সুদমুক্ত শিক্ষাঋণের জন্য দরখাস্ত আহ্বান হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন “ মেধা লালন প্রকল্প ” -এর অধীনে সুদমুক্ত শিক্ষাঋণ প্রদানের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড থেকে শুধুমাত্র ২০২২ সালে মাধ্যমিক / সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দরিদ্র মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের নিকট থেকে দরখাস্ত আহ্বান করছে ।
নির্ধারিত আবেদন ফর্ম ফাউন্ডেশন – এর অফিস থেকে সরাসরি অথবা ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে । অথবা আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করুন এখান থেকে
আবেদন ফর্ম পিডিএফ ডাউনলোড
আবেদন ফর্ম পূরণ করে জমা দেবার শেষ তারিখ ৩০ মার্চ ২০২৩। ডাকযোগে বা সরাসরি অফিসে
( শুক্র , শনি ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত অন্যান্য দিন সকাল ৯.৩০ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ) আবেদন ফর্ম জমা দেওয়া যাবে ।
আবেদনপত্রের সাথে যে সকল কাগজ সংযুক্ত করতে হবে :
( ক ) যে বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করেছে সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দ্বারা সত্যায়িত মাধ্যমিক পরীক্ষার ‘ ট্রান্সক্রিপ্ট ‘ বা নম্বরপত্র ।
( খ ) প্রধান শিক্ষকের দেয়া একটি চারিত্রিক প্রত্যায়নপত্র এবং বিদ্যালয়ের বাইরের কোনো দায়িত্বশীল সম্মানিত ব্যক্তির দেয়া ( তিনি যদি শিক্ষাবিদ হন তবে ভালো ) আরেকটি চারিত্রিক প্রত্যায়নপত্র ।
( গ ) যে বিদ্যালয় থেকে আবেদনকারী মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছে সেই বিদ্যালয়ের অবস্থান সম্পর্কে
আবেদনপত্রের ক্রমিক নং ( ১০ ) ও ( ১১ ) -এর অন্তর্ভূক্ত নির্দেশ মোতাবেক প্রত্যায়নপত্র ।
( ঘ ) পিতা / মাতা / ভাই / অভিভাবক এর পেশা ও আয় সম্পর্কে আবেদনপত্রের ক্রমিক নং ( ১৪ ) , ( ১৫ ) ও ( ১৬ ) -এর নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যায়নপত্র ।
( ঙ ) সম্প্রতি তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ।
শিক্ষাঋণ
( চ ) আবেদনকারীর নিজ হাতে লেখা ২ টি রচনা ( প্রতিটি ২০০ শব্দের মধ্যে ) । একটি নিজ পরিবারের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ( বাংলায় ) ,
অর্থাৎ পরিবারের বর্তমান অর্থনৈতিক সমস্যা কীরূপ , কীভাবে পরিবারের ভরণ – পোষণ চলছে , পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কে কী করে প্রভৃতির বিস্তারিত ও সুনির্দিষ্ট বিবরণ এবং অন্যটি জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে ( ইংরেজিতে ) ।
আবেদন ফর্ম পিডিএফ ডাউনলোড
নিম্নলিখিত শর্তাধীনে সুদমুক্ত শিক্ষাঋণ প্রদান করা হবে :
১। শুধুমাত্র ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দরিদ্র মেধাবী ছাত্র – ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে ।
২। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যারা পাশ করেছে তাদের ক্ষেত্রে , জেলা সদরে অবস্থিত স্কুলের জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৪.৪ এবং জেলা
সদরের বাহিরে অবস্থিত স্কুলের জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৪.২ হতে হবে ।
বিজ্ঞান বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য বিভাগের ছাত্র – ছাত্রীরা যারা জেলা সদরে অবস্থিত স্কুল থেকে পাশ করেছে তাদের ক্ষেত্রে
ন্যূনতম জিপিএ ৪.২ এবং জেলা সদরের বাহিরে অবস্থিত স্কুলের জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৪.০ বিবেচনা করা হবে ।
জেলা সদরের বাহিরে অবস্থিত স্কুল থেকে পাশ করা মেয়েদের ক্ষেত্রে এই শর্তটি ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের বিশেষ বিবেচনা সাপেক্ষে শিথিলযোগ্য ।
৩। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতি মাসে ১১৫০ / – টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ে সাধারণ বিষয়ে ১৭০০ / – টাকা ও টেকনিকাল বিষয়ে ( এমবিবিএস ,
কৃষি ও প্রকৌশল বিষয়ে বিএসসি চূড়ান্ত পরীক্ষা পর্যন্ত ) ১৮০০ / – টাকা হারে ঋণ দেয়া হবে ।
সুদমুক্ত শিক্ষাঋণ
৪। এই ঋণ শিক্ষা সমাপ্তির দুই বছর পর হতে পরবর্তী পাঁচ বছরে প্রতিবছর ৪ টি কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে ।
৫। এই ঋণ ছাড়াও প্রতি শিক্ষাবর্ষে বই ও শিক্ষা উপকরণের জন্য অনুদান দেয়া হবে , যা পরিশোধযোগ্য নয় ।
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র – ছাত্রীদের ৭০০ / – টাকা , মানবিক / বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র – ছাত্রীদের ৫০০ / – টাকা
এবং স্নাতক পর্যায়ে সাধারণ বিষয়ে ১০০০ / টাকা এবং টেকনিকাল বিষয়ে ( এমবিবিএস , কৃষি ও প্রকৌশল ) ২০০০ / – টাকা হারে প্রতি শিক্ষাবর্ষে অনুদান দেয়া হবে ।
৬। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী থেকে ছাত্র – ছাত্রীদের শিক্ষা কোর্স সমাপ্তি পর্যন্ত ( অর্থাৎ বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ বিষয়ে স্নাতক ও কিছু ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ;
মেডিকেল বিষয়ে এমবিবিএস এবং কৃষি ও প্রকৌশল বিষয়ে বিএসসি চুড়ান্ত পরীক্ষা পর্যন্ত ) এই ঋণ চালু থাকবে ।
তবে উচ্চ মাধ্যমিক বা স্নাতক পর্যায়ে যেকোনো চূড়ান্ত পরীক্ষায় কেউ
তৃতীয় বিভাগে পাশ করলে অথবা জিপিএ – এর ক্ষেত্রে ৩.০০ এর নিচে হলে এই ঋঋণ প্রদান বন্ধ করে দেয়া হবে ।
৭। ঋণ গ্রহণকারীর শিক্ষাধারায় কোনো বিরতি ঘটলে অথবা লেখাপড়ার ফলাফল অসন্তোষজনক হলে অথবা ঋণ সংক্রান্ত শর্তাবলি পালনে ব্যর্থ হলে ঋণ প্রদান বন্ধ করে দেয়া হবে ।
সেক্ষেত্রে উক্ত সময় পর্যন্ত গৃহীত সমুদয় ঋণ ৫ ( পাঁচ ) বছরের মধ্যে প্রতিবছর ৪ টি কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে ।
৮। মেধা লালন প্রকল্পের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত ছাত্র – ছাত্রীদের ঋণ প্রাপ্তিকালীন সময়ে ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমে অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে ।
যেকোনো ছুটির সময় পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে থাকা প্রয়োজন হতে পারে ।
আবেদন ফর্ম ডাউনলোড লিংক
পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় খরচ ফাউন্ডেশন বহন করবে ।
ছাত্রীরা গ্রামীণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে না পারলে তাদের জন্য বিকল্প কার্যক্রম নেয়া হবে এবং সেই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ তাদের জন্য বাধ্যতামূলক থাকবে ।
৯। এই ঋণ পরিশোধযোগ্য দেনা হিসেবে বিবেচিত হবে । পিতা / অভিভাবক এবং ঋণ গ্রহণকারী ছাত্র / ছাত্রী কর্তৃক যৌথভাবে
ঋণ পরিশোধের অঙ্গীকারপত্র প্রদান ছাড়া অন্য কোনো জামিন / নিশ্চিতকরণ – এর প্রয়োজন হবে না ।
ছাত্র – ছাত্রীদের বাছাই ও নির্বাচন এবং এই প্রকল্প সংশিষ্ট অন্য যেকোনো ব্যাপারে ফাউন্ডেশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ।
কোনো প্রকার তদবির / সুপারিশ প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে ।
প্রাথমিকভাবে যারা নির্বাচিত হবে , শুধুমাত্র তাদেরকেই চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য ডাকা হবে ।
যারা প্রাথমিক নির্বাচনে বাদ পড়বে তাদেরকে আলাদাভাবে কোনো চিঠি দিয়ে জানানো হবে না ।
শিক্ষাঋণ শিক্ষাঋণ শিক্ষাঋণ শিক্ষাঋণ৷ শিক্ষাঋণ৷ শিক্ষাঋণ
আবেদন চলমান জেলা পরিষদ শিক্ষাবৃত্তির লিস্ট
চাঁদপুর জেলা পরিষদ শিক্ষাবৃত্তি
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ শিক্ষাবৃত্তি
আবেদন চলমান অনান্য শিক্ষাবৃত্তির তালিকা:
শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আর্থিক অনুদান পেতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবেদনের আহ্বান
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২৩ | DBBL Scholarship HSC 2022
সকল প্রকার বৃত্তির খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Follow us on
Join our Official Facebook Group
এতো রচনা ও প্রত্যায়ন দেওয়া কঠিন হয়ে যায়, শুধু মার্কসিট, সনদ,টেস্টমনিয়াল,জন্মনিবন্দন,ভোটার আইডির পরে আর কোনো ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়না।