এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার পরীক্ষায় বসছে না প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার প্রভাব ও বাল্যবিবাহসহ সংসারের হাল ধরতে শিক্ষা জীবন ছেড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। প্রশাসন বলছে সমন্বিত প্রচেষ্টার কথা। কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসি
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৬ জেলায় ২০২২ সালের এসএসসির জন্য রেজিস্ট্রেশনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ২ লাখ ২০ হাজার ২৮৮ জন, এর মধ্যে পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪৩ জন। রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসছে না প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী। যার মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি। পরীক্ষায় না বসা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ঝরে গেছেন শিক্ষা জীবন থেকে।
স্কুল প্রধানরা বলছেন, মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার মূল কারণ বাল্য বিবাহ, আর ছেলেরা ঝুঁকছে উপার্জনে। আর প্রত্যন্ত এলাকায় এই ঝরে পড়ার হার বেশি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার বলেন, করোনার কারণে আমাদের দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিলো। ফলে অনেক অভিভাবক মেয়ে শিক্ষার্থীদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। অপরদিকে ছেলে শিক্ষার্থীরা আর্থিক সমস্যার কারণে কেউ দেশের বাইরে চলে গেছে আবার কেউ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে। ফলে এসএসসি পরীক্ষার্থী অনেকেই ঝরে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এই ঝরে পড়াটা হয়তো আমরা রোধ করতে পারতাম কিন্তু, করোনাকালীন সময়ে অনলাইন ক্লাস শতভাগ ফলপ্রসূ করা সম্ভব হয়নি, এতে তারা ঝরে পড়েছে।
কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসি
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে আরও বলেন, যেহেতু এখন করোনা পরিস্থির উন্নতি হয়েছে, সেহেতু আমাদের এই ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে।
কুমিল্লা, ফেণী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং লক্ষ্মীপুরসহ ৬ জেলায় এসএসসির রেজিস্ট্রেশনকারীর সংখ্যা ২ লাখ ২০ হাজার ২৮৮ জন। কিন্তু পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪৩ জন। রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসছে না ৩৬ হাজার ৯৪৫ জন পরীক্ষার্থী। রেজিস্ট্রেশন করা ৮৯ হাজার ৫৮১ জন ছাত্রের মধ্যে ফরম পূরণ করেছেন ৭৮ হাজার ৩৯৬ জন; ঝরে পড়েছে ১১ হাজার ১৮৫ জন। অপরদিকে রেজিস্ট্রেশন করা ১ লাখ ৩০ হাজার ৭০৭ জন ছাত্রীর মধ্যে ফরম পূরণ করেছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৯৪৭ জন; এর মধ্যে ঝরে পড়েছে ২৫ হাজার ৭৬০ জন।
কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসি
পরিসংখ্যান বলছে, ছেলে শিক্ষার্থীদের চেয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার সংখ্যা বেশি। ঝরে পড়া মেয়ে শিক্ষার্থীর হার ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ছেলে শিক্ষার্থীর ১২ দশমিক ৪ শতাংশ।
এদিকে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে প্রায় ৩০ হাজার। যদিও বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, অনিয়মিত পরীক্ষার্থী না থাকায় কমে এসেছে সংখ্যা। তবে প্রশাসন বলছে, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বাল্যবিবাহসহ এসব বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তারা।
সোর্সঃ যমুনা নিউজ
সকল প্রকার বৃত্তির খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Follow us on
Join our Official Facebook Group