জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে(জবি) রঙিন ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। নানা প্রত্যাশা ও স্বপ্ন নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পা রাখলো তার যৌবনের নতুন ধাপ ১৮তম বছরে। বৃহস্পতিবার অর্জনে গৌরবে সতেরো স্লোগানকে সামনে রেখে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পযর্ন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও পুরান ঢাকায় নানা বর্ণিল ও মুখরোচক আয়োজন করা হয়।
এরই অংশ হিসাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগও বর্ণাঢ্য আয়োজনে মধ্য দিয়ে জবি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করে।
সকালে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করেন অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড,আরিফুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড, জাকারিয়া মিয়া (সাবেক চেয়ারম্যান, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক ড,শামীমা বেগম (অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ) সহ বিভাগের অনান্য শিক্ষকগণ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলো বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ও বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে শান্ত চত্ত্বর থেকে একটি আনন্দ র্যালি বের হয়। র্যালীতে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করে। আনন্দ র্যালিটি পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে আবারও ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।
র্যালি শেষে বিভাগে ছোট পরিসরে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সংক্ষিপ্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়৷ আলোচনা অনুষ্ঠানে বিভাগের চেয়ারম্যান ড,আরিফুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হাজারো আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করছে।
আজকের দিনটি আমাদের কাছে অন্যরকম একটি দিন। গত বছর করোনা মহামারির কারণে আমরা উদযাপন করতে না পারলেও এবছর দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ছোট পরিসরে আয়োজন করতে পারছি।
“বিশ্ববিদ্যালয়ের অভাবনীয় সাফল্যের সাথে সাথে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগও এগিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা অবদান রাখছে। এটি আমাদের কাছে পরম আনন্দের”
আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড, জাকারিয়া মিয়া (সাবেক চেয়ারম্যান,অণুজীববিজ্ঞান) তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স কম হলেও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কোনোদিক থেকেই পিছিয়ে নেই।
গবেষণা,শিক্ষা,উচ্চশিক্ষায় আমাদের অর্জন গৌরবময়। ইতোমধ্যে আমরা উপচার্য মহোদয়ের সুদৃষ্টির কারণে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে আধুনিক গবেষণাগার স্থাপন করেছি।
এই অত্যাধুনিক গবেষণাগারটিতে রিয়েল টাইম পিসিআর, বায়োসেফটি কেবিনেটের (বিএসএল-২) সুবিধাসহ আরও অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজিত করা হয়েছে।
“আশা করছি বিশ্বমানের গবেষণাগারটি উচ্চশিক্ষার প্রসার ও গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনে ভূমিকা রাখবে”
এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণায় অংশগ্রহন করে আন্তর্জাতিক ভাবে সাফল্য বয়ে আনবে জবি অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ।
আরো পড়ুন, বিসিএসে অণুজীববিজ্ঞানীদের জন্য আলাদা ক্যাডার এখন সময়ের দাবী