শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা নিয়ন্ত্রনের উপায়সমূহ এর বিস্তারিত।করোনা ( corona ) মহামারির জন্য গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।
এতে অনেক শিক্ষার্থীর অনেক ধরনের মানসিক সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘ ১১ মাস ধরে একটানা বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহ।
এতে করে শিক্ষাব্যবস্থায় একটা দীর্ঘ গ্যাপ পড়ে গিয়েছে, যার ফলাফল দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে, অনেকের মধ্যে বিষন্নতা রোগ দেখা দিচ্ছে, তাদের জীবনে একঘেয়েমি বেড়ে গিয়েছে।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম-ই আটকে রয়েছে করোনার কারণে। পিএসসি, জেএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা পরীক্ষাও বাতিল করতে হয়েছে করোনা ঝুকি এড়ানোর জন্য।
এখন করোনা পরিস্থিতি ( corona condition ) কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে, তবে অবশ্যই যথাযথ দিকনির্দেশনা ও নিয়মনীতি মেনেই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে।
আমাদের আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎ, তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু এখন হঠাৎ করে খুলে দিলেই যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকবে না তা কিন্তু নয়।
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে করোনা নিয়ন্ত্রনের সাধারণ কৌশল ( corona resistance policy in educaational institutions )
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এত শিক্ষার্থীর মাঝে কিভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে, এসব নিয়ে সবার ই চিন্তা – দুশ্চিন্তা রয়েছে, রয়েছে নানা রকম দূর্ভাবনা।
আজকে আমরা আলোচনা করব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে করোনা নিয়ন্ত্রনের কয়েকটি উপায় নিয়ে যা আমাদের ভবিষ্যত কর্ণধারদের কিছুটা সুরক্ষিত করতে ভূমিকা রাখবে।
১) শিক্ষা প্রতষ্ঠানে করোনা নিয়ন্ত্রনে তাপমাত্রা পরীক্ষা :
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা করোনা একটি অন্যতম লক্ষন। প্রতিদিন শিক্ষা – প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের পূর্বে সবার তাপমাত্রা চেক করতে হবে। তাপমাত্রা বেশি হলে তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
শুধুমাত্র শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী নয়, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সহ সবাইকে তাপমাত্রা চেক করে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে হবে।
এই নিয়ম যেন সবাই মানে সেই দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভলেন্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবক রাখা যেতে পারে।এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বেশ কিছু সময় ব্যয় হবে কিন্তু করোনা ( corona ) নিয়ন্ত্রনে থাকবে আশা করা যায়।
২) বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান :
শিক্ষক – শিক্ষার্থীসহ প্রতিষ্ঠানের সবাইকে বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।
নো মাস্ক, নো সার্ভিস এই বিধান সব জায়গায় মেনে চলতে হবে।প্রতিষ্ঠানে আলাদাভাবে মাস্কের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে, যেন জরুরি প্রয়োজনে যে কেউ নতুন মাস্ক পেতে পারে।
৩) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা প্রতিরোধে সাবান পানির ব্যবস্থা :
ক্লাস রুম, ক্যান্টিন, লাইব্রেরি, ওয়াশরুমসহ সব জায়গায় সাবান পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। কিছুক্ষন পর পর যেন সবাই হাত ধুতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখা অতি গুরুত্বপূর্ণ। ঘন ঘন হাত ধোয়ার কোনো বিকল্প নেই। কিছুক্ষন পর পর ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে।
এক্ষেত্রে সাধারণ সাবান রাখা যাবে না। যদিও এই পরিস্থিতিতে একজনের সাবান অন্যজন ব্যবহার করা ঠিক না। কিন্তু যেহেতু সবার জন্য সরবরাহ করা সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রে হ্যান্ডওয়াশ রাখতে হবে।
৪) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা প্রতিরোধে জীবানুনাশকের ব্যবস্থা :
প্রতিষ্ঠানের মূল ফটক দিয়ে ঢোকার সময় ই জীবানুনাশক টানেলের ব্যবস্থা রাখতে হবে, জুতা ব্যাগ ভাল মত জীবানূমুক্ত করতে হবে।
কেউ যেন এই টানেল ছাড়া অন্য কোনো দিক দিয়ে প্রবেশ না করতে পারে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। টানেলের জীবানুনাশক যেন সবার জন্য সহনীয় মাত্রা থাকে এবং তা যেন নিরাপদ হয় সেটা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক।
৫)স্কুলের সবার জন্য নিরাপদ স্যানিটাইজার সরবরাহ :
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার্থী থাকে। আর্থিক অস্বচ্ছল পরিবারের অনেকেই সঠিকভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারবে না।
করো এমন রোগ যে একজনের অসতর্কতায় সবাই আক্রান্ত হওয়ার স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।
৫) নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা :
সবাইকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে শ্রেনী কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। অফিস, লাইব্রেরি, ক্লাসরুম সব জায়গার পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। সম্ভব না হলে সবাইকে সতর্কতার সাথে চলাচল করতে হবে।
শ্রেনিকক্ষে এক বেঞ্চে চার জনের জায়গায় দুই জন করে বসাতে হবে, এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে।
যার যা প্রয়োজনীয় জিনিস, বই, খাতা, কলম নিজেকেই বহন করতে হবে। করোনা ( corona )কালীন সময়ে অন্যের জিনিস ব্যবহার করা এবং অন্যকে ব্যবহার করতে দেয়া দুটোই অনিরাপদ।
৬) কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইমারী স্কুলে বিকল্প শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা :
বাচ্চারা আমাদের বড়দের চেয়ে আরো বেশি সামাজিক হয়ে থাকে। তারা পরস্পরের আরো কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে।
করোনার কারণে দশ মাসেরও অধিক সময় পর স্কুল খোলা হলে তাদেরকে পরস্পর থেকে দূরে রাখা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সম্ভব হবে না। তাদের জন্য বিকল্প পন্থা নেওয়া আবশ্যক।বাচ্চাদের ক্লাসরুমে এমন বিকল্প ব্যবহস্তা নেওয়া কঠিন।
প্রাইমারী কিংবা কিন্ডারগার্টেন খোলা হলে বাচ্চাদের পড়াশোনার চেয়ে তাদের মানসিকভাবে পনরায় সুস্থ করার দিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার।
পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে বাচ্চাদেরকে স্কুলমুখী করার জন্য তাদের ক্লাসরুম খোলা মাঠে নিয়ে আসা যেতে পারে। এছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে। যেমন- ছবি অঙ্কন, গান, বক্তব্য ইত্যাদির প্রতিযোগিতা রাখা যেতে পারে।
৭) গার্ডিয়ানদের বসার জায়গা বৃদ্ধি করা :
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে প্রাথমিক, কেজি স্কুলে অভিভাকগণ বাচ্চাদের সাথে আসেন। কিন্তু করোনা ( corona ) কালীন সময়ে তাদের জন্য বসার ব্যবস্থা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। অভিভাবকগণ যেন পারস্পরিক দূরত্ব মেনে বসার সুযোগ পায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
৮) স্কুল বাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা :
বর্তমানে বেশিরভাগ স্কুলই নিজেদের যানবাহনে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে থাকে। বাস সংক্রমণ ছড়ানোর খুব ভালো জায়গা।
এখানে একই সিটে প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন। এর ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই বাসে করোনা সুরক্ষা অতীব জরুরী।
বাসে প্রতিবার শিক্ষার্থী আনা নেওয়া করার পর জীবানুনাশক ছিটাতে হবে। বাসে পাশাপাশি কাউকে বসানো যাবে না। একসাড়িতে দুইজনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থাকে বসানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯) সচেতনতা ও সতর্কতা বৃদ্ধি :
প্রতিটি ক্লাসরুমে শিক্ষক শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষক শিক্ষীকাগন শিক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব, জীবানূমক্ত করনসহ অন্যন্য দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।
পোস্টার ,ব্যানার, ড্রয়িংসহ বিভিন্ন সচেতনতামুলক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে তাদের সচেতনতা বাড়ানো যেতে পারে।
ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।যার যার টিফিন বাড়ি থেকে আনার চেষ্টা করতে হবে। বাইরে থেকে খাবার কিনে না খাওয়াই উত্তম।
১০) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শাখা বৃদ্ধি :
একটি ক্লাসে সাধারনত ৫০- ৬০ বা তারচেয়েও বেশি শিক্ষার্থী ক্লাস করে। এক বেঞ্চে ৩ থেকে ৪ জন করে বসে। কিন্তু এখন এইভাবে ক্লাস করা সম্ভব হবে না। এর জন্য প্রতিটি শাখাকে ছোট ছোট করে কয়েকটি শাখায় বিভক্ত করতে হবে।
ক্লাসের শিক্ষার্থী আগের তুলনায় অর্ধেক করতে হবে, সম্ভব হলে এক বেঞ্চে একজন করে বসাতে হবে। এক বেঞ্চ থেকে আরেক বেঞ্চের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
১১) স্কুলে কলেজে করোনা নিয়ন্ত্রণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা :
একটা নির্দিষ্ট সময় পরে পর শ্রেনীকক্ষসহ সব আসবাবপত্র জীবানুমুক্ত করতে হবে।পরিচ্ছন্নকর্মীদের এই বিষয়ে অবগত রাখতে হবে, তারা যেন নির্দিষ্ট সময় পর পর যথাযথ নিয়ম মেনে সব জিনিসপত্র জীবানুমুক্ত করে।জীবানুনাশক স্প্রে এই ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
১২) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা নিয়ন্ত্রণে শিফট ভাগ করে নেয়া :
সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রনের জন্য শিফট ভাগ করে ক্লাস নেয়া যেতে পারে। সকালে মাধ্যমিক এবং বিকেলে উচ্চমাধ্যমিকের ক্লাস নেয়া যেতে পারে। এতে করে ভিড় এড়ানো যাবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহজতর হবে।
১৩) দিন ভিত্তিক শ্রেনী কার্য্যক্রম ভাগ করে নিতে হবে :
শিফট ভাগ করা সম্ভব না হলে সপ্তাহে ৩ দিন প্রাথমিক ও বাকি ৩ দিন মাধ্যমিকের শ্রেনী কার্যক্রম ভাগ করে নিলে ভালো হয়। এইভাবেও ভিড় এড়ানো যাবে।কিছুদিন বাসায় অনলাইনে ক্লাস নিয়ে বাকি কিছুদিন স্কুলে ক্লাস নিলে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও ভালো থাকবে এবং তাদের লেখাপড়ার ধারাও বজায় থাকবে।
১৪) হোস্টেল বা আবাসিক হলে করোনা নিরাপত্তা :
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সাধারনত অনেক শিক্ষার্থী একসাথে থাকে। করোনা ( corona )কালীন সময়ে এইভাবে থাকাটা অনেক রিস্কের ব্যাপার৷ রুমের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমাতে হবে। সম্ভব হলে হোস্টেল বা হলের পরিধি বাড়াতে হবে।
অনেকে মিলে একই বাথরুম, বেসিন বা গোসলখানা শেয়ার করে। এক্ষেত্রে নিজেদের বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রতিবার ব্যবহারে আগে এবং পরে বাথরুম, বেসিন এসব জীবানীমুক্ত করতে হবে।খাবার আনা নেয়াতেও যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ডাইনিং এ খাবার বা পানি আনার সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে লাইনে দাঁড়াতে হবে।
১৫) সবার জন্য চিকিৎসার ব্যাবস্থা রাখা :
শিক্ষক শিক্ষীকা, শিক্ষার্থীসহ প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারিবৃন্দের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখতে হবে। কারো মধ্যে করোনা ( corona )র উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা ও রাখা যেতে পারে।
১৬) সেল্ফ হাইজিনের অনুশীলন :
সেল্ফ হাইজিন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের পুর্ণ জ্ঞান দিতে হবে। হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম, জীবানুনাশক প্রয়োগ সম্পর্কে সবাইকে অবগত করতে হবে এবং নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে।
১৭) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশে পাশের এলাকা ও মানুষ :
আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশে পাশের এলাকাগুলোতে বড় বড় ব্যবসা গড়ে উঠেছে। এসব জায়গায় আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রয়োজনেই যেতে হয়।
এসব ব্যবসায় জড়িত লোকদের সুরক্ষার কথাও আমাদের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই সতর্ক হতে হবে। দোকানে জীবানুনাশক স্প্রে করা এবং তাদেরকে স্যানিটাইজার সরবরাহ ও প্রয়োজনে মাস্ক ফ্রি দিতে হবে।
১৮) অনলাইনের শিক্ষা ব্যবস্থা বহাল রাখা :
বাড়ির কাজ, এসাইনমেন্ট এসব অনলাইনের মাধ্যমে জমা নিতে হবে৷ এতে করে বই খাতা আদান প্রদানের মাধ্যমে করোনায় আক্রান্তের ঝুকি কমবে। সপ্তাহে ২ দিন স্কুলে ক্লাস নিয়ে বাকি ৩/৪ দিন অনলাইনে ক্লাস নিলে করোনার ঝুকি অনেকাংশে কমে আসবে।
১৯) করোনা ( corona ) রোগীর প্রতি সহনশীল আচরন :
কেউ করোনা ( corona ) আক্রান্ত হলে তাদের জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তার প্রতি সহয় হতে হবে।
যদি কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী করোনা আক্রান্ত ( corona infected ) হয়ে থাকে তাকে পর্যাপ্ত ছুটি দিতে হবে৷ করোনা কালীন সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মকানুন শিথিল করতে হবে।
শেষ কথা :
করোনা ( corona ) মহামারীতে বিশ্বজুড়ে সবার ই কোনো না কোনো ক্ষতি হয়েছে। বিশ্বের সব শিক্ষার্থীরাই অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা করছে। কিন্তু অনলাইন শিক্ষা কার্যকর হচ্ছে না সম্পূর্ণ ভাবে। কোথাও না কোথাও একটা গ্যাপ রয়েই যাচ্ছে। শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এই করোনার সময়ে স্কুল কলেজ যদি খুলতেই হয় তাহলে যথাযথ নিয়ম – নীতি ও বিধি নিষেধ মেনেই খুলতে হবে।
একটি শিক্ষার্থীকেও হুমকির মুখে ফেলা যাবে না। করোনা ( corona ) থেকে সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। শিক্ষার্থীদের সুস্থতাই আমাদের সবার কাম্য।
করোনার সকল তথ্য দেখুন এখানে
আরো পড়ুনঃ
- ১৯ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি আবেদন যোগ্যতা ও মানবন্টন
- গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের MCQ পরীক্ষা হবে ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভর্তির তালিকা প্রকাশ ২০ ডিসেম্বর
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফের ছুটি বাড়লো ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
- নতুন নিয়মে তথ্য দিতে হবে উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের
[আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে ইমেইল আইডি সংযুক্ত করে কমেন্ট করুন]
শিক্ষাবৃত্তি, শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহ সকল খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।