ভূগোল পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
ভূগোল ও পরিবেশ উত্তর
এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ ৩য় এসাইনমেন্ট মূল বইয়ের চতুর্থ অধ্যায়- পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠন থেকে নেওয়া হয়েছে।
ভূগোল পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান শুরু
(ক) ভূপৃষ্ঠের পরিবর্তনের প্রক্রিয়াঃ
যে সকল ভৌত ও রাসায়নিক প্রক্রিয়া ভূ-পৃষ্ঠের রূপকে পরিবর্তন করে তাদেরকে ভূমিরূপ প্রক্রিয়া বলে। ভূমিরূপ প্রক্রিয়াকে প্রধান দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন-বহিস্থ ভূমিরূপ প্রক্রিয়ায় ভূ-পৃষ্ঠের বাইরের পরিবর্তনকারী শক্তি কাজ করে ও অন্তঃজ প্রক্রিয়ায় শক্তির উদ্ভব ঘটে ভূঅভ্যন্তরে।
সামগ্রিক ভাবে অন্তঃজ প্রক্রিয়ার কাজ গঠনমূলক ও বহিজ প্রক্রিয়ার কাজ বিনাশমূলক। বহিজ প্রক্রিয়া ভূপৃষ্ঠের প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ধীরে ধীরে ভূমিরূপের পরিবর্তন সাধন করে। অন্তঃজ প্রক্রিয়া ভূ-ভাগের অভ্যন্তরে সংঘটিত হয়। ভূ-অভ্যন্তরের প্রবল শক্তি ভূ-ত্বকের ধীরে ও আকস্মিক উভয় প্রকার পরিবর্তন সাধন করে।
আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের হঠাৎ যে পরিবর্তন সাধন করে তাকে আকস্মিক পরিবর্তন বলে। বহির্বিশ্ব থেকে আগত উল্কাপাতের মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠের পরিবর্তন সাধনকেই অপার্থিব প্রক্রিয়া বলে।
ভূপৃষ্ঠ সর্বদাই পরিবর্তনশীল। যে সমস্ত ভৌত ও রাসায়নিক প্রক্রিয়া ভূ-পৃষ্ঠের ভূমিরূপে সদা পরিবর্তন হয়ে তাদের ভূরূপ প্রক্রিয়া বলে। ভূমিরূপ প্রক্রিয়াকে প্রধান দুটো শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে।
(ক) আকস্মিক (Sudden) ও
(খ) ধীর (Slow) এই দুইভাবে ঘটে থাকে।
যেমন: আলােড়ন, অগ্নৎপাত, ভূমিকম্প ইত্যাদি শক্তিগুলাে ভূপৃষ্ঠ ও অভ্যন্তর ভাগে আকস্মিক পরিবর্তন ঘটায়।
আবার তাপমাত্রা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, তুষার ইত্যাদি বাহ্যিক প্রাকৃতিক শক্তিও মানব সৃষ্ট কারণে ভূপৃষ্ঠে ধীরে ধীরে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। যেমন: শিলাতে ফাটল, কঙ্কল মােচন ইত্যাদি। প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ভূমিরূপের এই পরিবর্তন ভূপৃষ্ঠে ও এর অভ্যন্তরে সংঘটিত হয়ে থাকে। যে প্রক্রিয়ায় এইরূপ পরিবর্তন ঘটে, তাদের দুইভাগে ভাগ করা যায়। যেমন___
১)বহিঃস্থ ভূরূপ প্রক্রিয়া (Exogenetic Process)
২)অন্তঃস্থ ভূরূপ প্রক্রিয়া (Endogenetic Process)
ভূগোল পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
(খ) ভূপৃষ্ঠের আকস্মিক পরিবর্তনের কারনঃ
আকষ্মিক পরিবর্তন প্রক্রিয়াসমূহ: ভূ-গর্ভস্থ গলিত ম্যাগমাসমূহ ভূ-গর্ভে তাপ ও চাপের তারতম্য এবং অন্যান্য ভূমিরূপ গঠনকারী শক্তির প্রভাবে প্রচন্ড আলােড়িত হয়।
এইরূপ আকস্মিক আলােড়নের ফলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূ-কম্পন, ভূ-অভ্যন্তরে সংকোচন ও প্রসারণ ইত্যাদি নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে। ফলে অত্যন্ত আকস্মিকভাবে, স্বল্প সময়ের জন্য, অপেক্ষাকৃত স্বল্প বিস্তৃত স্থান জুড়ে যে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়, তাকে আকস্মিক পরিবর্তন প্রক্রিয়া বলা হয়।
অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প, সুনামি ইত্যাদি আকস্মিক পরিবর্তনকারী প্রক্রিয়া। ভূ-আলােড়নের সময়ে অথবা অন্য কোন প্রাকৃতিক কারণে ভূ-পৃষ্ঠের একটি অংশ যখন হঠাৎ কিছুক্ষণের জন্য কেঁপে উঠে, তখন ভূ-ত্বকের এই কম্পনকে ভূমিকম্প বলা হয়।
ভূ-গর্ভস্থ যে স্থানে এই কম্পনের সৃষ্টি হয়, তাকে ভূমিকম্পের উৎস স্থল বা কম্পকেন্দ্র বলা হয়। কম্পকেন্দ্র বরাবর লম্বভাবে ভূপৃষ্ঠের যে বিন্দুটি রয়েছে,তাকে উপকেন্দ্র বলা হয়। সাধারণত ভূ-ত্বকের ৩২ কি.মি. এর মধ্যে ভূমিকম্পের উৎস স্থান থাকলেও কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে গভীরতা আরও বেশি হতে পারে।
কম্পকেন্দ্র থেকে ভূমিকম্প চারিদিকে ঢেউএর মত ছড়িয়ে পড়ে ভূমিকম্পের কারণসমূহঃ
১. ভূ-ত্বক কতকগুলাে প্লেট দ্বারা গঠিত। এই প্লেটসমূহ বিভিন্ন দিকে যেমন: একে অপরের বিপরীত দিকে, একে অপরের অভিমুখে এবং পরস্পর সমান্তরালভাবে সঞ্চালিত হয়। এইরূপ সঞ্চালনের ফলে সৃষ্ট চাপ থেকে আকস্মিকভাবে প্রচন্ড কম্পন সৃষ্টি হয়। ভূ-পৃষ্ঠে এই কম্পন ভূমিকম্পের সৃষ্টি করে ।
২. ভূ-গর্ভস্থ তাপের ফলে বিপুল পরিমাণ বাষ্প সৃষ্টি হলে, ঐ বাষ্প ভূত্বকের নিচের অংশে প্রবল বেগে ধাক্কা দেয়। ফলে ভূ-পৃষ্ঠে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।
৩. ভূ-ত্বকের বিভিন্ন অংশে তাপ বিকিরণের ফলে সংকুচিত হলে সংলগ্ন এলাকার ভূ-ত্বকের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে ভূ-অভ্যন্তরে বিভিন্ন শিলারাশির মধ্যে টান সৃষ্টির হয়। ফলে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।
৪. অনেক ক্ষেত্রে আগ্নেগিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময়ে ঐ এলাকা কেঁপে উঠে ভূমিকম্প হয়। অন্যান্য আরও কতিপয় কারণ যেমন: ভূ-গর্ভস্থ চাপের হ্রাস-বৃদ্ধি, শিলাচ্যুতি, ভূমিধ্বস, হিমবাহের চলাচল ইত্যাদি কারণে ভূমিকম্প সংঘটিত হতে পারে।
এসএসসি ভূগোল পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
আগ্নেয়গিরির সংজ্ঞাঃ
ভূ-গর্ভস্থ তাপ ও চাপের পরিবর্তনের ফলে ভূ-অভ্যন্তরস্থ উত্তপ্ত, ও গলিত বিভিন্ন পদার্থ, যেমন: উষ্ণ বাষ্প, গলিত শিলা, কাঁদা, ধাতু, ভষ্ম ইত্যাদি প্রবলবেগে ভূ-ত্বকের নিচের অংশে চাপ প্রয়ােগ করে।
এমতাবস্থায়, ভূ-ত্বকের দুর্বল স্থান বা ফাটলসমূহের ভিতর দিয়ে উক্ত পদার্থগুলাে উৎক্ষিপ্ত হয়ে বহু দুর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। ভূ-পৃষ্ঠের ঐ ছিদ্র পথ বা ফাটলের চারপাশে উক্ত পদার্থগুলাে জমাট বেঁধে ক্রমশ উঁচু পর্বতের ন্যায় ভূমিরূপ গঠন করে। এইরূপ পর্বতকে আগ্নেয়গিরি বলা হয়। আগ্নেয়গিরি থেকে যে পদার্থগুলাে বাইরে উৎক্ষিপ্ত হয়ে বেরিয়ে আসে,তাকে লাভা (Lava) বলে।
বাইরে উৎক্ষিপ্ত হয়ে বেরিয়ে আসার পূর্ব পর্যন্ত এই পদার্থগুলাে ম্যাগমা (Magma) নামে পরিচিত। আগ্নেয়গিরির অভ্যন্তরে বিশাল এলাকা জুড়ে ম্যাগমা অর্থাৎ উত্তপ্ত ও গলিত শিলা, কাদা, ভষ্ম ও বাষ্প জমাকৃত হয়ে থাকে, যাকে ম্যাগমা চেম্বার বলা হয়। লাভা বের হবার মুখটিকে জ্বালামুখ (Crater) বলা হয়। যে পথে লাভা বের হয় সেটিকে আগ্নেয় গ্রীবা (Vent) বলা হয় অগ্ন্যুৎপাতের কারণ।
যে সমস্ত কারণে আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে, সেগুলাে নিম্নরূপ___
১. ভূ-ত্বক ফাটলের অবস্থান;
২. ভূ-অভ্যন্তরস্থ তাপ ও চাপ বৃদ্ধি;
৩. ভূ-গর্ভে তরল শিলার (ম্যাগমা) অবস্থান;
৪. ভূ-আন্দোলন ও
৫. ভূ-অভ্যন্তরে পানির প্রবেশ।
(গ) পৃথিবীর প্রধান ভূমিরূপের বৈশিষ্ট্যঃ
ভূমিরূপ বা ল্যান্ড ফর্ম কে আক্ষরিক অর্থে ভূমির গঠনগত আকৃতিকে বলা হলেও ব্যাপক অর্থে সমগ্র পৃথিবী ব্যাপী অবস্থানরত বিভিন্ন ধরনের ভূমি ভাগের আকৃতি, উচ্চতা, বন্ধুরতা, ঢাল, প্রভৃতি অবয়ব ভূমিরূপ নামে পরিচিত।
প্রসঙ্গত অগ্ন্যুৎপাত ভূমিকম্প সূর্যরশ্মি নদ-নদী সমুদ্রস্রোত বাযু হিমবাহ ভূমিরূপ সৃষ্টিতে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ পাহাড়-পর্বত, মালভূমি,সমভূমি। ভূমিরূপকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা পর্বত বা মাউন্টেইন, মালভূমি ও সমভূমি।
এই প্রত্যেকটি ভূমিরূপ কে আবার অনেক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০০ মিটার বা তারও বেশি উচ্চতাবিশিষ্ট বহুদূর বিস্তৃত শৃঙ্গযুক্ত খাড়া ঢালের শিলাময় স্তুপ পর্বত বা মাউন্টেন নামে পরিচিত।
যেমন হিমালয় সাতপুরা ভিসুভিয়াস আরাবল্লী, এই চারটি পর্বত হল পর্বতের বিভিন্ন ভাগের উদাহরণ। পর্বত কে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথাঃ ভঙ্গিল পর্বত, স্তুপ পর্বত, আগ্নেয় পর্বত, ক্ষয়জাত পর্বত।
এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
ভঙ্গিল পর্বতঃ ভূপৃষ্ঠের কোমল পাললিক শিলা স্তর গিরিজনি প্রক্রিয়ায় পার্শ্ব চাপে ভাজপ্রাপ্ত হয়ে যে পর্বত সৃষ্টি করে তাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে। যেমন হিমালয়, আল্পস, রকি, আন্দিজ, ইত্যাদি।
আগ্নেয় পর্বতঃ প্রবল ভূ আলােড়ন এর ফলে ভূ-অভ্যন্তরের উত্তপ্ত তরল ও বিভিন্ন গ্যাস যুক্ত ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের কোন দুর্বল স্থান কিংবা ফাটল দিয়ে লাভা রূপে নির্গত হয়ে শঙ্কু বাস্তবে নয় যে পর্বত সৃষ্টি করে, তাকে আগ্নেয় পর্বত বলে।
প্রসঙ্গত, লাভা সঞ্চয় এর মাধ্যমে আগ্নেয় পর্বত গঠিত হয় বলে, একে সঞ্চয়জাত পর্বত ও বলে। যেমন ভারতের আন্দামান সংলগ্ন ব্যারেন, জাপানের ফুজিয়ামা, ইতালির ভিসুভিয়াস, প্রভৃতি।
আগ্নেয় পর্বতের সৃষ্টি প্রক্রিয়াঃ প্রবল ভূ-আলােড়ন, পাতের সঞ্চালন কিংবা ভূমিকম্পের দ্বারা ভূগর্ভের ৮০১৬০ কি.মি. গভীরতায় থাকা উত্তপ্ত তরল ও গ্যাসীয় বাষ্প যুক্ত ম্যাগমার চাপের ভারসাম্য নষ্ট হলে সেটি দ্রুত স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ফেলে।
তখন সেই মেঘনা ভূগর্ভের একটি নির্দিষ্ট পথ ধরে ভূপৃষ্ঠস্থ দুর্বল স্থান কিংবা ফাটলের মধ্যে দিয়ে ধীর গতিতে কিংবা বিস্ফোরণের দ্বারা ছাই ভস্ম কিংবা ছােট ছােট আগ্নেয় পদার্থের টুকরাের সমন্বয় এ ভূপৃষ্ঠের বাইরে সঞ্চিত হয়ে আগ্নেয় পর্বত সৃষ্টি করে।
ভূগোল পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
মালভূমিঃ
সমুদ্র সমতল থেকে ৩০০ মিটার বা আরাে কিছুটা উর্ধ্বে অবস্থিত খাড়া ঢাল যুক্ত সুবিস্তৃত তরঙ্গায়িত বা সামান্য বন্ধুর ভূভাগ মালভূমি নামে পরিচিত। প্রসঙ্গত আকৃতিগত ভাবে মালভূমি অনেকটা টেবিলের ন্যায় দেখতে হওয়ায় একে টেবিল ল্যান্ড বলে।
যেমন ভারতের দাক্ষিণাত্য ও ছােটনাগপুর মালভূমি, তিব্বতের পামির মালভূমি ইত্যাদি। মালভূমি সৃষ্টির কারণঃ মালভূমি সৃষ্টি হওয়ার পেছনে সাধারণত তিনটি কারণ দায়ী। এগুলি হলাে
১) ভূ আলােড়ন ও পাত সঞ্চরণঃ পাত সঞ্চরণ ও তত্ত্বানুসারে পাত গুলির চলন এর ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠের প্রাচীন ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মহাদেশীয় বা শিল্ড মালভূমির গঠন করে। যেমন আরব মালভূমি, কানাডিয়ান শিল্ড প্রভৃতি। পাত সঞ্চারণের ফলে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সময় পর্বতের মাঝের নিচু ও সমতল ভূমি উঁচু হয়ে মালভূমি সৃষ্টি হয়। এগুলি পর্বত দ্বারা বেষ্টিত।
যেমন তিব্বত মালভূমি, ইরানের মালভূমি প্রভৃতি। অনেক সময় ভূ-আলােড়ন এর ফলে ভূপৃষ্ঠের বিস্তৃত সুউচ্চ ভূভাগ একদিকে হেলে পড়ে ও মালভূমিতে পরিণত হয়। যেমন ভারতের উপদ্বীপীয় মালভূমি। ভূ আলােড়ন এর ফলে সৃষ্ট চ্যুতির পাশের কোন অংশ অনেক সময় উথিত হয়ে মালভূমি তে পরিণত হয় ।যেমন ফ্রান্সের সেন্ট্রাল ম্যাসিফ মালভূমি।
২) ক্ষয় সাধনঃ নদী, বাষু হিমবাহ, সমুদ্র তরঙ্গ, আবহবিকার প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা কোন উচ্চভূমি বা পর্বতমালা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় মালভূমির আকার ধারণ করে। যেমন মধ্য ভারতের বুন্দেলখন্ড ও বাঘেলখন্ড মালভূমি।
৩) সঞ্চয় কাজঃ নিঃসারী অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের বাইরে এসে লাভা রূপে সঞ্চিত হয়ে মালভূমি তে পরিণত হয়। যেমন ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি বা ডেকানট্রাপ। *শুষ্ক অঞ্চলে বালুরাশি জমা হয়ে মালভূমি সৃষ্টি হয়। যেমন আফ্রিকার সাহারা মালভূমি। *অতি শীতল অঞ্চলে বরফ জমে উঁচু হয়ে মালভূমি সৃষ্টি করে। যেমন আন্টাটিকা মালভূমি ও গ্রীনল্যান্ড মালভূমি।
ভূগোল ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
সমভূমিঃ
সমুদ্রপৃষ্ঠের একই সমতলে বা সামান্য উঁচুতে, তবে ৩০০ মিটারের কম উঁচুতে অবস্থিত প্রায় সমতল সমতল বিস্তীর্ণ স্থলভাগকে সমভূমি বলে। যেমন ভারতের গঙ্গা নদী বিধৌত সমভূমি অঞ্চল, রাশিয়ার সাইবেরিয়ান সমভূমি।
১) পলি গঠিত সমভূমিঃ বন্যার সময় নদীর মধ্য ও নিম্নগতিতে নদীর উভয় পার্শ্বে পলি বালি কাঁকর ইত্যাদি সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমি গঠন করে তাকে পলি গঠিত সমভূমি বলে। বর্ষাকালে নদীর দু’কূল ছাপিয়ে বন্যার সৃষ্টি হলে বন্যার জলের সঙ্গে বাহিত পলি, বালি, নুড়ি কাঁকর, কাঁদা উভয় তীরের নিম্নভূমিতে সঞ্চিত হয়।
বছরের পর বছর এইভাবে পলি সঞ্চিত হয়ে নিচু জায়গা ভরাট হয়ে উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে সমভূমি তে পরিণত হয়। যেমন গাঙ্গেয় সমভূমি, ব্রহ্মপুত্র সমভূমি প্রভৃতি।
২) লােয়েস সমভূমিঃ মরুভূমির বালি বায়ুপ্রবাহের দ্বারা বহুদূর উঠে গিয়ে সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমি সৃষ্টি হয় তাকে লােয়েস সমভূমি বলে। লােয়েস শব্দের অর্থ সূক্ষ্ম পলি বা স্থানচ্যুত বস্তুকণা। সাধারণত ০.০৫ মিলিমিটারের কম ব্যাস যুক্ত বালিকণা সহজেই প্রবল বায়ু প্রবাহের সঙ্গে বাহিত হয়।
এই বাযুর গতি কমে গেলে বা বাযু বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হলে বাযুস্থিত বালিকণা অবক্ষিপ্ত হয় এবং লােয়েস সমভূমি গড়ে ওঠে। যেমন মধ্য এশিয়ার গােবি মরুভূমি বালি উড়ে গিয়ে চীনের হােয়াংহাে নদী অববাহিকায় সঞ্চিত হয় লােয়েস সমভূমি গড়ে উঠেছে।
৩) লাভা সমভূমিঃ ভূপৃষ্ঠের কোন নিম্ন অংশে ক্রমাগত লাভা সঞ্চিত হয়ে যে সমতল ভূমির সৃষ্টি হয় তাকে লাভা সমভূমি বলে। ভূত্বকের কোন দুর্বল অংশ বা ফাটল দিয়ে ভূগর্ভের উত্তপ্ত ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে এসে লাভা রূপে শীতল ও কঠিন হয়ে সঞ্চিত হয়। এইভাবে ক্রমাগত লাভা সঞ্চয়ের ফলে লাভা সমভূমি গড়ে উঠেছে। যেমন ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমির উত্তরে মালব সমভূমি।
ভূগোল পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
৪) বদ্বীপ সমভূমিঃ নদীর মােহনায় অতিরিক্ত পলি সঞ্চিত হয় মাত্রাহীন ব আকৃতির সমভূমি গড়ে ওঠে। যেমন গঙ্গা নদীর মােহনায় সৃষ্ট বদ্বীপ সমভূমি।
৫) হ্রদ সমভূমির সৃষ্টিঃ কোন নদীবাহিত নুড়ি, বালি, কাদা, পলি হ্রদে সঞ্চিত হয়ে হ্রদ ভরাট হয়ে গেলে হ্রদ সমভূমি গঠিত হয়। যেমন উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তাল সমভূমি অঞ্চল।
৬) হিমবাহ সমভূমিঃ হিমবাহের দ্বারা সঞ্চিত নুড়ি , কাকর জমে এই প্রকার সমভূমি সৃষ্টি হয়। যেমন উত্তর আমেরিকার প্রেইরি সমভূমি।
৭) ক্ষয়জাত সমভূমিঃ নিচু মালভূমি বা পার্বত্য অঞ্চল বহু বছর ধরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় সমপ্ৰায় ভূমি সৃষ্টি করে। যেমন ভারতের ছােটনাগপুর মালভূমির কিছু কিছু অংশ।
এসএসসি ২০২১ এসাইনমেন্ট সমাধান লিস্ট
পরীক্ষার নাম | সপ্তাহ নাম্বার | এসাইনমেন্ট উত্তর |
এসএসসি ২০২১ | ১ম সপ্তাহ | উত্তর দেখুন |
এসএসসি ২০২১ | ২য় সপ্তাহ | উত্তর দেখুন |
এসএসসি ২০২১ | ৩য় সপ্তাহ | উত্তর দেখুন |
এসএসসি ২০২১ | ৪র্থ সপ্তাহ | উত্তর দেখুন |
এসএসসি ২০২১ | ৫ম সপ্তাহ | উত্তর দেখুন |
পরীক্ষার প্রশ্ন সলভ, এসাইনমেন্ট সলভ, বৃত্তি, শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহ সকল খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Join Our Official Facebook Group
THANKS