অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি
করোনাকালে জরুরি ভিত্তিতে নাগরিকদের ভোটার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরবরাহ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যেও সপ্তাহে একদিন করে অফিস খোলা রেখে এ সেবা দিচ্ছেন সংস্থাটির মাঠ কর্মকর্তারা। শিক্ষার্থী, প্রবাসী ও টিকাদানে ইচ্ছুকরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৭ জুলাই এক অনলাইন বৈঠকে মাঠ পর্যায়ে এনআইডি সেবা সতর্কতা অবলম্বন করে চালু রাখার সিদ্ধান্ত দেয় ইসি।
এতে টিকা কার্যক্রম, বিদেশ গমন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম ইত্যাদির জন্য জরুরি ভিত্তিতে সেবা দিতে বলা হয়। সেজন্য কর্মকর্তারা সপ্তাহে একদিন অফিস খোলা রেখে সশরীরে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
বর্তমানে আমাদের দেশে করোনা থেকে রক্ষা পেতে গনটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আর এই টিকার জন্য সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় পরিচিয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড (NID).
এছাড়া বর্তমানে দেশের সকল পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানের আবাসিক অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কর্মসূচি চলছে।
তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচিয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড (NID) না থাকায় তারা এই টিলার সুবিধা গ্রহন করতে পারছেন না।
তাই খুব সহজেই কিভাবে জাতীয় পরিচিয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড (NID) পাওয়া যায় তা নিয়ে আমরা এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রতিটি বিষয় সাবলীল ভাষায় বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি।
আশাকরি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে খুব সহজেই জাতীয় পরিচিয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড (NID) পেতে পারেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড (NID)
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নাগরিকদের যে পরিচয় সনদ প্রদান করা হয় তাকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড কিংবা সংক্ষেপে এনআইডি (NID) বলা হয়।
বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকদের জন্য এটি অত্যান্ত গরুত্বপূর্ণ একটি সনদ। সরকারী বেসরকারী যে কোন দাপ্তরিক কাজে এটি প্রয়োজন হয়। বর্তমানে জতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি
ভোটার হওয়া প্রক্রিয়া
সাধারণত প্রতি তিন বছর পর পর আদম শুমারীর মাধ্যমে নতুন ভোটার নিবন্ধন করা হয়। সেই সময় নির্বাচন কমিশনের লোকজন বাড়ী বাড়ী গিয়ে নতুন ভোটারের তালিকা করে থাকেন।
যারা বাদ পড়েন তারা অনলাইনে আবেদন করে নতুন ভোটার হতে পারে। নির্বাচন কমিশন প্রতি বছর জানুয়ারী মাসের শেষে নতুন ভোটারের তালিকা প্রকাশ করে থাকে।
ভোটার নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। আঠার বছর পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে ভোটার নিবন্ধন করে ফেলা জরুরী।
কেননা সময়মত ভোটার হতে না পারলে পরবর্তীতে অনেক হয়রানির স্বীকার হতে হয়।এছাড়ও অফিসিয়াল অনেক কাজ করতে ঝামেলা পোহাতে হয়।
শিক্ষার্থীদের ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
জরুরি ভিত্তিতে এনআইডি দিচ্ছে ইসি, অগ্রাধিকার পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
ভোটার নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় দলিলাদি:
১) অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (অনলাইনে যাচাইকৃত কপিসহ)।
২) সনদধারীদের ক্ষেত্রে শিক্ষা সনদ- -পিএসসি/ জেএসসি/ এসএসসি।
৩) সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি।
৪) পিতা-মাতার এনআইডি এর কপি (পিতা/মাতা মৃত হলে মৃত্যু সনদ প্রদান করতে হবে)।
৫) বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডির কপি ও বিবাহের নিকাহনামা।
৬) বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স/ইউটিলিটি বিলের কপি এবং ফ্ল্যাট মালিকানার কপি।
৭) ভাড়াটিয়া হলে বাড়ি ভাড়ার চুক্তিনামা, অনাপত্তিপত্র এবং বাড়ি ভাড়া রশিদ।
৮) প্রবাসী হলে পাসপোর্টের কপি অ্যারাইভাল সিল ও টিকেটসহ কপি।
৯) দ্বৈত নাগরিক হলে, দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের কপি।
১০) রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ে প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট ও শিক্ষার্থী পরিচয়পত্রের কপি।
১১) ফরম-২ এর ৩৪, ৩৫ নম্বর তথ্যে শনাক্তকারীর ঘওউ নম্বর ও স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে।
১২) ফরম-২ এর ৪০, ৪১, ৪২ নম্বর তথ্যে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক সিলসহ স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে।
১৩) রেজিস্ট্রেশন অফিসারের চাহিদামত অন্যান্য দলিলাদি।
এ ক্ষেত্রে নিবন্ধন ফরম-২ ছাড়া সব কাগজপত্র স্বত্যায়িত করে জমা দিতে হবে।
যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাদের এই কাগজ পত্র গুলো দ্রুত গুছিয়ে রাখা ভালো, যেহেতু ভ্যাক্সিন দিতে আইডি কার্ড লাগবেই।(
আপাতত যে তথ্য আছে সেই ভিত্তিতে)।যেন দ্রুতই আবেদন করে দ্রুত আইডি কার্ড পাওয়া যেতে পারে।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি
ভোট নিবন্ধন করার জন্য কোথায় যেতে হবে?
ভোট নিবন্ধন চলাকালে আপনার এলাকায় নিবন্ধন করতে পারবেন। যদি বাদ পড়ে থাকেন তাহলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন করে নিতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যোগাযোগ করুন।
তার আগে আপনাকে ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
নতুন ভোটার হওয়ার নিয়ম
আপনার বয়স যদি আঠার পূর্ণ হয় এবং ভোটার না হয়ে থাকেন তাহলে নিচের নিয়ম অনুসরণ করে খুব সহজেই ভোটার হতে পারেন।
ভোটার নিবন্ধন সাধারণত নভেম্বর থেকে জানুয়ারী মাসের মধ্যে হয়ে থাকে। এলাকা অনুযায়ী সময়টা ভিন্নতা হয়।
তবে যে কোন সময় অনলাইনে ভোটার নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন।নিজেকে ভোটার নিবন্ধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদন কপি প্রিন্ট করে নিন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসে খোজ নিয়ে জানুন আপনার এলাকার ছবি, ফিংগার প্রিন্ট কখন শুরু হবে।
আপনার ছবি কখন তোলা হবে তা জেনে আবেদন ফরম ও প্রয়োজনী কাগজপত্রসহ ছবি উঠে আসুন।
ছবি, ফিংগার নেওয়ার পর আপনাকে একটি স্লিপ দেওয়া হবে। স্লিপটি যত্ন করে রেখে দিন। স্মার্ট কার্ড নেওয়ার সময় স্লিপটি সাথে নিয়ে যাবেন।
ভোটার নিবন্ধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন
ভোটার হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। মোবাইলেও আপনি আবেদন করতে পারবেন।
এজন্য ইন্টারনেটে https://services.nidw.gov.bd/ ঠিকানায়া গিয়ে নতুন ভোটার নেভিগেশন বাটন ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করে ফেলুন।
এরপর ফরমটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন। আপনার এলাকার নতুন ভোটারদের ছবি তোলা শুরু হলে ফরমটি সাথে নিয়ে ছবি উঠিয়ে নিন।
আপনার ল্যাপটপ/কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোন যদি না থাকে তাহলে কোন কম্পিউটারের দুখানে গিয়ে অনলাইনে আবেদন ফরমটি পূরণ করে নিন। নিজে নিজে কিভাবে অনলাইনে ভোটার হবেন তার বিস্তারিত জানতে “অনলাইনে ভোটার হবেন কিভাবে” ইনফোটি দেখুন।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি
NID এর স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তি
নতুন ভোটারের জন্য আপনার ছবি উঠা হয়ে গেলে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য স্মার্ট কার্ড তৈরীর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
কয়েক মাসের মধ্যেই আপনার জন্য ভোটার আইডি কার্ডের একটি স্মার্ট কার্ড তৈরী হবে। কার্ড বিতরণের তারিখ আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হয়ে কার্ড সংগ্রহ করুন।
আপনার স্মার্টকার্ড তৈরী হয়েছে কিনা অনলাইনে ট্রাক করে জেনে নিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের সার্ভিস ওয়েবসাইটে গিয়ে কার্ড ট্রাকিং অপশন ক্লিক করে আপনার স্লিপ নাম্বার দিয়ে সার্চ করুন।
আপনার কার্ড তৈরী হয়ে গেলে বিতরণের তারিখ দেখতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে বাংলাদেশ পাসপোর্ট-এর অনুলিপিসহ জন্ম সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, এসএসসি (প্রযোজ্যক্ষেত্রে) সনদ, ঠিকানার সমর্থনে ইউটিলিটি বিলের কপি বা বাড়ী ভাড়া বা হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদের কপিসহ আবেদন করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ফর্মসমূহ পূরণ করতে হবে।
NID ডাউনলোড স্টেপ ১ – NID নম্বর সংগ্রহ
(আপনার নিকট যদি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর থেকে থাকে, তাহলে সরাসরি ২য় ধাপে যান। আর আপনি যদি এনআইডি কার্ডের জন্য ছবি তুলে থাকেন কিন্তু এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি, তাহলে এই ধাপ থেকেই শুরু করুন।)
কম্পিউটার ব্রাউজারে প্রথমে এখানে যান https://services.nidw.gov.bd/voter_center এবং ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ নম্বর, জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা সঠিকভাবে পূরণ করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার সংগ্রহ করুন।
মোবাইলের ক্ষেত্রে ফুল স্ক্রিন না এলে এই লিংকটি https://services.nidw.gov.bd/voter_center কপি করে মোবাইলে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে দিয়ে ডেস্কটপ মুডে ভিজিট করুন।
গুগল ক্রোমে নতুন ট্যাব ওপেন করে উপর দিকে ডান পাশে তিনটি ডটের উপর ক্লিক করলে ডেস্কটপ মুড অপশন পাবেন। সেখানে টিক দিয়ে লিংকটি ওপেন করুন।
ক্যাপচা একবারে সঠিক না হলে একাধিক বার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, সার্ভার বেশি ব্যাস্ত থাকলে রেজিস্ট্রেশন সফল হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। NID Card Download
এছাড়া মোবাইল থেকে এসএমএস করেও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর পেতে পারেন। যারা নতুন রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু NID পাননি তারা খুব সহজেই NID নম্বর পেতে পারেন।
এজন্য, মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখুন nid স্পেস দিয়ে ফরম নম্বর স্পেস দিয়ে জন্ম তারিখ (দিন-মাস-বছর)।
মেসেজটি পাঠান ১০৫ নম্বরে। ফিরতি মেসেজে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর পাবেন।
মেসেজের উদাহরণঃ nid 1234567 24-08-1992
NID হেল্পলাইনঃ অফিস খোলা দিনসমূহে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের হেল্পলাইন 105 নম্বরে ফোন করে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সেবা নেওয়া যাবে।
NID ডাউনলোড স্টেপ ২ – অনলাইন রেজিস্ট্রেশন
কারা NID অনলাইন সেবার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন?
যারা জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন তারা সংশোধন / ডুপ্লিকেট কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন ।
যারা ইতিমধ্যে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি পান নি, তারা অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করে ডাউনলোড অপশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। – বাংলাদেশ এনআইডি পোর্টাল
আপনি ভোটার হয়ে থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করে অনলাইনে NID ডাউনলোডের সুবিধা নিতে পারবেন। রেজিষ্ট্রেশন করতে নিন্মের ধাপসমূহ অনুসরণ করুনঃ
প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী পূরণ করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। NID Card Download
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি
আপনার কার্ডের তথ্য ও মোবাইলে প্রাপ্ত এক্টিভেশন কোড সহকারে লগ ইন করুন।
তথ্য পরিবর্তনের ফর্মে তথ্য হালনাগাদ করে সেটির প্রিন্ট নিয়ে নিন।
তথ্য পরিবর্তনের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় দলিলাদি কালার স্ক্যান কপি অনলাইনে জমা দিন।
নিচের ঠিকানা ভিজিট করুন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন সেবায় রেজিস্টার করুনঃ https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/claim-account
এই পেজে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার অর্থাৎ এনআইডি কার্ডের নাম্বার প্রদান করুন। যাদের কাছে এনআইডি কার্ড আছে, তারা সেখান থেকে দেখে নম্বরটি লিখুন।
আর যারা এখনো এনআইডি কার্ড পাননি, তারা উপরে স্টেপ ১ এ উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করে এনআইডি কার্ডের নাম্বার বের করতে পারবেন।
এনআইডি কার্ড করার সময় যে তথ্য দিয়েছেন সে অনুযায়ী জন্মতারিখ লিখুন। ভেরিফিকেশন ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট এ ক্লিক করুন।
এরপর একটি নতুন ফর্ম আসবে। সেখান থেকে যথাযথভাবে আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানার তথ্য প্রদান করুন।
পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলে আপনার সঠিক মোবাইল নাম্বার চেয়ে একটি ফর্ম আসবে।
উক্ত ফর্মে আপনার মোবাইল নাম্বারটি প্রদান করুন। এরপর ‘বার্তা পাঠান’ বাটনে ক্লিক করুন।
যে মোবাইল নাম্বারটি প্রদান করেছেন সেটি থেকে SMS এ প্রাপ্ত ভেরিফিকেশন কোডটি সাইটের ঐ ফরমে প্রবেশ করিয়ে “বহাল” বাটন ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যান।
এর পরের পেজে সেট পাসওয়ার্ড অপশনে ক্লিক করুন।
এরপর নতুন যে পেজটি আসবে সেখানে আপনার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড প্রদান করুন।
উল্লেখ্য যে, পরবর্তীতে এই সাইটে লগিন করতে প্রদানকৃত ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দরকার হবে।
এরপর আপডেট বাটনে ক্লিক করলেই রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে।
নোট: নির্বাচন কমিশনের উপরোক্ত সাইটে যদি রেজিস্ট্রেশন করতে না পারেন, তাহলে এই পোস্টের শেষদিকে দেয়া বিকল্প উপায় অনুসরণ করেও জাতীয় পরিয়পত্রের অনলাইন কপি (বা প্রভিশনাল কপি) ডাউনলোড করতে পারবেন।
NID ডাউনলোড স্টেপ ৩ – NID Login
রেজিস্ট্রেশন হলে লগইন করার জন্য এই লিংক ভিজিট করুনঃ https://services.nidw.gov.bd/login
এই পেজে “লগইন করুন” বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে নিচের পেজটি (https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/) আসবে।
এই পেজে আপনার লগইন তথ্য এবং ক্যাপচা পূরণ করে লগইন বাটনে ক্লিক করুন। এবার মোবাইলে মেসেজে একটি সিক্যুরিটি কোড আসবে।
অবশ্য আপনি চাইলে ইমেইলেও কোডটি নিতে পারেন। লগইন করলে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের বিভিন্ন তথ্য দেখতে পাবেন।
নোট: নির্বাচন কমিশনের উপরোক্ত সাইটে যদি লগইন করতে না পারেন, তাহলে এই পোস্টের শেষদিকে দেয়া বিকল্প উপায় অনুসরণ করেও জাতীয় পরিয়পত্রের অনলাইন কপি (বা প্রভিশনাল কপি) ডাউনলোড করতে পারবেন।
NID ডাউনলোড স্টেপ ৪ – এনআইডি কপি ডাউনলোড
এবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সফট কপি ডাউনলোড করতে ডানদিকে নীচে থাকা ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন।
অনলাইন NID ফাইলটি প্রিন্ট করে আপনি আপাতত অন্তত কিছু কিছু ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ চালাতে পারবেন।
NID ডাউনলোড – বিকল্প উপায়
যদি অনলাইনে জাতীয় পরিয়পত্রের সাইটে নিবন্ধন কিংবা লগইন করে NID ডাউনলোড করতে না পারেন, তাহলে আপনার মোবাইল থেকে 105 নম্বরে কল করুন। সেখানে একজন দায়িত্বরত অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন।
ফোনে মেসেজের মাধ্যমে আপনার এনআইডি কার্ড অনলাইন কপি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি ডাউনলোডের লিংক পাবেন।
সেই লিঙ্কে ক্লিক করুন। আপনার এনআইডির অনলাইন কপি পাবেন। সেখান থেকে ডকুমেন্টটি সেইভ করে প্রিন্ট করে নিলেই হবে। NID Card Download
সাধারণ জিজ্ঞাসা
১। প্রশ্নঃ কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত উপযুক্ত দলিলাদি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
২। প্রশ্নঃ কার্ডে কোন সংশোধন করা হলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে?
উত্তরঃ সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।
৩। প্রশ্নঃ আমি ২০০৭/২০০৮ অথবা ২০০৯/২০১০ সালে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেই সময় আইডি কার্ড গ্রহণ করিনি। এখন কিভাবে আইডি কার্ড পেতে পারি?
উত্তরঃ আপনি আপনার ভোটার রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রদত্ত প্রাপ্তি স্বীকার পত্রটি নিয়ে যে স্থানে ভোটার হয়েছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।
যদি সেখানেও না পাওয়া যায় তাহলে প্রাপ্তি রশিদে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের মন্তব্যসহ স্বাক্ষর ও সিল দিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে যোগাযোগ করা যাবে।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি
৪। প্রশ্নঃ ভোটার তালিকার নামের সাথে বিভিন্ন খেতাব, পেশা, ধর্মীয় উপাধি, পদবী ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কিনা?
উত্তরঃ ভোটার তালিকার ডাটাবেজে শুধুমাত্র নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন উপাধি বা অর্জিত পদবী তাতে সংযুক্ত করার অবকাশ নাই।
৫। প্রশ্নঃ কোথা হতে ID Card সংগ্রহ করা যাবে?
উত্তরঃ যে এলাকায় ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে ID Card সংগ্রহ করা যাবে।
৬। প্রশ্নঃ আমি বিদেশে চলে যাব। আমার কার্ড কি অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ । আপনার ক্ষমতা প্রাপ্ত প্রতিনিধির যথাযথ ক্ষমতাপত্র ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Authorization Letter) নিয়ে তা সংগ্রহ করাতে পারবে।
৭। প্রশ্নঃ কার্ডে ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য দিলে কি হবে?
উত্তরঃ জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
৮। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৩ আবার কারো ১৭ কেন?
উত্তরঃ ২০০৮ এর পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হচ্ছে বা পুণঃ তৈরি হচ্ছে সে সকল কার্ডের নম্বর ১৭ ডিজিট হয়ে থাকে।
৯। প্রশ্নঃ বিভিন্ন দলিলে আমার বিভিন্ন বয়স/নাম আছে। কোনটা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে?
উত্তরঃ এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদে উল্লেখিত বয়স ও নাম। ভবিষ্যতে ৫ম/৮ম সমাপনী পরীক্ষার সনদ ও গ্রহণযোগ্য হবে।
লেখাপড়া না জানা থাকলে জন্ম সনদ,পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ও আবেদন করা যাবে।
১০। প্রশ্নঃ আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে কি ডুপ্লিকেট এন্ট্রি সনাক্ত করা সম্ভব?
উত্তরঃ হ্যাঁ, সনাক্ত করা সম্ভব।
১১। প্রশ্নঃ এক ব্যক্তির পক্ষে কি একাধিক নামে ও বয়সে একাধিক কার্ড পাওয়া সম্ভব?
উত্তরঃ না। একজন একটি মাত্র কার্ড করতে পারবেন। তথ্য গোপন করে একাধিক স্থানে ভোটার হলে কেন্দ্রীয় সার্ভারে আঙুলের ছাপ দ্বারা তা ধরা পড়বে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।
১২। প্রশ্নঃ নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কি কি কাগজ পত্রাদি প্রয়োজন?
উত্তরঃ জন্ম নিবন্ধন সনদ, এস,এস,সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), ঠিকানা প্রমানের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি,
নাগরিক সনদ, বাবা-মা এবং বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর NID কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, TIN নম্বর (যদি থাকে)।
১৩। প্রশ্নঃ আমি খুব দরিদ্র ও বয়স ১৮ বছরের কম। ১৮ বছরের উপরে বয়স দেখিয়ে একটি ID Card পেলে গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরিতে বা অন্য কোথাও চাকুরী পেতে পারি। মানবিক কারণে এই পরিস্থিতি বিবেচনা করা যায় কি?
উত্তরঃ না। ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।মানবিক বিবেচনার কোন সুযোগ নেই।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি
১৪। প্রশ্নঃ আমি ভুলে দু’বার রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছি এখন কি করবো?
উত্তরঃ যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা জানান। বর্তমানে Finger Print Matching কার্যক্রম চলছে।
অচিরেই সকল Duplicate Entry সনাক্ত করা হবে। উল্লেখ্য, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
১৫। প্রশ্নঃ ID Card আছে কিন্তু ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। এরূপ সমস্যা সমাধানের উপায় কি?
উত্তরঃ অবিলম্বে NID Registration Wing/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৬। প্রশ্নঃ একজনের কার্ড অন্যজন সংগ্রহ করতে পারবে কিনা?
উত্তরঃ ক্ষমতাপত্র ও প্রাপ্তিস্বীকার রশিদ নিয়ে আসলে সংগ্রহ করা যাবে।
১৭। প্রশ্নঃ আপনারা বিভিন্ন ফরমের কথা বলেছেন? এগুলো কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ NID Registration Wing/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করা যাবে অথবা Website : www.ecs.gov.bd বা www.nidw.gov.bd থেকে ডাউন-লোড করা যাবে।
১৮। প্রশ্নঃ এই সমস্ত ফরমের জন্য কোন মূল্য পরিশোধ করতে হয় কি না?
উত্তরঃ না।
Looking for scholarship vistit https://scholarshipbd24.com to get latest schoilarship news everyday
বৃত্তি, শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহ সকল খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Join Our Official Facebook Group