আমাদের দেশে পিতামাতা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশিরভাগক্ষেত্রেই চিন্তা করেন- তাদের ছেলেমেয়েরা বিসিএস ক্যাডার, ডাক্তার নয়তো ইঞ্জিনিয়ার হবে। কেউ যদি বলে সে এমবিবিএস পাস করেছে, সবাই বুঝে নেয় সে ডাক্তার। যদি কেউ বলে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে, তাহলে সবাই বুঝে নেয় সে ইঞ্জিনিয়ার। আইনজীবী শব্দটিও এদেশের মানুষ খুব সহজেই বুজতে পারে।
কিন্তু কেউ যখন বলে, সে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে গ্র্যাজুয়েট; অনেকেই বলে ওঠেন, সেটা আবার কী?
অণুজীববিজ্ঞান কী? সে বিষয়ে জানার আগে চলুন জানি অণুজীব বিজ্ঞানীরা কি অবদান রাখছে দেশে এবং বহির্বিশ্বে?
২০২০ সালে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশ্বের সব দেশের দিকে তাকালে দেখা যাবে, অণুজীব বিজ্ঞানীরাই প্রথমত এগিয়ে এসেছেন করোনা মোকাবেলায় এবং বিভিন্ন রোগের ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন এখন পর্যন্ত।
দেশের করোনা পরিস্থিতিতেও আমাদের দেশের অনুজীব বিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন । এর মধ্যে অন্যতম গণস্বাস্থ্যের র্যাপিড কিট আবিষ্কারকের চারজনের মধ্যে তিনজন অণুজীব বিজ্ঞানী। অণুজীব বিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি ও ড. সমির সাহা কর্তৃক করোনার জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচিত হয়েছে। তার নিজের প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনে। সরকারি অর্থায়ন ছাড়াই তিনি নিজের উদ্যোগে বিদেশি সংস্থার আর্থিক সহায়তায় এই কাজটি সম্পন্ন করেন।
এছাড়াও বহু অণুজীব বিজ্ঞানী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে করোনাভাইরাস নির্ণয়ে পিসিআরের কাজ দক্ষতার সঙ্গে করে গেছেন ।
আজকের অ্যান্টিবায়োটিক, ভ্যাকসিন বা টিকা থেকে শুরু করে ওষুধের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান স্টেরয়েডসহ বংশগতি, বাস্তুসংস্থান, বিবর্তন, পরিবেশ, খাদ্যের গাজন পদ্ধতি, জৈবপ্রযুক্তি, জ্বালানি, খনিজ পদার্থ, কৃষি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, এমনকি ডায়াবেটিক রোগীর এক অত্যাবশকীয় ওষুধ ইনসুলিন- সবকিছুতে অণুজীব বিজ্ঞানীদের অবদান অনস্বীকার্য ।
এবার আসি অণুজীববিজ্ঞান কীঃ
অণুজীব হলো ক্ষুদ্র জীব, যা খালি চোখে দেখা যায় না। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, নীলাভ সবুজ শৈবাল, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি নিয়ে যে বিজ্ঞানশাত্র তাই অণুজীববিজ্ঞান। সমুদ্রের গভীর তলদেশ থেকে আগ্নেয়গিরির লাভা, সর্বত্র অণুজীববিজ্ঞানের পদচারণা বিরাজমান ৷ অণুজীবদের আলাদা একটা জগৎ রয়েছে ৷ আমাদের পৃথিবীতে যত অণুজীব আছে, তার ৯৫ শতাংশই মানুষের জন্য কল্যাণকর। শুধু ৫ শতাংশ অণুজীব ক্ষতিকর- যা মানুষ, পশু-পাখি, গাছপালায় রোগ-ব্যাধি সৃষ্টি করে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন:ওষুধ, কৃষি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, খাদ্য ইত্যাদিতে অণুজীববিজ্ঞানের (মাইক্রোবায়োলজি) ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। অণুজীব ব্যবহার করে আমরা পরিবেশ দূষণ দূর করতে পারি, যা পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। এ ছাড়া খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, বিভিন্ন রোগ শনাক্তকরণ, রোগের প্রতিষেধক তৈরি, বিরূপ আবহাওয়ায় বীজ ও গাছ উৎপাদন করাসহ বিজ্ঞানের প্রায় সব ক্ষেত্রে অণুজীববিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
উন্নত দেশে অণুজীব বিজ্ঞানী মানে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ডাক্তারদের পাশাপাশি পরিপূরক হিসেবে নিয়োজিত মহৎ একটি পেশা এবং গবেষণার মাধ্যমে দেশের নীতিনির্ধারণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে এরকম সম্মানিত একটি পেশা।
আর বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অণুজীববিজ্ঞানী (অণুজীববিজ্ঞানে পড়াশুনা করা) মানে দেশে পর্যাপ্ত চাকরি ও গবেষণার সুযোগের অভাবে বিদেশে পাড়ি জমানো কিংবা নিজের ফিল্ড পরিবর্তনে বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হওয়া। যে দেশে মোট ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ করা হয় মাত্র ১৫ কোটি টাকা (যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ- সর্বশেষ তথ্যমতে ) সে দেশের গবেষণাভিত্তিক বিষয়ের শিক্ষার্থীদের গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী এরকম পরিণতিই হওয়াটা স্বাভাবিক নয় কি?
১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম অণুজীবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ৪২ বছরে দেশের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় সহ আরো বেশ কিছু পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল, এত বছরেও বিসিএস-এর টেকনিক্যাল ক্যাডারে অণুজীববিজ্ঞানীদের(অণুজীববিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স করা দের) কোনো ঠাঁই মেলেনি। কিন্তু ফিশারিজ (মৎস্য) ক্যাডার হিসেবে রয়েছে অণুজীববিজ্ঞান পদ, যাতে আবেদন করার অনুমতি নেই অণুজীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের।
“অথচ দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে বিসিএসে মাইক্রোবায়োলজিস্টদের(অণুজীব বিজ্ঞানীদের) জন্য আলাদা ক্যাডার থাকাটা কতটা জরুরি ছিল, কোভিড-১৯-এর চলমান সংকটময় মুহূর্তে তা ভালোভাবেই টের পাওয়া গেছে”
বিভিন্ন মেডিকেল কলেজগুলোয় লেকচারার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)-এর নীতিমালা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়। প্রতিটি মেডিকেলে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ থাকলেও সেখানে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয় শুধুই এমবিবিএস পাস করা ডাক্তারদের। তবে কি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অণুজীববিজ্ঞানে ৪ বছর গ্র্যাজুয়েশন ও ১ বছর মাস্টার্স শেষ করে আসা শিক্ষার্থীদের অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞান কম? অথবা এমবিবিএসের অণুজীববিজ্ঞানের সিলেবাস আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞানের সিলেবাসে অনেক তফাত?
বিএমডিসি কর্তৃক প্রণীত এমবিবিএসের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সিলেবাসের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সিলেবাসের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা যাক। উল্লেখ্য দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সিলেবাস প্রায় একই।
এমবিবিএসের তৃতীয় বর্ষের একটি বিষয় হিসেবে অণুজীববিজ্ঞান পড়ানো হয়। এই বিষয়ের সিলেবাসে ৮টি টপিক রয়েছে। এগুলো হল : জেনারেল ব্যাকটেরিওলজি, সিস্টেমিক ব্যাকটেরিওলজি, ইমিউনলজি, প্যারাসাইটোলজি, ভাইরোলজি, মাইকোলজি, ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি এবং ব্যবহারিক।
এগুলোর সবকিছুই বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে ইনট্রোডাকটরী মাইক্রোবায়োলজি, বেসিক টেকনিকস ইন মাইক্রোবায়োলজি, মাইক্রোবিয়াল ইকোলজি,মাইক্রোবিয়াল গ্রোথ, ২য় বর্ষে জেনারেল মাইক্রোবায়োলজি, মাইকোলজি, মাইক্রোবিয়াল মেটাবলিজম, মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজি-১, ইনভারনমেন্টাল মাইক্রোবায়োলজি, তৃতীয় বর্ষে ভাইরোলজি-১, ইমিউনোলজি-১, মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজি-২, ফার্মাসিউটিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি, ফুড মাইক্রোবায়োলজি, এগ্রিকালচার মাইক্রোবায়োলজি, ইন্ডাসট্রিয়াল মাইক্রোবায়োলজি, মলিকিউলার জেনেটিক্স, ডায়াগনস্টিক মাইক্রোবায়োলজি, চতুর্থ বর্ষে ভাইরোলজি-২, ইমিউনোলজি-২, অ্যানালাইটিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি, এবং মাস্টার্সে মলিকুলার ভাইরোলজি অ্যান্ড অনকোলজি, ইমিউনোপ্যাথোলজি এন্ড ভ্যাক্সিন ডেভেলপমেন্ট, কোর্সের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর এমবিবিএসের মাইক্রোবায়োলজি সিলেবাসের সব টপিকই পড়া হয়ে যায়। এসব কোর্সের বাইরেও অণুজীববিজ্ঞান সংক্রান্ত আরও ৩০টা কোর্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অণুজীববিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করা একজন শিক্ষার্থী পড়ে থাকেন। ইহা ছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে অতিরিক্ত আরো একটি বিষয় পড়ানো হয় সেটি হলোঃ ‘কনটেম পরারি হিস্টোরি অব বাংলাদেশ ‘- যা পড়ে অণুজীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হয়েও বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযদ্ধের ইতিহাস জানতে পারে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে ব্যবহৃত RT-PCR অথবা অন্য অনেক জীবাণু শনাক্তকরণের আন্তর্জাতিক গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড টেকনিক একজন এমবিবিএস শিক্ষার্থীকে হাতে-কলমে শেখানো হয় না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স-মাস্টার্স পাস করা সবাইকে এই দুই পদ্ধতির নিয়ম শেখানো হয়। একজন অণুজীব বিজ্ঞানের ছাত্র অণুজীব নিয়ে বিশদভাবে অধ্যয়ন করেন ৷ অণুজীব বিজ্ঞানের অনেকগুলো শাখার মধ্যে যে শাখায় ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ভাইরোলজি বলে ৷ নোবেল করোনা ভাইরাসের বিরূদ্ধে সমগ্র পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশও নিজের অস্তিত্ব রক্ষার যে সংগ্রাম চালিয়ে গেছে , যা অবিশ্যই অনেক প্রশংশা কুড়িয়েয়েছে ৷ অণুজীব বিজ্ঞান একটা গবেষণাভিত্তিক বিষয় হওয়ায় একজন শিক্ষার্থী তাঁর স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সময়েই হাতে কলমে ল্যাবে ভাইরাস নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন ৷ অনেকে মাস্টার্স থিসিসেও সুনির্দিষ্ট কোন ভাইরাসের উপর গবেষণা করে থাকেন ৷
“অণুজীববিজ্ঞানের ছাত্ররা ভাইরাসের জিনোমিক ম্যাটেরিয়াল ( ডিএনএ/আরএনএ), ট্রান্সক্রিপশন, ট্রান্সলেশন সর্বোপরি বংশবৃদ্ধি ও বিস্তার সম্পর্কে একজন অণুজীব বিজ্ঞানের ছাত্র বিশেষ জ্ঞান রাখেন ৷ যা তাঁদেরকে করোনা মহামারীর মতো শক্তিশালী ভাইরাসগুলোর মোকাবেলায় এক অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সহায়তা করছে”
বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রাণরসায়নবিদ/ অণুজীববিজ্ঞানী/বায়োটেকনোলজিস্ট স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করছেন। কিন্তু গবেষণাধর্মী এসব বিষয় থেকে যারা পাশ করে বের হচ্ছেন, তাদের জ্ঞানকে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য মানসম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান কয়টি আছে আমাদের? একমাত্র আইসিডিডিআর বি- তে কিছু ছেলেমেয়ে কাজের সুযোগ পাচ্ছে এবং তাতেই আইসিডিডিআর বি- এর সুনাম দেশ বিদেশ ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে না পারায় এদের প্রায় ৮০% বিদেশগামী হচ্ছেন এবং তাদের মেধা দিয়েই তারা ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান প্রভৃতি দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকতার পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত গবেষণাগারগুলোতে গবেষণা করছেন। যারা বিভিন্ন কারণে বিদেশমুখী হয়না, তারাও একসময় অন্যান্য সরকারি চাকুরিতে চলে যায়। অথচ অণুজীববিজ্ঞান প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারির বিষয় এবং সর্বোচ্চ মেধাবীরাই এসব বিষয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। যাদের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, জিনোম নিয়ে গবেষণা করে দেশের বিজ্ঞান ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অবদান রাখার কথা, তারাই অনুরূপ অবদান রাখছে, কিন্তু সেটি জাপান, ইউরোপ কিংবা আমেরিকায়।
আমার প্রশ্ন, এদেশের সরকার যদি কোটি কোটি টাকা খরচ করে তাদের পড়াশোনা করিয়ে মেধাবী তৈরী করতে পারেন, তবে এ দেশে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তাদেরকে এ জাতির সেবা করার সুযোগ তৈরী করতে পারেন না ? আমি মনে করি, অবশ্যই পারে ৷ দরকার কেবল- স্বদিচ্ছার।
অবশ্যই মেডিকেল কলেজগুলোয় অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার নিয়োগ পরীক্ষায় এমবিবিএস ডাক্তারদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞানীদেরও সুযোগ দেয়া দরকার ।
সরকারী ভাবে গবেষণাবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করে গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ডিসিপ্লিনের মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশেই থেকে দেশের উন্নয়নে গবেষণার সুযোগ করে দেয়াসহ অতি শীঘ্র বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে(বিসিএস) অণুজীব বিজ্ঞান ক্যাডার সৃষ্টি করা , মেডিকেল সেক্টরে অণুজীববিজ্ঞানীদের অন্তর্ভুক্ত করা এখন সময়ের দাবী।
মনে রাখা ভালো, পরবর্তী পৃথিবী হবে বায়োলজিক্যাল পৃথিবী ৷ বহুমাত্রিক কারণে নিঃসন্দেহে অণুজীব বিজ্ঞানের কদর অনেক বেড়ে যাবে ৷ অণুজীব বিজ্ঞানের গবেষণা পৃথিবীর জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে ৷ “এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট” থেকে শুরু করে নিত্য নতুন ভাইরাস মোকাবেলায় ৷ কৃত্রিম মিউটেশন থেকে শুরু করে কৃত্রিম জীবন ৷ সবক্ষেত্রেই নেতৃত্ব দিবে অণুজীব বিজ্ঞান ৷
লেখাঃ
মোঃ সুমন প্রামানিক (শিক্ষার্থী)
অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ইমেইলঃ shumonpramanik66@gmail.com
সকল প্রকার বৃত্তির খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Follow us on
Join our Official Facebook Group