প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ফর্ম বিতরণ ও ভর্তি প্রক্রিয়া A to Z eduguideline.com
প্রাইভেট মেডিকেলে আসন সাত হাজার ৩৫৫টি। এর বিপরীতে ভর্তিযোগ্য প্রার্থী ৪৯ হাজার ++ ।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন ছাত্র ছাত্রীরা। সামনের মাস থেকে প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি ফরম ছাড়া শুরু হতে পারে।
এই ফরমের সাথে কোটার ফরম ও তুলতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে কোটার ভর্তি প্রক্রিয়া সব শেষে শুরু হয়।
সরকারী মেডিকেলে ভর্তির পরপরই শুরু হয় প্রাইভেট মেডিকেলে ফর্ম বিতরণ। সাধারণত প্রতি বছর একটা নির্দিষ্ট মার্ক ঠিক করে দেওয়া হয় মেডিকেলগুলো থেকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার মার্ক #কমপক্ষে৪০ চাওয়া হয়। বছরভেদে এ মার্ক পরিবর্তন হয়। মার্ক ও আসন সংখ্যা উল্লেখ করে নোটিশ দেয়া হয় মেডিকেল কলেজগুলাতে ও তাদের ওয়েবসাইটে, দৈনিক পত্রিকায়। শুরু হয় ফর্ম বিতরণ।
ফর্ম কেনার পর যাবতীয় তথ্যাদি পূরণ করে ফর্ম জমা দিতে হয় ঐ মেডিকেলে। ফর্মের সাথে মেডিকেল অ্যাডমিশন রেজাল্টের কাগজ, এসএসসি, এইচএসসির মার্কশিট, সার্টিফিকেট ও জমা দেয়া লাগে। একটি মেডিকেল কলেজ সাধারণত নির্দিষ্ট সংখ্যক ফর্ম বিক্রি করে ও তার পর শুরু হয় নির্বাচনী প্রক্রিয়া। তাই অ্যাডমিশনের মার্ক ভালো থাকলে আমি সাজেস্ট করবো একটি না কমপক্ষে 5_8 টি মেডিকেল কলেজের ফর্ম কিনে এপ্লাই করতে যেখানে আপনি ভর্তি হতে ইচ্ছুক৷
ফর্ম জমা নেয়ার পর কয়দিন পর কলেজের নোটিশ বোর্ডে টাঙানো হয় ঐ সব ছাত্র ছাত্রীদের নাম, রোল যারা ঐ মেডিকেলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। ফোন করে জানানো হয় সবাইকে। এক অথবা দুই দিনের মাঝে টাকা জমা নিয়ে ভর্তি করানো হয় যদি নির্বাচিত ছাত্র ছাত্রীদের তালিকায় আপনার নাম থাকে।
ভর্তির সময় টাকার সাথে আপনার এসএসসি ও এইচএসসির সার্টিফিকেট রেখে দেয়া হবে আপনার মেডিকেলে। অনেক সময়, মেডিকেল অ্যাডমিশন টেস্টের রেজাল্টের সিরিয়াল পেছনে থাকলে আপনি ১-২টি মেডিকেলে নির্বাচিত নাও হতে পারেন ভর্তির জন্য। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যত বেশী মেডিকেলের ফর্ম তুলবেন, ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে।এবার তো অনেক চাপ।
তবে লোভের বশবর্তী হয়ে ভর্তিতে বেশি দেরি করে ফেলোনা আবার তখন সিটের অভাবে ভালো স্কোর নিয়েও দেখা যাবে আর মেডিকেলে পড়া হচ্ছেনা। তাই সুযোগের সদ্ব্যবহার করা জানতে হবে।
eduguideline.com eduguideline.com
ভর্তি ফি ও যাবতীয় খরচ:
প্রাইভেট মেডিকেলে পড়ে যে সমস্যাটা ছেলে মেয়েরা ও তাদের অভিভাবকদের সম্মুখীন হতে হয় তা হলো খরচ।
ভর্তির সময় এককালীন একটি মোটা অংকের টাকা জমা দিতে হবে আপনাকে ভর্তি ফিস ও মেইনটেইন খরচ হিসেবে।
এ খরচটা মেডিকেল থেকে মেডিকেল ভিন্ন হয়। সাধারণত ৬ লাখ থেকে শুরু করে এ খরচ ১৮ লাখ পর্যন্ত হতে পারে৷ আপনাকে খোঁজ নিতে হবে আপনি যে মেডিকেলে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেখানকার খরচ কেমন।
এছাড়া হোস্টেলে থেকে পড়তে হলে হোস্টেল খরচ হিসেবে মাস শেষে ৫-৭ হাজার টাকা রাখতে হবে।
মাসিক বেতন হিসেবে দিতে হতে পারে ৮-৯ হাজার টাকা। এছাড়া পরীক্ষার সময়গুলাতে পরীক্ষার ফি বাবৎ আপনাকে দিতে হতে পারে একটি নির্দিষ্ট টাকা।
বিশেষ করে প্রফ পরীক্ষার আগে। এ খরচটাও বিভিন্ন কলেজে বিভিন্ন যদিও বোর্ড এর ফি নির্দিষ্ট। বাকীটা কলেজের খরচ বাবদ নেয়া হয়।
ভর্তির জন্য নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীদের নির্ধারিত তারিখে সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে কলেজের স্টুডেন্ট সেকশন থেকে নির্ধারিত ফর্ম সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দিতে হবে।
আবেদনপত্রে যেসব তথ্য ও সনদপত্রের উল্লেখ আছে, তার মূল কপি ভর্তির সময় জমা দিতে হবে। লাগবে অনলাইন আবেদনপত্রের স্টুডেন্ট কপি,
অনলাইনে ডাউনলোড করা প্রবেশপত্র, চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি, এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সনদপত্র বা টেস্টিমোনিয়ালের মূল কপি।
মুক্তিযোদ্ধা, জেলা কোটা, উপজাতীয় প্রার্থীদের কোটার সপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল বা সমমানের মার্কশিট স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কনভার্ট করে জমা দিতে হবে৷
প্রতি প্রফেশনাল পরীক্ষাতে খারাপ হলে (সাপ্লিমেন্টারী) আপনাকে ঐ পরীক্ষায় আবার অংশগ্রহণ করে পাশ করতে হবে। মেডিকেলে আগে তিনটি প্রফ হতো, বর্তমানে হয় চারটি।
অর্থাৎ এই চারটি পরীক্ষায় ৬০% মার্ক পেয়ে আপনাকে পাশ করতে হবে। কোনভাবে ৬০% এর কম পেলে আপনি ফেইল এবং সেই পরীক্ষাটি আবার দিতে হবে। প্রতিবার পরীক্ষা দিতে ও সাপ্লিমেন্টারী দিতে নিজের খরচ, নিজে বহন করতে হবে। এরকম চারটি প্রফ পাশ করলে তবেই আপনি ডাক্তার।
ইদানিং অবশ্য মেডিকেলে গ্রেডিং সিস্টেম চালুর কথা বলা হচ্ছে যেখানে শুধু পাশ না, মার্কিং অনুসারে গ্রেডও দেয়া হবে স্টুডেন্টদের৷ অর্থাৎএকটি ছেলে / মেয়ের মেডিকেল পড়তে ৫ বছরে প্রাইভেটে খরচ পড়বে ২৫ – ৩০ লাখ টাকা।
এর পর অবশ্য ইন্টার্নশীপের সময় প্রতি মাসে ১৭-১৮ হাজার (বা তোমাদের সময় আরো কিছু বাড়তে ও পারে) টাকা করে পাবে।
‘বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে সরকার নির্ধারিত ভর্তি ফি ১৮ লাখ। তবে কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে এর চাইতে কমেও ভর্তি করায়।
ক্যাম্পাসের উন্নয়ন, টিউশন, অ্যাফিলিয়েশন ফি, বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশন, বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন, মার্কশিট ভেরিফিকেশন, কেন্দ্র ফি, কলেজ ম্যাগাজিন ফি, গেমস, স্পোর্টস ও অন্যান্য বিনোদন ফি, পরিচয়পত্র, কশন, লাইব্রেরি চার্জ, বিবিধ, সেশন, লাইব্রেরি, জেনারেল ল্যাব ফি, কম্পিউটার ল্যাব, মার্কশিট ভেরিফিকেশন, আবাসিক সুবিধা থাকা-খাওয়া বাবদ শিক্ষার্থীদের ফি জমা দিতে হয়। এসব ফি আবার জমা দিতে হয় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়মে। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অগ্রিম সব খরচ নিয়ে নেয়। কোথাও আবার মাসিক ফি দিতে হয়।
বিভিন্ন বিভাগের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ :
বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারী মেডিকেল কলেজের নাম তোমাদের সুবিধার্থে দেয়া হলো। এই মেডিকেল গুলার ওয়েবসাইটে গেলেই বিস্তারিত জানতে পারবে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য-
খুলনা বিভাগ:
– আদ-দ্বীন সখিনা মেডিকেল কলেজ
– গাজী মেডিকেল কলেজ
– খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ
– যশোর আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ
চট্টগ্রাম বিভাগ:
– বি.জি.সি. ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ
– সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ
– চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ
– ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ
– ময়নামতি মেডিকেল কলেজ
– সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ
– ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি
ঢাকা বিভাগ:
– আদ-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজ
– আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ
– বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ
– বিক্রমপুর Bhuiyans মেডিকেল কলেজ
– সিটি মেডিকেল কলেজ
– ডেল্টা মেডিকেল কলেজ
– ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ
– ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ
– ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ
– ড: সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
– ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ
– নর্দার্ন মেডিকেল কলেজ
– এনাম মেডিকেল কলেজ
– ফরিদপুর ডায়বেটিক এসিশিয়েশন মেডিকেল কলেজ
– গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ
– ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লাইড হেলথ সায়েন্সেস
– গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ
– হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ
– ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ
– ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ
– ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ
– জহরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
– কুমুদীনী ওমেন্স মেডিকেল কলেজ
– মার্কস মেডিকেল কলেজ
– মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন এন্ড হসপিটাল
– এম.এইস সমরিতা মেডিকেল কলেজ
– মুন্নু মেডিকেল কলেজ
– নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ
– নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ
– পপুলার মেডিকেল কলেজ
– শাহাবুদ্দীন মেডিকেল কলেজ
– শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ
– তাইরুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ
– উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ
– জয়নুল হক সিকদার মহিলা মেডিকেল কলেজ
–ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ
বরিশাল বিভাগ:
বরিশাল বিভাগে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কোনো মেডিকেল কলেজ পরিচালিত হয় না।
ময়মনসিংহ বিভাগ:
– কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ
– জহুরল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, বাজিতপুর কিশোরগঞ্জ
– প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজ, কিশোরগঞ্জ
রংপুর বিভাগ:
– প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
– রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ
– নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
– কছির উদ্দিন মেমরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
– রংপুর ডেন্টাল কলেজ
– রংপুর আর্মি মেডিকেল কলেজ
রাজশাহী বিভাগ:
– বারিন্দ মেডিকেল কলেজ
– ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ
– খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ
– নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ
– শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ
– টি.এম.এস.এস. মেডিকেল কলেজ
সিলেট বিভাগ:
– জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ
– নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ
– পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ
– দুররে সামাদ রহমান উইমেন্স রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ
– সিলেট উইমেন্স মেডিকেল
মিলিটারি মেডিকেল কলেজ:
– Armed Forces Medical Colllege (AFMC)
– Army Medical college Bogra (AMC)
– Army Medical college Chittagong (AMC)
– Army Medical College Comilla (AMC)
– Army medical college Jessore (AMC)
– Army medical college Rangpur
প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ফর্ম বিতরণ ও ভর্তি প্রক্রিয়া,প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ফর্ম বিতরণ ও ভর্তি প্রক্রিয়া
অন্যরা যা পড়েছে,
- ইমদাদ-সিতারা খান বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি-২০২৪ | Imdad Sitara Khan Scholarship Circular
- প্রাইমারি সিলেকশন লেটার প্রিন্ট ও পরবর্তী করনীয় DBBL Primary Section Letter
- স্নাতক ও ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের উপবৃত্তি, মিলবে ১০,০০০
- ডাচ্-বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তির অনলাইন আবেদন প্রসেস ২০২৪ (DBBL Scholarship Application)
- SSC Result 2024 | এসএসসি রেজাল্ট ( ফুল মার্কশীট সহ)
আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে ইমেইল আইডি সংযুক্ত করে কমেন্ট করুন]
শিক্ষাবৃত্তি, শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহ সকল খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Join Our Official Facebook Group