
১. ’বরাবর, চেয়ারম্যান ………………………………….. আপনার অনুগত ছাত্র’ এমন করে আবেদন লিখার প্রয়োজন নেই। সংযুক্ত ফাইল থেকে আপনার আবেদনটি প্রিন্ট নিয়ে নিজ হাতে পুরন করুন। এটাই আপনার বৃত্তির আবেদনপত্র।
২. ফরমে ১-১৫ টি বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করুন। কোনটিতে তথ্য দেয়ার কিছু না থাকলে ’প্রযোজ্য নয়’ লিখুন।
৩. অন্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি পেয়েছেন কিনা তারও সঠিক তথ্য দিবেন। বোর্ড বৃত্তি পেলে তারও তথ্য দিতে ভুলবেন না। কারণ ইমদাদ-সিতারা খান বৃত্তি অর্জনের ক্ষেত্রে বোর্ড বৃত্তি পাওয়াটা প্লাসপয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে।
আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক ১০০০ টাকার অধিক হারে বৃত্তির জন্য মনোনীত হন সেক্ষেত্রে ইমদাদ-সিতারা খান বৃত্তির জন্য আবেদন না করাই উত্তম।
ইমদাদ সিতারা খান শিক্ষাবৃত্তি ২০২২
৪. অনার্স পর্যায়ে শুধুমাত্র সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকাল কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীগণ এ বৃত্তির আবেদনের জন্য যোগ্য। অনার্স পর্যায়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকাল কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের আবেদন না করতে অনুরোধ করা হলো।
এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এমন কোন নিয়ম প্রযোজ্য নয়। সরকারী এবং বেসরকারি যেকোন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীগণ আবেদন করতে পারবেন।
৫. আবেদনের শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, এখনও পুরো এক মাস সময় আছে বলে শেষ সময়ের অপেক্ষায় থাকবেন না।
৬. ইমদাদ-সিতারা খান বৃত্তির আবেদন খুবই কঠিন ব্যাপার মনে হতে পারে। মোটেও কঠিন নয়। আবেদনের যোগ্য হলে শুরু করুন আজই শুরু করুন। খুবই সহজ মনে হবে
[ বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ লিখিত বর্ণনাতে অন্যান্য তথ্যের সাথে ব্যয়ের খাতগুলো উল্লেখ করতে হবে এবং কোন কোন আয়ের উৎস থেকে সেগুলো পূরণ করা হয় তার উল্লেখ থাকতে হবে । ]
বৃত্তি, শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহ সকল খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Join Our Official Facebook Group